18-10-2021, 11:28 AM
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পেটে বাচ্চা আসলো । সবাই খুশি, আমিও খুশি , নিজেরে ভরা ভরা লাগতাসিলো , মনে হইতেসিলো জীবনে আর কিছুই চাওয়ার নাই । কিন্তু এতো সুখ মনেহয় আমার কপালে সইলো না । চাকরি গেলো আমার জামাই এর , হের মাথায় পোকা উঠলো বিদেশ যাবে , দেশে কিছু করার নাই । শ্বশুর বাড়ির সবাই সায় দিলো । আমি ব্যাপারটা মানতে না পারলেও সায় দিলাম ।
কিন্তু বিপত্তি বাধলো টাকা নিয়া, আমার যা গয়না আসিলো সেগুলা বেইচ্চা ও টাকা হইলো না । আমার বাপের কাছে টাকা চাইলো দুই লাখ । টাকা দিবো তো দুরের কথা এতো টাকা আমার বাপ জীবনে চোখেও দেখে নাই । শুরু হলো অসান্তি , বিয়ার পর যে মানুষটাকে চিনতাম দিনাদিন অন্য মানুষ হইয়া গেলো । মাইরপীট করতো , পেটের বাচ্চা নষ্ট হইয়া গেলো । অবস্থা বেগতিক দেইখা বাপ সুদে টাকা নিয়া এক লাখ টাকা দিলো ।
ওমা কয়দিন পর দেখি বাবু আর বিদেশ যাওয়ার নাম নেয় না । নতুন নতুন পান খাওয়া ধরলো, দামি সেন্ট লাগায়, সেন্টের গন্ধে লগে বহন যায় না । কিছু বললেই খ্যাঁক করে ওঠে , একদিন আর পারলাম না , টাকার কথা কইলাম , অমনি বাবু আমারে তালাক দিলো ……… আমি তো আসমান থেইকা পড়লাম । তালাক দিলেও ঘর থেকে বাইর হইলাম না , মাইর খাইলাম গুতা খাইলাম । কিন্তু কয়দিন পর দেখি বাবু আর একটা বিয়া করসে ।
আর থাকতে পারলাম না চইলা আসলাম বাপের বাড়ি । অবশ্য আমার বাপের নিজের বাড়ি নাই, গুলশান লেকের বস্তিতে ভাড়া থাকে । আমারে দেইখা বাপ নিলো বিছানা, এর পর থেইকা এমন কোন রোগ নাই যা আমার বাপের ধরা পড়েনাই । মায় খালি কান্দে আর ইনায়া বিনায়া ওই এক লাখ টাকার কথা বলে ।
ঘরে আরও দুই মাইয়া, একদিন মায় গেলো গলায় দড়ি দিতে, উপায় না দেইখা এই লাইনে আইলাম, ইঙ্কাম মন্দ না ।
খাতা কলম নিয়ে বসা ছেলেটির চোখ চক চক করছে, দারুন গল্প, কি নেই এতে, অসুস্থ বাবা, ছোট বোন, যৌতুক, নারী নির্যাতন, তালাক উফ একটু রঙ চং মেখে লিখতে পারলে আর কে ঠেকায় ।
বেশ অনেক্ষন দুখী দুখী ভাবটা ধরে রাখে চামেলী, কিন্তু শেষে আর পারে না, খিল খিল করে হেঁসে ফেলে বলে ……এইবার কাহিনী পছন্দ হইসে , দেন আমার টাকা দেন আমি যাই … হি হি হি
হা করে তাকিয়ে থাকে ছেলেটি,এবার একটু রাগ হয়, বেশ রাগের সাথেই বলে ……… তোমাকে টাকা দিয়ে এনেছি এমন করছো কেনো?
আহারে আমার সোনা রে…… চুক চুক । টাকা তো ঠিক হইসিলো কামের জন্য, প্যাঁচাল পারার জন্য না । বেশি কথা বলবেন একটা চিৎকার দিমু, হাড্ডি মাংস আলাদা হইয়া যাবে ।
একটা ঢোক গেলে ছেলেটি , মেয়েটি যে চাইলে এসব পারে সেটার সম্পর্কে আবছা একটা ধারনা ওর আছে । এসব পতিতা দের পেছনে বড় সিন্ডিকেট থাকে । সেই সিন্ডিকেটে পুলিশ থেকে শুরু করে মাস্তান থাকে , মাস্তান্দের কাজ হচ্ছে এই মেয়েদের প্রটেকশন দেয়া ।
আহা রাগ করো না , আমার যদি একটু উপকার করো তাহলে তোমার কি ক্ষতি ? আকুতি করে ছেলেটি
আরে ভাই , সত্যি জাইনা আপ্নে কি করবেন , আপ্নে লেখবেন গল্পো , আমি যে কাহিনী বললাম সেটা গল্প লেখার জন্য একদম ফিট । আপনি চাইলে এর উপরে রঙ মিশাইয়া দারুন গল্প লেখতে পারেন , অবশ্য যদি আপনি ভালো লেখক হন । আচ্ছা আপনের কি বই ছাপা হইসে ? জিজ্ঞাস করে চামেলী
না… মানে এখনো হয়নি , তবে হবে ।
হি হি হি হি … তাইলে তো আপনে ভালো লেখক না, ধুর আমার কাহিনী আজাইরা কারো কাসে বলবো না ।
প্লিজ তোমার গল্প দিয়েই হয়ত আমার প্রথম লেখা ছাপা হবে, আমি আমার প্রথম বই তোমার নামে উৎসর্গ করবো, প্লিজ প্লিজ
বই ছাপার নাম নাই আবার উৎসর্গ ……বেঙ্গ করে বলে চামেলী,তারপর কি ভেবে জানি জিজ্ঞাস করে, কি লেখবেন উৎসর্গ তে? “বেশ্যা মাগি চামেলী কে” হা হা হা
একটু চুপ হয়ে কি জেনো ভাবে ছেলেটি … তারপর বলে না লিখবো “মধ্য রাতের ফুল চামেলী কে”
কিন্তু বিপত্তি বাধলো টাকা নিয়া, আমার যা গয়না আসিলো সেগুলা বেইচ্চা ও টাকা হইলো না । আমার বাপের কাছে টাকা চাইলো দুই লাখ । টাকা দিবো তো দুরের কথা এতো টাকা আমার বাপ জীবনে চোখেও দেখে নাই । শুরু হলো অসান্তি , বিয়ার পর যে মানুষটাকে চিনতাম দিনাদিন অন্য মানুষ হইয়া গেলো । মাইরপীট করতো , পেটের বাচ্চা নষ্ট হইয়া গেলো । অবস্থা বেগতিক দেইখা বাপ সুদে টাকা নিয়া এক লাখ টাকা দিলো ।
ওমা কয়দিন পর দেখি বাবু আর বিদেশ যাওয়ার নাম নেয় না । নতুন নতুন পান খাওয়া ধরলো, দামি সেন্ট লাগায়, সেন্টের গন্ধে লগে বহন যায় না । কিছু বললেই খ্যাঁক করে ওঠে , একদিন আর পারলাম না , টাকার কথা কইলাম , অমনি বাবু আমারে তালাক দিলো ……… আমি তো আসমান থেইকা পড়লাম । তালাক দিলেও ঘর থেকে বাইর হইলাম না , মাইর খাইলাম গুতা খাইলাম । কিন্তু কয়দিন পর দেখি বাবু আর একটা বিয়া করসে ।
আর থাকতে পারলাম না চইলা আসলাম বাপের বাড়ি । অবশ্য আমার বাপের নিজের বাড়ি নাই, গুলশান লেকের বস্তিতে ভাড়া থাকে । আমারে দেইখা বাপ নিলো বিছানা, এর পর থেইকা এমন কোন রোগ নাই যা আমার বাপের ধরা পড়েনাই । মায় খালি কান্দে আর ইনায়া বিনায়া ওই এক লাখ টাকার কথা বলে ।
ঘরে আরও দুই মাইয়া, একদিন মায় গেলো গলায় দড়ি দিতে, উপায় না দেইখা এই লাইনে আইলাম, ইঙ্কাম মন্দ না ।
খাতা কলম নিয়ে বসা ছেলেটির চোখ চক চক করছে, দারুন গল্প, কি নেই এতে, অসুস্থ বাবা, ছোট বোন, যৌতুক, নারী নির্যাতন, তালাক উফ একটু রঙ চং মেখে লিখতে পারলে আর কে ঠেকায় ।
বেশ অনেক্ষন দুখী দুখী ভাবটা ধরে রাখে চামেলী, কিন্তু শেষে আর পারে না, খিল খিল করে হেঁসে ফেলে বলে ……এইবার কাহিনী পছন্দ হইসে , দেন আমার টাকা দেন আমি যাই … হি হি হি
হা করে তাকিয়ে থাকে ছেলেটি,এবার একটু রাগ হয়, বেশ রাগের সাথেই বলে ……… তোমাকে টাকা দিয়ে এনেছি এমন করছো কেনো?
আহারে আমার সোনা রে…… চুক চুক । টাকা তো ঠিক হইসিলো কামের জন্য, প্যাঁচাল পারার জন্য না । বেশি কথা বলবেন একটা চিৎকার দিমু, হাড্ডি মাংস আলাদা হইয়া যাবে ।
একটা ঢোক গেলে ছেলেটি , মেয়েটি যে চাইলে এসব পারে সেটার সম্পর্কে আবছা একটা ধারনা ওর আছে । এসব পতিতা দের পেছনে বড় সিন্ডিকেট থাকে । সেই সিন্ডিকেটে পুলিশ থেকে শুরু করে মাস্তান থাকে , মাস্তান্দের কাজ হচ্ছে এই মেয়েদের প্রটেকশন দেয়া ।
আহা রাগ করো না , আমার যদি একটু উপকার করো তাহলে তোমার কি ক্ষতি ? আকুতি করে ছেলেটি
আরে ভাই , সত্যি জাইনা আপ্নে কি করবেন , আপ্নে লেখবেন গল্পো , আমি যে কাহিনী বললাম সেটা গল্প লেখার জন্য একদম ফিট । আপনি চাইলে এর উপরে রঙ মিশাইয়া দারুন গল্প লেখতে পারেন , অবশ্য যদি আপনি ভালো লেখক হন । আচ্ছা আপনের কি বই ছাপা হইসে ? জিজ্ঞাস করে চামেলী
না… মানে এখনো হয়নি , তবে হবে ।
হি হি হি হি … তাইলে তো আপনে ভালো লেখক না, ধুর আমার কাহিনী আজাইরা কারো কাসে বলবো না ।
প্লিজ তোমার গল্প দিয়েই হয়ত আমার প্রথম লেখা ছাপা হবে, আমি আমার প্রথম বই তোমার নামে উৎসর্গ করবো, প্লিজ প্লিজ
বই ছাপার নাম নাই আবার উৎসর্গ ……বেঙ্গ করে বলে চামেলী,তারপর কি ভেবে জানি জিজ্ঞাস করে, কি লেখবেন উৎসর্গ তে? “বেশ্যা মাগি চামেলী কে” হা হা হা
একটু চুপ হয়ে কি জেনো ভাবে ছেলেটি … তারপর বলে না লিখবো “মধ্য রাতের ফুল চামেলী কে”