18-10-2021, 09:57 AM
ঘড়ি ধরে ঠিক তিরিশ মিনিট, যখন থেকে মেয়েরা খাবার ঘরে এসেছে, ঘন্টা বেজে উঠল আবার। খাবার সময় শেষ। যে যার সেলে ফিরে যেতে হবে। প্রত্যেকে ঘন্টার আওয়াজে টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। পাউলিটা পাশের একজনের কাছ থেকে প্লেটে পড়ে থাকা খানিকটা সবজির ল্যাবড়া প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে গলার্ধরন করে নিল ওই টুকু সময়ের সুযোগে। যা পাওয়া যায় আরকি। মেট্রনের তত্বাবধানে আবার প্রত্যেকে লাইন করে দাঁড়াল। খাবার সময় শেষ। যে যার সেলে ফেরার পালা। ঠিক যে ভাবে এসেছিলে, সেই ভাবেই লাইন করে ফিরে যেতে থাকল নির্দিষ্ট সেলে। এখন চারটে বাজে। এখন থেকে ঠিক পাঁচ ঘন্টা পর সমস্ত আলো নিভে যাবে কারাগারের সেলগুলির।
ট্রেসি সেলে ফিরে আশ্চর্য হয়ে গেল আর্নেস্টাইনকে দেখে। ওদের ফেরার আগেই কখন সে ফিরে এসেছে তাদের সেলে। অদ্ভুত! খাবার সময়টাতে তো একে চোখেই পড়ে নি? ছিল কোথায় ওই সময়টাতে? সেলের কোনে টয়লেটটার দিকে তাকালো। খুব প্রয়োজন এই মুহুর্তে টয়লেটটা ব্যবহার করার। কিন্তু এই আলোর মধ্যে সকলের সামনে সেটা ব্যবহার করতে সঙ্কচে বাধল। না। থাক। এখন নয়। আলো নিভে গেলে না হয় তখন একবার চেষ্টা করা যাবে’খন। চুপ চাপ গিয়ে নিজের নির্দিষ্ট বাঙ্কের কোনে বসল।
‘রাতের খাবার খাওয়া হয় নি কেন? খুব বোকামীর কাজ করেছিস,’ তার উদ্দেশ্যে আর্নেস্টাইন বলে উঠল।
আমি খাইনি, সেটা ও জানলো কি করে? আর আমার প্রতি এত দয়াই বা দেখাচ্ছে কেন? প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টে জিজ্ঞাসা করল, ‘ওয়ার্ডেনের সাথে কি ভাবে দেখা করা যাবে?’
‘একটা লিখিত অনুরোধ করতে পারিস, কিন্তু ওই কাগজটা গার্ডরা টয়লেট পেপার হিসাবে ব্যবহার করবে, সেটা বলতে পারি।’ ঝট করে নিজের জায়গা থেকে উঠে ট্রেসির কাছে সরে এল। এসে ট্রেসির ওপর প্রায় ঝুঁকে দাঁড়াল। ওর মুখের দিকে ট্রেসি চোখ তুলে তাকালো। আর্নেস্টাইন বলে উঠল, ‘একটা কথা বলি মন দিয়ে শোন, এখানে অনেক কিছু ঘটতে পারে যেটা তোকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তোর শুধু কি প্রয়োজন জানিস? একজন প্রকৃত বন্ধুর। যে তোকে কিনা সমস্ত আপদ বিপদ থেকে বাঁচাবে।’ বলেই দাঁত বের করে নিঃশব্দে হেসে উঠল। তার দাঁতের সামনের সারিতে একটা সোনার দাঁত চকচক করে উঠল আলো পড়ে। শান্ত গলায় বলতে থাকল, ‘এমন একজন যে কিনা এই চিড়িয়াখানার প্রতিটা রন্ধ্র চেনে, জানে, বুঝেছিস।’ ট্রেসির ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হল যেন পুরো সিলিংটা জুড়ে ট্রেসির সামনে শুধুই ওর মুখটাই ভাসছে।
******
ট্রেসি সেলে ফিরে আশ্চর্য হয়ে গেল আর্নেস্টাইনকে দেখে। ওদের ফেরার আগেই কখন সে ফিরে এসেছে তাদের সেলে। অদ্ভুত! খাবার সময়টাতে তো একে চোখেই পড়ে নি? ছিল কোথায় ওই সময়টাতে? সেলের কোনে টয়লেটটার দিকে তাকালো। খুব প্রয়োজন এই মুহুর্তে টয়লেটটা ব্যবহার করার। কিন্তু এই আলোর মধ্যে সকলের সামনে সেটা ব্যবহার করতে সঙ্কচে বাধল। না। থাক। এখন নয়। আলো নিভে গেলে না হয় তখন একবার চেষ্টা করা যাবে’খন। চুপ চাপ গিয়ে নিজের নির্দিষ্ট বাঙ্কের কোনে বসল।
‘রাতের খাবার খাওয়া হয় নি কেন? খুব বোকামীর কাজ করেছিস,’ তার উদ্দেশ্যে আর্নেস্টাইন বলে উঠল।
আমি খাইনি, সেটা ও জানলো কি করে? আর আমার প্রতি এত দয়াই বা দেখাচ্ছে কেন? প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টে জিজ্ঞাসা করল, ‘ওয়ার্ডেনের সাথে কি ভাবে দেখা করা যাবে?’
‘একটা লিখিত অনুরোধ করতে পারিস, কিন্তু ওই কাগজটা গার্ডরা টয়লেট পেপার হিসাবে ব্যবহার করবে, সেটা বলতে পারি।’ ঝট করে নিজের জায়গা থেকে উঠে ট্রেসির কাছে সরে এল। এসে ট্রেসির ওপর প্রায় ঝুঁকে দাঁড়াল। ওর মুখের দিকে ট্রেসি চোখ তুলে তাকালো। আর্নেস্টাইন বলে উঠল, ‘একটা কথা বলি মন দিয়ে শোন, এখানে অনেক কিছু ঘটতে পারে যেটা তোকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে। তোর শুধু কি প্রয়োজন জানিস? একজন প্রকৃত বন্ধুর। যে তোকে কিনা সমস্ত আপদ বিপদ থেকে বাঁচাবে।’ বলেই দাঁত বের করে নিঃশব্দে হেসে উঠল। তার দাঁতের সামনের সারিতে একটা সোনার দাঁত চকচক করে উঠল আলো পড়ে। শান্ত গলায় বলতে থাকল, ‘এমন একজন যে কিনা এই চিড়িয়াখানার প্রতিটা রন্ধ্র চেনে, জানে, বুঝেছিস।’ ট্রেসির ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হল যেন পুরো সিলিংটা জুড়ে ট্রেসির সামনে শুধুই ওর মুখটাই ভাসছে।
******