16-10-2021, 07:18 AM
এই কথাটা কতবার শুনেছেন জীবনে? একশবার? হাজারবার? ‘আমি নির্দোষ’
একটু থেমে বললেন, ‘দেখুন, আদালত আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাই আমার উপদেশ বলতে পারেন, এখানে যতদিন থাকবেন, এখানকার সাথে মিলেমিশে থাকুন, দেখবেন তাতে আপনারই ভালো হবে। আপনাকে মেনে নিতে হবে এই বন্দিদশা। সেটাই আপনার দিন কাটতে অনেক সহজ করে দেবে। এখানে কোন ঘড়ি নেই। আছে শুধু দিনপঞ্জিকা। তাই আমার উপদেশ হল সময়এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন, তাতে আপনারই ভালো হবে।’
‘পারবো না... আমি পারবো না থাকতে এই জঘন্য জায়গায় পনেরোটা বছর...’ ট্রেসি আতঙ্কিত হয়ে ভাবতে লাগল। ‘আমি মরে যাবো। ওহ ভগবান, এর চেয়ে আমাকে মেরে ফেলো। কিন্তু কেন আমি মরবো? কেন? আমি মরলে তাহলে আমার পেটের সন্তানকেও তো মেরে ফেলা হবে। এটা তো তোমারও সন্তান চার্লস! তুমি আমাকে সাহায্য করবে না?’ ভাবতে ভাবতে চার্লসের প্রতি একটা নিদারূন ঘৃণা উঠে এল মনের মধ্যে। কানে এল ওয়ার্ডেনের গলা...
‘এখানে আপনি কোন প্রবলেমে পড়লে আমাকে বলতে পারেন, আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি যদি কোন সাহায্য করতে পারি আপনাকে।’ যদিও তিনি মুখে বলছেন একথা, তবুও তিনি নিজেও ভালো করেই জানেই এই কথাগুলো কতটা অন্তঃসারহীন। কোন মূল্য নেই এই কথার। মেয়েটি তারুন্যে ভরা, তার ওপর আবার সুন্দরী। এই জেলের প্রাচীরের মধ্যে কিছু পশু আছে, যাদেরকে নাকি জেলের মধ্যের কয়েদিরা বুল-ডাইক বলে ডাকে, ওরাই হচ্ছে এই জেলের দাদা বলা যেতে পারে, এক একটা পশু কেন, পশুরও অধম এই এদেরকে বলা যেতে পারে বলে ওয়ার্ডেন শুনেছেন, আর সেই বুল-ডাইকরা এই রকম একটা মিষ্টি ফুলের মত মেয়েকে পেলে ছিড়ে পিষে খাবে। এখানে কোন সেলই নিরাপদ নয় যেখানে এই মেয়েটিকে স্থানান্তরিত করতে পারেন তিনি। প্রতিটা সেলই কোন না কোন এই রকম বুল-ডাইকএর হাতে রয়েছে। তিনিতো অনেক কানাঘুষো শুনেছেন এই কারাগারের সম্বন্ধে। এখানে মেয়েদের বলাৎকার করা হয়, সেলের মধ্যে, টয়লেটে অথবা করিডোরের অন্ধকারে। কিন্তু প্রতিটা ঘটনাই কানাঘুষো থেকে গিয়েছে, দিনের আলোয় তা কখনই আসে নি। ক্ষতিগ্রস্তরা হয় মুখ খোলেনি, নয়তো মুখ খোলার অবস্থায় বেঁচেই থাকেনি।
খুব শান্ত স্বরে ওয়ার্ডেন ব্র্যান্নিগান ট্রেসিকে বললেন, ‘দেখুন, আপনার ব্যবহার যদি ভালো থাকে, তবে হয়তো আপনাকে আমরা পনেরো বছরের জায়গায় বারোতেই ছেড়ে দিতে...’
‘না!’ চুড়ান্ত হতাশা আর গভীর আতঙ্কে কেঁদে ফেলল ট্রেসি। চেয়ার ছেড়ে উঠে প্রায় হিস্টিরিয়া রুগীর মত চিৎকার করতে থাকল। তা শুনে বাইরে থাকা গার্ড দৌড়ে এসে ট্রেসিকে ধরে ফেলল।
‘শান্ত, শান্ত হন’, প্রায় আদেশের স্বরে বলে উঠল ওয়ার্ডেন। গার্ডকে ইশারা করলেন তাকে সেলে নিয়ে যাবার জন্য।
হতচকিত, বিমর্শ অনুনপায় মুখে তাকিয়ে ট্রেসিকে নিয়ে যাওয়া দেখতে লাগলেন ওয়ার্ডেন, এ ছাড়া আর কিই বা করণীয় তার?
******
একটু থেমে বললেন, ‘দেখুন, আদালত আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাই আমার উপদেশ বলতে পারেন, এখানে যতদিন থাকবেন, এখানকার সাথে মিলেমিশে থাকুন, দেখবেন তাতে আপনারই ভালো হবে। আপনাকে মেনে নিতে হবে এই বন্দিদশা। সেটাই আপনার দিন কাটতে অনেক সহজ করে দেবে। এখানে কোন ঘড়ি নেই। আছে শুধু দিনপঞ্জিকা। তাই আমার উপদেশ হল সময়এর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন, তাতে আপনারই ভালো হবে।’
‘পারবো না... আমি পারবো না থাকতে এই জঘন্য জায়গায় পনেরোটা বছর...’ ট্রেসি আতঙ্কিত হয়ে ভাবতে লাগল। ‘আমি মরে যাবো। ওহ ভগবান, এর চেয়ে আমাকে মেরে ফেলো। কিন্তু কেন আমি মরবো? কেন? আমি মরলে তাহলে আমার পেটের সন্তানকেও তো মেরে ফেলা হবে। এটা তো তোমারও সন্তান চার্লস! তুমি আমাকে সাহায্য করবে না?’ ভাবতে ভাবতে চার্লসের প্রতি একটা নিদারূন ঘৃণা উঠে এল মনের মধ্যে। কানে এল ওয়ার্ডেনের গলা...
‘এখানে আপনি কোন প্রবলেমে পড়লে আমাকে বলতে পারেন, আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি যদি কোন সাহায্য করতে পারি আপনাকে।’ যদিও তিনি মুখে বলছেন একথা, তবুও তিনি নিজেও ভালো করেই জানেই এই কথাগুলো কতটা অন্তঃসারহীন। কোন মূল্য নেই এই কথার। মেয়েটি তারুন্যে ভরা, তার ওপর আবার সুন্দরী। এই জেলের প্রাচীরের মধ্যে কিছু পশু আছে, যাদেরকে নাকি জেলের মধ্যের কয়েদিরা বুল-ডাইক বলে ডাকে, ওরাই হচ্ছে এই জেলের দাদা বলা যেতে পারে, এক একটা পশু কেন, পশুরও অধম এই এদেরকে বলা যেতে পারে বলে ওয়ার্ডেন শুনেছেন, আর সেই বুল-ডাইকরা এই রকম একটা মিষ্টি ফুলের মত মেয়েকে পেলে ছিড়ে পিষে খাবে। এখানে কোন সেলই নিরাপদ নয় যেখানে এই মেয়েটিকে স্থানান্তরিত করতে পারেন তিনি। প্রতিটা সেলই কোন না কোন এই রকম বুল-ডাইকএর হাতে রয়েছে। তিনিতো অনেক কানাঘুষো শুনেছেন এই কারাগারের সম্বন্ধে। এখানে মেয়েদের বলাৎকার করা হয়, সেলের মধ্যে, টয়লেটে অথবা করিডোরের অন্ধকারে। কিন্তু প্রতিটা ঘটনাই কানাঘুষো থেকে গিয়েছে, দিনের আলোয় তা কখনই আসে নি। ক্ষতিগ্রস্তরা হয় মুখ খোলেনি, নয়তো মুখ খোলার অবস্থায় বেঁচেই থাকেনি।
খুব শান্ত স্বরে ওয়ার্ডেন ব্র্যান্নিগান ট্রেসিকে বললেন, ‘দেখুন, আপনার ব্যবহার যদি ভালো থাকে, তবে হয়তো আপনাকে আমরা পনেরো বছরের জায়গায় বারোতেই ছেড়ে দিতে...’
‘না!’ চুড়ান্ত হতাশা আর গভীর আতঙ্কে কেঁদে ফেলল ট্রেসি। চেয়ার ছেড়ে উঠে প্রায় হিস্টিরিয়া রুগীর মত চিৎকার করতে থাকল। তা শুনে বাইরে থাকা গার্ড দৌড়ে এসে ট্রেসিকে ধরে ফেলল।
‘শান্ত, শান্ত হন’, প্রায় আদেশের স্বরে বলে উঠল ওয়ার্ডেন। গার্ডকে ইশারা করলেন তাকে সেলে নিয়ে যাবার জন্য।
হতচকিত, বিমর্শ অনুনপায় মুখে তাকিয়ে ট্রেসিকে নিয়ে যাওয়া দেখতে লাগলেন ওয়ার্ডেন, এ ছাড়া আর কিই বা করণীয় তার?
******