16-10-2021, 07:16 AM
মধ্য চল্লিশের জর্জ ব্র্যান্নিগানকে প্রথম দর্শনেই ভালো লাগে। তার সংবেদনী মুখ আর সহানুভূতিমাখা গাঢ় চোখ দেখলেই তাঁর সম্পর্কে কারুকে বলে দিতে হয় না তিনি কেমন। এই সাউদার্ন লুইসিয়ানা মহিলা সংশোধানাগারের দায়িত্বে এসেছেন প্রায় বছর পাঁচ হল। শান্ত, ভদ্র, শিক্ষিত। যখন প্রথম এখানে আসেন তখন তাঁর মনের মধ্যে এই সংশোধানাগারের উন্নতির জন্য অনেক কিছু প্রকল্প ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু আস্তে আস্তে তাঁর পূর্বসূরিদের মত তিনিও বুঝে গেছেন, এখানে কিছু করার নেই তাঁর। চাইলেও কিছু করা সম্ভব নয়। যেখানে প্রতিটা সেলে দুই জন করে কয়দি রাখার নিয়ম, সেখানে সেই সেলগুলোতে বাধ্য হয়ে কখনও চার আবার কখনও ছয়জন কয়েদিও রাখতে বাধ্য হন তাঁরা। তিনি জানেন, শুধু এখানেই নয়, দেশের প্রতিটা জেলই অতিরিক্ত পরিমানে কয়েদিদের ভীড়ে ভারাক্রান্ত আর সেই অনুপাতে কর্মচারীর সংখ্যা নগন্য। হাজার হাজার অপরাধীদের প্রতিদিন সাজা শোনানো হচ্ছে আর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের কারাগারগুলোতে। সেখানে তাঁর কিচ্ছু করার নেই। এটাই এখন সিস্টেম হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তিনিও সেই সিস্টেমের অংশ মাত্র।
সেক্রেটারিকে ইন্টারকমে নির্দেশ দিলেন ট্রেসিকে তার কাছে পাঠিয়ে দিতে।
গার্ড ওয়ার্ডেনের অফিসের দরজা খুলে ট্রেসিকে ভেতরে যেতে ইশারা করল। ট্রেসি ভেতরে এসে দাঁড়াল। ওয়ার্ডেন ব্র্যান্নিগান মুখ তুলে তাঁর সামনে দাঁড়ানো ট্রেসির দিকে তাকালেন। বিষণ্ণ মুখে ধুসর ইউনিফর্ম পরিহিত কয়েদি তার সামনে দাঁড়িয়ে। বিষন্ন, কিন্তু বোঝা যায় এই বিষন্নতার আড়ালে মেয়েটি যথেষ্ট সুন্দরী। একটা নির্মল ঢলঢলে লাবন্য মাখা মুখ। ওয়ার্ডেন ভাবলেন, কে জানে, আর কতদিন এই লাবন্য থাকবে এই সুন্দর মুখটাতে। এই কয়েদিটির সম্বন্ধে তিনি একটু বিশেষই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ কিছুদিন যাবত এই কয়েদির ঘটনা নিয়ে খবরের কাগজে প্রচুর খবর পড়েছেন তিনি। এ খুন করেনি, তবুও এর সাজা হয়েছে পনেরো বছরের। একটু বেশিই নয় কি? ঘটনা হল রোম্যানো এই মেয়েটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তাই সেটা অন্য চোখেই দেখা হয়ে থাকবে হয়তো। তিনি আর কি করবেন। তিনি শুধু এই নিয়মের রক্ষাকর্তা। নিয়ামক নন। তাই তার হাতে আলাদা কিছু করা সম্ভব নয়। ইচ্ছা থাকলেও।
‘বসুন, প্লিজ’, নরম গলায় ট্রেসিকে চেয়ারে বসতে অনুরোধ জানালেন।
ট্রেসি আনন্দের সাথে চেয়ারে উপনিবেশ করল। তার হাঁটুদুটো যেন আর দিচ্ছিল না। ভিষন দুর্বল লাগছে নিজেকে। এবার ইনি তাকে বলবেন চার্লসের ব্যাপারে যাতে সে খুব শীঘ্রই এখান থেকে মুক্তি পায়।
‘আমি আপনার রেকর্ড দেখছিলাম’ বললেন ওয়ার্ডেন। মানে চার্লস বলেছে এনাকে নিশ্চয়।
‘আমি দেখলাম যে বেশ অনেক দিন আপনি এখানে থাকবেন। আপনার সাজা হয়েছে প্রায় পনেরো বছরের জন্য।’ ওয়ার্ডেনের কথাগুলো বুঝতে একটু সময় লাগলো তার। নিশ্চয় কোন ভুল হচ্ছে আবার। তাড়াতাড়ি করে সে বলে উঠল, ‘না, তা নয়... মানে আপনি কথা বলেন নি... মানে চার্লসের সাথে?’ নিজেকে ভিষন নার্ভাস লাগছে ট্রেসির।
একটু আশ্চর্য হয়েই ট্রেসির দিকে তাকালেন ওয়ার্ডেন, ‘চার্লস?’
ট্রেসি বুঝে গেল যা বোঝার। পেটের মধ্যেটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠল। ‘প্লিজ’ প্রায় অনুনয় করে উঠল সে, ‘প্লিজ, আমার কথাটা একটু শুনুন, আমি নির্দোষ, আমাকে এখানে একপ্রকার মিথ্যা কথা বলে পাঠানো হয়েছে।’
সেক্রেটারিকে ইন্টারকমে নির্দেশ দিলেন ট্রেসিকে তার কাছে পাঠিয়ে দিতে।
গার্ড ওয়ার্ডেনের অফিসের দরজা খুলে ট্রেসিকে ভেতরে যেতে ইশারা করল। ট্রেসি ভেতরে এসে দাঁড়াল। ওয়ার্ডেন ব্র্যান্নিগান মুখ তুলে তাঁর সামনে দাঁড়ানো ট্রেসির দিকে তাকালেন। বিষণ্ণ মুখে ধুসর ইউনিফর্ম পরিহিত কয়েদি তার সামনে দাঁড়িয়ে। বিষন্ন, কিন্তু বোঝা যায় এই বিষন্নতার আড়ালে মেয়েটি যথেষ্ট সুন্দরী। একটা নির্মল ঢলঢলে লাবন্য মাখা মুখ। ওয়ার্ডেন ভাবলেন, কে জানে, আর কতদিন এই লাবন্য থাকবে এই সুন্দর মুখটাতে। এই কয়েদিটির সম্বন্ধে তিনি একটু বিশেষই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ কিছুদিন যাবত এই কয়েদির ঘটনা নিয়ে খবরের কাগজে প্রচুর খবর পড়েছেন তিনি। এ খুন করেনি, তবুও এর সাজা হয়েছে পনেরো বছরের। একটু বেশিই নয় কি? ঘটনা হল রোম্যানো এই মেয়েটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তাই সেটা অন্য চোখেই দেখা হয়ে থাকবে হয়তো। তিনি আর কি করবেন। তিনি শুধু এই নিয়মের রক্ষাকর্তা। নিয়ামক নন। তাই তার হাতে আলাদা কিছু করা সম্ভব নয়। ইচ্ছা থাকলেও।
‘বসুন, প্লিজ’, নরম গলায় ট্রেসিকে চেয়ারে বসতে অনুরোধ জানালেন।
ট্রেসি আনন্দের সাথে চেয়ারে উপনিবেশ করল। তার হাঁটুদুটো যেন আর দিচ্ছিল না। ভিষন দুর্বল লাগছে নিজেকে। এবার ইনি তাকে বলবেন চার্লসের ব্যাপারে যাতে সে খুব শীঘ্রই এখান থেকে মুক্তি পায়।
‘আমি আপনার রেকর্ড দেখছিলাম’ বললেন ওয়ার্ডেন। মানে চার্লস বলেছে এনাকে নিশ্চয়।
‘আমি দেখলাম যে বেশ অনেক দিন আপনি এখানে থাকবেন। আপনার সাজা হয়েছে প্রায় পনেরো বছরের জন্য।’ ওয়ার্ডেনের কথাগুলো বুঝতে একটু সময় লাগলো তার। নিশ্চয় কোন ভুল হচ্ছে আবার। তাড়াতাড়ি করে সে বলে উঠল, ‘না, তা নয়... মানে আপনি কথা বলেন নি... মানে চার্লসের সাথে?’ নিজেকে ভিষন নার্ভাস লাগছে ট্রেসির।
একটু আশ্চর্য হয়েই ট্রেসির দিকে তাকালেন ওয়ার্ডেন, ‘চার্লস?’
ট্রেসি বুঝে গেল যা বোঝার। পেটের মধ্যেটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠল। ‘প্লিজ’ প্রায় অনুনয় করে উঠল সে, ‘প্লিজ, আমার কথাটা একটু শুনুন, আমি নির্দোষ, আমাকে এখানে একপ্রকার মিথ্যা কথা বলে পাঠানো হয়েছে।’