19-10-2021, 02:47 PM
*"ইয়েটা পরুন!"*
-দাদা, আছেন নাকি?
রিনরিনে ঝিনঝিনে গলা ভেসে আসতেই পাজামার দড়ি টাইট কত্তে কত্তে দরজা খুলল দাদা । গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে মিঙ্কু বৌদি। দাদার উদাসী মনটা হঠাৎ করেই বেশ একটু ফুরফুরে হয়ে উঠল। কেন? সে তো মোটামুটি সবাই জানে। দাদার মিঙ্কুবৌদির প্রতি ইট্টু ইয়ে, মানে দুর্বলতা আছে। মিঙ্কুবৌদি যখন রোজ ভোরবেলায় ছাদে স্কিপিং করে, তখন দাদার মনে হয় সমস্ত পৃথিবী, চরাচর , এটা, ওটা, সেটা সব যেন অদ্ভুত এক মাদকতাময় ছন্দে নেচে নেচে উঠছে। আহা , সে এক স্বর্গীয় দৃশ্য। সেই সময়টায় লাফানোর ফাঁকে ফাঁকে ওরা খানিক গপ্পও করে। সে বড় চিনি গোলা মিঠে সময় দাদার। তো, সেই মিঙ্কুবৌদি তাকে ডাকছে।
- আরে, আমার কি সৌভাগ্য। আসুন আসুন। ভিতরে আসুন।
বলে গেট খুলে দাঁড়াল দাদা । মিঙ্কুবৌদি একটু দোনামনা করে দাদাকে একবার ভাল করে দেখে খানিকটা চিন্তান্বিত স্বরেই বলল
- আসব ! কিন্তু আপনি তো ইয়েটা পরেন নি । কোন বিপদ হয়ে গেলে...?
বিপদ? মুহূর্তে দাদা ভয়ানক চমকে একবার নিচের দিকে দেখল। বাড়িতে থাকলে পরার দরকার হয় না বটে। কিন্তু , তার ফলে তার অনুভূতিগুলো প্রকাশিত হয়ে পড়ছে নাকি! শালা খচ্চর ল্যাজ !! হে ভগবান, কি বিপদ, কি বিপদ!!!
- না , মানে বাড়িতে তো একাই ছিলাম, তাই আর কি পরা হয় নি।
তুতলিয়ে তুতলিয়ে মিনমিন করে বলল দাদা ।
এবার গলায় একটু আবদারে আদুরে ভাব এনেই মিঙ্কুবৌদি বলল:
- কিন্তু, আমি যখন এলাম, তখন তো অন্তত পরে আসতেন। এইটুকু সাবধানতা তো রাখতেই হবে। মানে, বুঝতেই পারছেন, এই ভাবেই তো কত বিপদ হয়। যান, আগে গিয়ে আপনি পরে আসুন, তারপর আমি ভিতরে আসব।
আপদ, এইভাবেও বিপদ হয় নাকি! বাবা, বিজ্ঞান এত উন্নত হয়ে গেল কবে! মনে মনে বিড়বিড় করে উঠল দাদা ।
- ও, আচ্ছা, দাঁড়ান.....
বলেই ভিতরপানে দৌড়ল দাদা । তড়িঘড়ি আলনা থেকে হাতড়ে নিয়ে পরে ফেললো। তার ওপরে পাজামা গলিয়ে আবার ফিরে এল গেটের সামনে।
- হ্যাঁ, পরেছি, এবার নিশ্চিন্তে আসুন। আর কোন বিপদ হবে না।
অবাক চোখে দাদার দিকে আপাদমস্তক জরিপ করে মিঙ্কুবৌদি বলল:
- পরেছেন! কই?
মুখ তো ফাঁকা...। মাস্ক কোথায়?? দূর, এত রিস্ক আমি নিতে পারব না। চললাম, পরে আসব। ও হ্যাঁ , আবার বলছি, যদি পরেন, তবেই আসব কিন্তু....।
হতভম্ব দাদা ভ্যাবাচ্যাকা চোখে গজগামিনী ঢঙে চলে যাওয়া মিঙ্কুবৌদির দিকে তাকিয়ে রইল।।।
*মরাল অফ দি স্টোরি : কি পরবেন কি পরবেন না, সে আপনার ব্যাপার, কিন্তু বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মাস্কটা অবশ্যই পরুন।*
-দাদা, আছেন নাকি?
রিনরিনে ঝিনঝিনে গলা ভেসে আসতেই পাজামার দড়ি টাইট কত্তে কত্তে দরজা খুলল দাদা । গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে মিঙ্কু বৌদি। দাদার উদাসী মনটা হঠাৎ করেই বেশ একটু ফুরফুরে হয়ে উঠল। কেন? সে তো মোটামুটি সবাই জানে। দাদার মিঙ্কুবৌদির প্রতি ইট্টু ইয়ে, মানে দুর্বলতা আছে। মিঙ্কুবৌদি যখন রোজ ভোরবেলায় ছাদে স্কিপিং করে, তখন দাদার মনে হয় সমস্ত পৃথিবী, চরাচর , এটা, ওটা, সেটা সব যেন অদ্ভুত এক মাদকতাময় ছন্দে নেচে নেচে উঠছে। আহা , সে এক স্বর্গীয় দৃশ্য। সেই সময়টায় লাফানোর ফাঁকে ফাঁকে ওরা খানিক গপ্পও করে। সে বড় চিনি গোলা মিঠে সময় দাদার। তো, সেই মিঙ্কুবৌদি তাকে ডাকছে।
- আরে, আমার কি সৌভাগ্য। আসুন আসুন। ভিতরে আসুন।
বলে গেট খুলে দাঁড়াল দাদা । মিঙ্কুবৌদি একটু দোনামনা করে দাদাকে একবার ভাল করে দেখে খানিকটা চিন্তান্বিত স্বরেই বলল
- আসব ! কিন্তু আপনি তো ইয়েটা পরেন নি । কোন বিপদ হয়ে গেলে...?
বিপদ? মুহূর্তে দাদা ভয়ানক চমকে একবার নিচের দিকে দেখল। বাড়িতে থাকলে পরার দরকার হয় না বটে। কিন্তু , তার ফলে তার অনুভূতিগুলো প্রকাশিত হয়ে পড়ছে নাকি! শালা খচ্চর ল্যাজ !! হে ভগবান, কি বিপদ, কি বিপদ!!!
- না , মানে বাড়িতে তো একাই ছিলাম, তাই আর কি পরা হয় নি।
তুতলিয়ে তুতলিয়ে মিনমিন করে বলল দাদা ।
এবার গলায় একটু আবদারে আদুরে ভাব এনেই মিঙ্কুবৌদি বলল:
- কিন্তু, আমি যখন এলাম, তখন তো অন্তত পরে আসতেন। এইটুকু সাবধানতা তো রাখতেই হবে। মানে, বুঝতেই পারছেন, এই ভাবেই তো কত বিপদ হয়। যান, আগে গিয়ে আপনি পরে আসুন, তারপর আমি ভিতরে আসব।
আপদ, এইভাবেও বিপদ হয় নাকি! বাবা, বিজ্ঞান এত উন্নত হয়ে গেল কবে! মনে মনে বিড়বিড় করে উঠল দাদা ।
- ও, আচ্ছা, দাঁড়ান.....
বলেই ভিতরপানে দৌড়ল দাদা । তড়িঘড়ি আলনা থেকে হাতড়ে নিয়ে পরে ফেললো। তার ওপরে পাজামা গলিয়ে আবার ফিরে এল গেটের সামনে।
- হ্যাঁ, পরেছি, এবার নিশ্চিন্তে আসুন। আর কোন বিপদ হবে না।
অবাক চোখে দাদার দিকে আপাদমস্তক জরিপ করে মিঙ্কুবৌদি বলল:
- পরেছেন! কই?
মুখ তো ফাঁকা...। মাস্ক কোথায়?? দূর, এত রিস্ক আমি নিতে পারব না। চললাম, পরে আসব। ও হ্যাঁ , আবার বলছি, যদি পরেন, তবেই আসব কিন্তু....।
হতভম্ব দাদা ভ্যাবাচ্যাকা চোখে গজগামিনী ঢঙে চলে যাওয়া মিঙ্কুবৌদির দিকে তাকিয়ে রইল।।।
*মরাল অফ দি স্টোরি : কি পরবেন কি পরবেন না, সে আপনার ব্যাপার, কিন্তু বাইরের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মাস্কটা অবশ্যই পরুন।*