19-10-2021, 06:03 PM
চিঠিটা যেন হঠাৎই শেষ হয়ে গেলো , পার্থ বুঝতেই পারেনি কখন যে তার চোখ বেয়ে জল অঝোরে বইতে শুরু করেছে । একটু স্তম্ভিত ফিরতেই , সে চেঁচিয়ে উঠলো...
- ঝিলমিল ...
তার চিৎকারে পুরো আশ্রমের প্রতিধ্বনি হচ্ছিলো , প্রথম ডাকে কোনো সাড়া না পেয়ে আবার চেঁচিয়ে উঠলো পার্থ ...
- ঝিলমিল ...
তৃতীয় বার ডাকতে যাবে এমন সময় , পেছন থেকে কে একটা এসে প্যান্ট টানছে , দেখে সে পেছন ঘুরতেই , দেখলো একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে , এক হাতে একটা পেনসিল আরেক হাতে একটা খাতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
পার্থ নীচু হয়ে কোলে তুলে নিলো ঝিলমিলকে , কপালে গালে চুমু খেলো । ঝিলমিল একটুও আটকালো না পার্থকে , শুধু চুমু খাবার পর , হাত দিয়ে গালটা মুছতে লাগলো । সেই দেখে হেসে উঠলো পার্থ , তার ছেলে তাতানও ঠিক এমনি করে , কেউ তার গালে চুমু খাবার পর , পৃথিবীর সব শিশুরাই কেমন একই ছাঁচে তৈরি । পার্থর মুখে হাসি দেখে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো ঝিলমিল । তারপর মহা আগ্রহে কোলে বসেই হাতের খাতাটা পার্থকে দেখাতে লাগলো । পার্থ দেখলো তাতে এক থেকে একশো অবধি দশ বার করে লেখা । শুধু শেষ বারের টাতে তিরাশি অবধি রয়েছে । পার্থ বুঝলো ঝিলমিলের সন্ধ্যের পড়াশুনায় বিরক্ত করেছে সে , এই অসময়ে তাকে ডাকাডাকি করে ।
পরে পার্থ জানতে পারলো , কর্ণ বাবু বলে দিয়ে গেছেন , যাই হয়ে যাক , পড়াশুনায় যেন কোনো কামাই না হয় । এই ছোট্ট মেয়েটি এই অনুশাসনের মধ্যেই বড়ো হচ্ছে । আজ এই রকম একটা দিনেও , কেউ বলেনি তাকে , তবু সে অঙ্কের খাতা নিয়ে প্রতিদিনের কাজে বসে পড়েছে , সন্ধ্যে হতেই । হয়তো সে বুঝতেই পারেনি কি হারিয়ে গেলো তার জীবনে ।
যদিও সেই বোঝার সুযোগটুকুও দেয়নি পার্থ । পরদিন সকালেই ঝিলমিলকে নিয়ে রওনা হয়েছে কলকাতার দিকে । এক আকাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে , বিজ্ঞানী হবে ঝিলমিল ......... কর্ন চক্রবর্ত্তীর নাতনী
ডক্টর ঝিলমিল চক্রবর্ত্তী এখন ইসরোর একজন বড়ো বিঞ্জানী ।।।।।।
# সত্য ঘটনা। ঝিলমিল নাম পরিবর্তিত ।।।
- ঝিলমিল ...
তার চিৎকারে পুরো আশ্রমের প্রতিধ্বনি হচ্ছিলো , প্রথম ডাকে কোনো সাড়া না পেয়ে আবার চেঁচিয়ে উঠলো পার্থ ...
- ঝিলমিল ...
তৃতীয় বার ডাকতে যাবে এমন সময় , পেছন থেকে কে একটা এসে প্যান্ট টানছে , দেখে সে পেছন ঘুরতেই , দেখলো একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে , এক হাতে একটা পেনসিল আরেক হাতে একটা খাতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
পার্থ নীচু হয়ে কোলে তুলে নিলো ঝিলমিলকে , কপালে গালে চুমু খেলো । ঝিলমিল একটুও আটকালো না পার্থকে , শুধু চুমু খাবার পর , হাত দিয়ে গালটা মুছতে লাগলো । সেই দেখে হেসে উঠলো পার্থ , তার ছেলে তাতানও ঠিক এমনি করে , কেউ তার গালে চুমু খাবার পর , পৃথিবীর সব শিশুরাই কেমন একই ছাঁচে তৈরি । পার্থর মুখে হাসি দেখে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো ঝিলমিল । তারপর মহা আগ্রহে কোলে বসেই হাতের খাতাটা পার্থকে দেখাতে লাগলো । পার্থ দেখলো তাতে এক থেকে একশো অবধি দশ বার করে লেখা । শুধু শেষ বারের টাতে তিরাশি অবধি রয়েছে । পার্থ বুঝলো ঝিলমিলের সন্ধ্যের পড়াশুনায় বিরক্ত করেছে সে , এই অসময়ে তাকে ডাকাডাকি করে ।
পরে পার্থ জানতে পারলো , কর্ণ বাবু বলে দিয়ে গেছেন , যাই হয়ে যাক , পড়াশুনায় যেন কোনো কামাই না হয় । এই ছোট্ট মেয়েটি এই অনুশাসনের মধ্যেই বড়ো হচ্ছে । আজ এই রকম একটা দিনেও , কেউ বলেনি তাকে , তবু সে অঙ্কের খাতা নিয়ে প্রতিদিনের কাজে বসে পড়েছে , সন্ধ্যে হতেই । হয়তো সে বুঝতেই পারেনি কি হারিয়ে গেলো তার জীবনে ।
যদিও সেই বোঝার সুযোগটুকুও দেয়নি পার্থ । পরদিন সকালেই ঝিলমিলকে নিয়ে রওনা হয়েছে কলকাতার দিকে । এক আকাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে , বিজ্ঞানী হবে ঝিলমিল ......... কর্ন চক্রবর্ত্তীর নাতনী
ডক্টর ঝিলমিল চক্রবর্ত্তী এখন ইসরোর একজন বড়ো বিঞ্জানী ।।।।।।
# সত্য ঘটনা। ঝিলমিল নাম পরিবর্তিত ।।।