18-10-2021, 11:26 AM
কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে চামেলী ছেলেটার দিকে তারপর, বড় একটা নিশ্বাস ফেলে, আচ্ছা কন কি জানতে চান,
তোমার বয়স কত ?
এই হইবো ২৫-২৬ , তয় ভাই আপনি ভুল যায়গায় আসছেন , আমার কাহিনী লইলে আপনের লেখা ভালো হইবো না , আমার কাহিনী দুঃখের না ।
ছেলেটি একটু অবাক হয়ে তাকায় চামেলীর দিকে, বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে ওর কাছে চামেলীর চরিত্র । মনে মনে ভাবে জ্যাক পট লেগেছে ওর হাতে, নিশ্চয়ই মেয়েটির কথা বার্তার মতো ওর গল্প ও ইন্টারেস্টিং হবে । লোভে চক চক করে ওঠে বাচ্চা লেখক এর চোখ, মনে মনে ভাবে এসব পতিতাদের নিয়ে লিখলে এমনিতেই মানুষ খায়, আর যদি একটু অন্যরকম গল্প লেখা যায় তাহলে তো কথাই নেই । নিশ্চয়ই কোন পত্রিকায় ছাপা হবে ।
দুঃখের কাহিনী লাগবে না চামেলী তুমি তোমার কাহিনী বলো,
আমার আবার কি কাহিনী, কাম করি ভাত খাই …… পেট আর চ্যাট …… তয় আমাগো টারে চ্যাট কেউ কয় না, ব্যাটা মাইনসের টারে চ্যাট কয় হি হি হি হি দুলে দুলে হেঁসে ওঠে চামেলী । পাশের সেই মেয়েটি যার মাথা এতক্ষণ সঙ্গির কোলের উপর ছিলো, সে এখন টাকা গুনছে, কাজ শেষ । হাক দিয়ে ওঠে চামেলী কে উদ্দেশ্য করে …… কিরে মাগি রসের নাগর পাইসস মনে হয়।
ধুর বালের নাগর, রস নাই …… কথা কইবো খালি
পাশের মেয়েটি আর আকর্ষণ বোধ করে না, দ্রুত কেটে পড়ে, ওই মেয়েটির খদ্দের ও ভয় পেয়ে যায় । যারা টাকা দিয়ে মেয়েছেলে ভাড়া করে সুধু কথা বলে তাদের সবাই একটু অন্য চোখেই দেখে ।
আপনি কি সত্যি কাম করবেন না ? সাংবাদিকরা কিন্তু কথাও কয় আবার কাম ও করে ……… হি হি হি
কতদিন হলো এই লাইনে ? ছেলেটি চামেলীর আহ্বান অগ্রাহ্য করে
এই চাইর বছর হইবো … কর গুনে উত্তর দেয় চামেলী
কেনো এলে ?
এক পোলারে ভালবাসতাম, সেই আমারে ছেঁকা দিয়ে এই লাইনে আনসে ………… হি হি হি এমন কথাই শুনতে চান তো ……… হি হি হি
প্লিজ চামেলী হেঁয়ালি না করে সত্যি করে বলো না, আমার একটু উপকার হবে ,
এবার চামেলীর মুখ সিরিয়াস হয়ে ওঠে , আচ্ছা যান সত্যি কইতাসি এইবার ……… গরীবের মাইয়া , বাপ , মা আর তিন বইন। বাপে কাঁচা সব্জি বেচতো , ভালই দিন কাটতেসিলো , আমি আইয়ে পাশ কইরা , গারমেন্টসে চাকরি নিসিলাম । যতদিন পারি বাপের একটু সাহায্য করার লইগা । আমার বাপ মা অবশ্য রাজি আসিলো না । হেরা আমার বিয়া দিতে চাইত , কিন্তু আমি তো জানি বাপের হাতে টেকা নাই যে আমারে বিয়া দিবো । বি এ তে ভর্তি হইসিলাম , পরালেখাও করতাম ।
একদিন এক ভালো সম্বন্ধ পাইয়া বাপ আমার বিয়া ঠিক করলো । পোলা পক্ষ কিছুই চায় না, তাদের মেয়ে দেইখা অনেক পছন্দ হইসে । বিয়া হইয়া ও গেলো, সুখেই আসিলাম । জামাই চায়না আমি চাকরি করি, খুশি মনে চাকরি ছাইরা দিলাম । আমার নিজের ও কাম করতে ভালো লাগত না । সুখে শান্তিতে ঘর করতে সিলাম । তবে সমস্যা যে ছিলো না তেমন না । একটু আধটু সমস্যা সব সংসারেই থাকে, শাশুড়ি ননদ থাকলে একটু ঠুকাঠুকি তো লাগবই ।
তোমার বয়স কত ?
এই হইবো ২৫-২৬ , তয় ভাই আপনি ভুল যায়গায় আসছেন , আমার কাহিনী লইলে আপনের লেখা ভালো হইবো না , আমার কাহিনী দুঃখের না ।
ছেলেটি একটু অবাক হয়ে তাকায় চামেলীর দিকে, বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে ওর কাছে চামেলীর চরিত্র । মনে মনে ভাবে জ্যাক পট লেগেছে ওর হাতে, নিশ্চয়ই মেয়েটির কথা বার্তার মতো ওর গল্প ও ইন্টারেস্টিং হবে । লোভে চক চক করে ওঠে বাচ্চা লেখক এর চোখ, মনে মনে ভাবে এসব পতিতাদের নিয়ে লিখলে এমনিতেই মানুষ খায়, আর যদি একটু অন্যরকম গল্প লেখা যায় তাহলে তো কথাই নেই । নিশ্চয়ই কোন পত্রিকায় ছাপা হবে ।
দুঃখের কাহিনী লাগবে না চামেলী তুমি তোমার কাহিনী বলো,
আমার আবার কি কাহিনী, কাম করি ভাত খাই …… পেট আর চ্যাট …… তয় আমাগো টারে চ্যাট কেউ কয় না, ব্যাটা মাইনসের টারে চ্যাট কয় হি হি হি হি দুলে দুলে হেঁসে ওঠে চামেলী । পাশের সেই মেয়েটি যার মাথা এতক্ষণ সঙ্গির কোলের উপর ছিলো, সে এখন টাকা গুনছে, কাজ শেষ । হাক দিয়ে ওঠে চামেলী কে উদ্দেশ্য করে …… কিরে মাগি রসের নাগর পাইসস মনে হয়।
ধুর বালের নাগর, রস নাই …… কথা কইবো খালি
পাশের মেয়েটি আর আকর্ষণ বোধ করে না, দ্রুত কেটে পড়ে, ওই মেয়েটির খদ্দের ও ভয় পেয়ে যায় । যারা টাকা দিয়ে মেয়েছেলে ভাড়া করে সুধু কথা বলে তাদের সবাই একটু অন্য চোখেই দেখে ।
আপনি কি সত্যি কাম করবেন না ? সাংবাদিকরা কিন্তু কথাও কয় আবার কাম ও করে ……… হি হি হি
কতদিন হলো এই লাইনে ? ছেলেটি চামেলীর আহ্বান অগ্রাহ্য করে
এই চাইর বছর হইবো … কর গুনে উত্তর দেয় চামেলী
কেনো এলে ?
এক পোলারে ভালবাসতাম, সেই আমারে ছেঁকা দিয়ে এই লাইনে আনসে ………… হি হি হি এমন কথাই শুনতে চান তো ……… হি হি হি
প্লিজ চামেলী হেঁয়ালি না করে সত্যি করে বলো না, আমার একটু উপকার হবে ,
এবার চামেলীর মুখ সিরিয়াস হয়ে ওঠে , আচ্ছা যান সত্যি কইতাসি এইবার ……… গরীবের মাইয়া , বাপ , মা আর তিন বইন। বাপে কাঁচা সব্জি বেচতো , ভালই দিন কাটতেসিলো , আমি আইয়ে পাশ কইরা , গারমেন্টসে চাকরি নিসিলাম । যতদিন পারি বাপের একটু সাহায্য করার লইগা । আমার বাপ মা অবশ্য রাজি আসিলো না । হেরা আমার বিয়া দিতে চাইত , কিন্তু আমি তো জানি বাপের হাতে টেকা নাই যে আমারে বিয়া দিবো । বি এ তে ভর্তি হইসিলাম , পরালেখাও করতাম ।
একদিন এক ভালো সম্বন্ধ পাইয়া বাপ আমার বিয়া ঠিক করলো । পোলা পক্ষ কিছুই চায় না, তাদের মেয়ে দেইখা অনেক পছন্দ হইসে । বিয়া হইয়া ও গেলো, সুখেই আসিলাম । জামাই চায়না আমি চাকরি করি, খুশি মনে চাকরি ছাইরা দিলাম । আমার নিজের ও কাম করতে ভালো লাগত না । সুখে শান্তিতে ঘর করতে সিলাম । তবে সমস্যা যে ছিলো না তেমন না । একটু আধটু সমস্যা সব সংসারেই থাকে, শাশুড়ি ননদ থাকলে একটু ঠুকাঠুকি তো লাগবই ।