21-10-2021, 03:45 PM
মমতা বেড়িয়ে যাওয়ার পরে দরাম করে শব্দ করে দরজা টা বন্ধ হয় ওদের ঘরের। মমতা বোঝে, ওর বুদ্ধির দ্বারা আজ এই সংসার তার দখলে। ভাই তার হিল্লে হয়ে গেছে। তার নিজের অবস্থা পাকা পাকি, অরুন এখন ওকে ছাড়া চোখে দেখে না । দরজা টা কে লাগিয়ে দিয়ে বাড়ি আসে মমতা।
সেদিন সন্ধ্যে বেলায় সন্দিপ ওকে ফোন করে সব খবর নেয়। ওকে জানায় যে রাতুলা আর সন্দিপ খুব সুখে আছে এবং ওরা এখন কয়েক দিন আসবে না। অরুন বাবু কে নাকি সন্দিপ সেই কথা জানিয়েছে এবং অরুন বাবু তাতে আপত্তি করে নি। মমতা নিজের কথা টা চেপে যায়।
সেদিন সন্ধ্যে বেলায় বাড়ির নীচে মোটর সাইকেল এর শব্দ শুনে দেখে সুমিত আর ওর দুই বন্ধু তাদের বউ আর অদিতি কে নিয়ে হাজির।
সুমিত এর বন্ধু রা সব একই রকম, কেউ দোকান চালায় তো কারো গ্যারাজ আছে। সুমিত সাধারণ উবের এর ড্রাইভার। এ হেন সুমিত এর সাথে লাস্যময়ী অদিতির বিয়ে সেলিব্রেট করতে চায় ওরা তাই মমতার কাছে সুমিত টাকা চায়। ও ভাই এর আবদার মেনে টাকা দেয়, ওর বাড়িয়ে খাওয়া দাওয়া হয়। সুমিত অদিতি কে মদ খাওয়ায়, খুব হুল্লর করে ওরা। অদিতিও মেতে ওঠে ওদের সাথে।
ওরা রাত্রে ঠিক করে হানিমুন এ যাবে। মমতার কাছে টাকা নিয়ে ওরা বেড়িয়ে পরে পরদিন সকালে কালিম্পং এর উদ্দেশে, মাঝখানে ডুয়ারস যাবার ইচ্ছে।
সুমিত যে গাড়ি চালায় সেটা নিয়ে আর বন্ধু দের আর তাদের স্ত্রী দের নিয়ে বেড়িয়ে পরে। অদিতি এই জীবন মেনে নেয় কারন ওর সামনে সুমিত কথা বলেছে শিক্ষা বিভাগের অফিসারের সাথে যিনি ওর বদলির ব্যাবস্থা পাকা করে দিচ্ছেন। অদিতিও তাপসের হাত থেকে বেড়িয়ে আস্তে সুমিত কে আঁকড়ে ধরে।