17-10-2021, 09:53 AM
সে বছরের জন্মদিনটা কোনদিন ভুলতে পারবে না ট্রেসি। তখন তার বয়স দশ। বাবা এসে জানালো, ‘আজ আমরা সবাই অ্যান্টনিতে ডিনার করতে যাচ্ছি।’
অ্যান্টনি! উফ! নামটার সাথে একটা অদ্ভুত মাদকতা জড়িয়ে আছে। একটা জগত... একটা সম্পূর্ণ আলাদা জগত... অনেকটা ফেয়ারি ল্যান্ডের মত... যে জগতটা ঘিরে রয়েছে সৌন্দর্য, গ্ল্যামার, সম্পদের ঝলক। ওইটুকু বয়সেই ট্রেসি জানতো যে বাবার আর্থিক সামর্থ খুবই সীমিত। তাও পরের বছর বাইরে বেড়াতে যাওয়া হবে, সেটা নিয়ে বাড়ির মধ্যে সর্বদাই একটা আলোচনা চলে। এর ওপর এই ভাবে হটাৎ করে অ্যান্টনি! ট্রেসি তো আনন্দে আত্মহারা। ট্রেসির মা ওকে একটা খুব সুন্দর সবুজ রঙের ড্রেস পরিয়ে দিয়েছিল।
যাবার সময় তাকে আর মাকে দেখে বাবা তো খুশিতে বলেই ফেলল, ‘ওহ। আজ আমি নিউ অর্লিন্সের সব থেকে সুন্দরী দুইজন মহিলার সাথে অ্যান্টনি যাচ্ছি। আজ আমাকে দেখে প্রত্যেকে হিংসায় জ্বলে যাবে।’ বলে হা হা করে মুক্ত কন্ঠে হেসে উঠেছিল।
অ্যান্টনি, ট্রেসির কাছে যেন একটা স্বপ্ন। শুধু স্বপ্নই নয়, আরো, আরো অনেক কিছু। ওখানকার সব কিছুই ভিষন, ভিষন সুন্দর। যেমন ডেকরেশন, তেমনি পরিবেশ। সমস্ত কিছু কি অপূর্বভাবে সাজানো। কেতাদূরস্ত। শুদু তাই নয়, খাবার টেবিলের ন্যাপকিনগুলো পর্যন্ত ধব ধব করছে সাদা, পরিষ্কার। ডিশ, চামচ, সব কটাতেই সুন্দর করে মনোগ্রাম করা। এটা যেন একটা রাজপ্রাসাদ ট্রেসির কাছে। এখানে নিশ্চয়ই রাজা রানিরা খেতে আসে। আর সেখানে ট্রেসিও এসেছে খেতে। ভাবতেই গায়ে কেমন কাঁটা দিচ্ছে। চারদিকে সুন্দর সুন্দর পোষাক পরে লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ট্রেসি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে, ‘আমি যখন অনেক বড় হব, তখন প্রতি রাতে অ্যান্টনিতে আসবো ডিনার করতে। আর আমার সাথে তখন মা আর বাবাকেও নিয়ে আসব।’
‘তুমি খাচ্ছ না, ট্রেসি’, মা মৃধু স্বরে বকা দিল। ‘শুদু অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে? খেতেও হবে তো?’
মাকে খুশি করতে তাড়াতাড়ি করে ঝটপট কয়েক চামচ খাবার নিয়ে মুখে পুরে দিল ট্রেসি।
ডিনারের শেষে একটা কেক এসেছিল। সেই কেকটার ওপর দশটা মোমবাতি ছিল। টেবিল ঘিরে ওয়েটাররা দাঁড়িয়ে হ্যাপি বার্থডে গান গেয়েছিল। আর তাই শুনে ওখানে অন্য যারা খেতে এসেছিল, তারাও ঘুরে বসে তার দিকে তাকিয়ে হ্যাপি বার্থডে গেয়েছিল আর হাততালি দিয়েছিল। ট্রেসির তো নিজেকে রাজকন্যা বলে মনে হচ্ছিল সেদিন। বাইরে থেকে ঘন্টার আওয়াজ ট্রেসির কানে ভেসে এল।
******
অ্যান্টনি! উফ! নামটার সাথে একটা অদ্ভুত মাদকতা জড়িয়ে আছে। একটা জগত... একটা সম্পূর্ণ আলাদা জগত... অনেকটা ফেয়ারি ল্যান্ডের মত... যে জগতটা ঘিরে রয়েছে সৌন্দর্য, গ্ল্যামার, সম্পদের ঝলক। ওইটুকু বয়সেই ট্রেসি জানতো যে বাবার আর্থিক সামর্থ খুবই সীমিত। তাও পরের বছর বাইরে বেড়াতে যাওয়া হবে, সেটা নিয়ে বাড়ির মধ্যে সর্বদাই একটা আলোচনা চলে। এর ওপর এই ভাবে হটাৎ করে অ্যান্টনি! ট্রেসি তো আনন্দে আত্মহারা। ট্রেসির মা ওকে একটা খুব সুন্দর সবুজ রঙের ড্রেস পরিয়ে দিয়েছিল।
যাবার সময় তাকে আর মাকে দেখে বাবা তো খুশিতে বলেই ফেলল, ‘ওহ। আজ আমি নিউ অর্লিন্সের সব থেকে সুন্দরী দুইজন মহিলার সাথে অ্যান্টনি যাচ্ছি। আজ আমাকে দেখে প্রত্যেকে হিংসায় জ্বলে যাবে।’ বলে হা হা করে মুক্ত কন্ঠে হেসে উঠেছিল।
অ্যান্টনি, ট্রেসির কাছে যেন একটা স্বপ্ন। শুধু স্বপ্নই নয়, আরো, আরো অনেক কিছু। ওখানকার সব কিছুই ভিষন, ভিষন সুন্দর। যেমন ডেকরেশন, তেমনি পরিবেশ। সমস্ত কিছু কি অপূর্বভাবে সাজানো। কেতাদূরস্ত। শুদু তাই নয়, খাবার টেবিলের ন্যাপকিনগুলো পর্যন্ত ধব ধব করছে সাদা, পরিষ্কার। ডিশ, চামচ, সব কটাতেই সুন্দর করে মনোগ্রাম করা। এটা যেন একটা রাজপ্রাসাদ ট্রেসির কাছে। এখানে নিশ্চয়ই রাজা রানিরা খেতে আসে। আর সেখানে ট্রেসিও এসেছে খেতে। ভাবতেই গায়ে কেমন কাঁটা দিচ্ছে। চারদিকে সুন্দর সুন্দর পোষাক পরে লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ট্রেসি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে, ‘আমি যখন অনেক বড় হব, তখন প্রতি রাতে অ্যান্টনিতে আসবো ডিনার করতে। আর আমার সাথে তখন মা আর বাবাকেও নিয়ে আসব।’
‘তুমি খাচ্ছ না, ট্রেসি’, মা মৃধু স্বরে বকা দিল। ‘শুদু অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে? খেতেও হবে তো?’
মাকে খুশি করতে তাড়াতাড়ি করে ঝটপট কয়েক চামচ খাবার নিয়ে মুখে পুরে দিল ট্রেসি।
ডিনারের শেষে একটা কেক এসেছিল। সেই কেকটার ওপর দশটা মোমবাতি ছিল। টেবিল ঘিরে ওয়েটাররা দাঁড়িয়ে হ্যাপি বার্থডে গান গেয়েছিল। আর তাই শুনে ওখানে অন্য যারা খেতে এসেছিল, তারাও ঘুরে বসে তার দিকে তাকিয়ে হ্যাপি বার্থডে গেয়েছিল আর হাততালি দিয়েছিল। ট্রেসির তো নিজেকে রাজকন্যা বলে মনে হচ্ছিল সেদিন। বাইরে থেকে ঘন্টার আওয়াজ ট্রেসির কানে ভেসে এল।
******