19-10-2021, 09:46 AM
জীবনে প্রথম সে অত বড় লম্বা প্রানী দেখেছিল। কি জিজ্ঞাসা করতে বাবা উত্তর দিয়েছিল, ‘ওটাকে জিরাফ বলে।’
ওরা সেদিন ওডোবন পার্কের চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিল। প্রায় প্রতি রবিবারই বাবা, মা আর তাকে নিয়ে কোথাও না কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেত। কখনো ব্যান্ড কন্সার্ট শুনতে, আবার কখনো অ্যাকোরিয়াম দেখাতে। আবার কখনও চিড়িয়াখানাও যেত ওরা। ধীর পায়ে প্রতিটা খাঁচার সামনে দিয়ে হেঁটে বেড়াতো, দেখত খাঁচার মধ্যে রাখা পশু পাখিদের।
‘আচ্ছা পাপা, ওদের এভাবে খাঁচার মধ্যে রাখাতে ওদের খারাপ লাগে না?’
বাবা ওর কথা শুনে হেসে উঠত। ‘না ট্রেসি। বরং ওরা চমৎকার আছে এখানে। ওদেরকে খাবার দেওয়া হচ্ছে, দেখা শোনা করা হচ্ছে। আর ওদের কোন শত্রুও ওদের কোন ক্ষতি করতে পারে না। বেশ দিব্বি আছে ওরা। খুব ভালো আছে।’
কিন্তু ট্রেসির মনে হত, না, ওরা খুব দুঃখি। তার ইচ্ছা করত খাঁচার দরজাগুলো খুলে দিতে। ছেড়ে দিতে ওদের বাইরে, খাঁচার বাইরে। ভাবত, ও নিজেও কোনদিন এই রকম খাঁচায় থাকবে না। খুব খারাপ এই ভাবে থাকাটা।
******
ওরা সেদিন ওডোবন পার্কের চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছিল। প্রায় প্রতি রবিবারই বাবা, মা আর তাকে নিয়ে কোথাও না কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেত। কখনো ব্যান্ড কন্সার্ট শুনতে, আবার কখনো অ্যাকোরিয়াম দেখাতে। আবার কখনও চিড়িয়াখানাও যেত ওরা। ধীর পায়ে প্রতিটা খাঁচার সামনে দিয়ে হেঁটে বেড়াতো, দেখত খাঁচার মধ্যে রাখা পশু পাখিদের।
‘আচ্ছা পাপা, ওদের এভাবে খাঁচার মধ্যে রাখাতে ওদের খারাপ লাগে না?’
বাবা ওর কথা শুনে হেসে উঠত। ‘না ট্রেসি। বরং ওরা চমৎকার আছে এখানে। ওদেরকে খাবার দেওয়া হচ্ছে, দেখা শোনা করা হচ্ছে। আর ওদের কোন শত্রুও ওদের কোন ক্ষতি করতে পারে না। বেশ দিব্বি আছে ওরা। খুব ভালো আছে।’
কিন্তু ট্রেসির মনে হত, না, ওরা খুব দুঃখি। তার ইচ্ছা করত খাঁচার দরজাগুলো খুলে দিতে। ছেড়ে দিতে ওদের বাইরে, খাঁচার বাইরে। ভাবত, ও নিজেও কোনদিন এই রকম খাঁচায় থাকবে না। খুব খারাপ এই ভাবে থাকাটা।
******