15-10-2021, 01:57 AM
(14-10-2021, 09:03 PM)Bichitravirya Wrote: প্রথমেই আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি যেখানেই যাই সেটাই আড্ডার ঠেক হয়ে যায়। এমন একজন লেখকও মনে হয় নেই যার থ্রেডে গিয়ে আড্ডা দিই নি। আপনি এই থ্রেড কি জন্য শুরু করেছিলেন আর আমি কি বানিয়ে দিলাম
আপনাকে একশোটা মোহনলালের সেলাম।
খুব ভালো বললেন বিজ্ঞান আর ধর্ম মিশিয়ে একটা বড়ো ব্যাখ্যা দিলেন। কিন্তু সমস্যা কমার থেকে আরো বেড়েছে। মানে এবার বৃহত্তর পরিসরে পৌঁছে গেছে ----
কয়েকটা লাইন খুব ভালো লাগলো। --- 1 ) অন্যান্য ডাইমেনশন বা গ্রহে আরও প্রানী আছে যাদের চেতনা বেশি। তাদেরকেই হয়তো দেবতা বলি।
2) আমাদের সৃষ্টি করার পেছনে হয়তো কোন কারিগর নেই।
দুটো লাইনেই হয়তোর ব্যাবহার হয়েছে।
কয়েক বছর আগে History tv তে ancient Alien বলে একটা শো হতো। তাতে স্পষ্ট প্রমাণ দিয়ে বারবার বলা হতো “ আমরা যাদের দেবতা বলি তারা আসলে অন্য গ্রহের উন্নত প্রানী। „ দুঃখের বিষয় এই শো টা ভারতে ban হয়ে গেছে অনেক দিন আগে।
ছোটবেলায় little krishna বলে একটা কার্টুন হতো। তার একটা ছোট এপিসোডে দেখিয়েছিল “ আমাদের গ্যালেক্সির ব্রহ্মা অহংকারী হয়ে গোপালের সব বন্ধুকে ঘুমের দেশে লুকিয়ে রাখে। তখন কৃষ্ণ নিজেই ক্লোন হয়ে ওর বন্ধুদের রুপ নেয়। ব্রহ্মা এটা দেখে অবাক হয়ে যায়। তারপর কৃষ্ণা অন্যান্য গ্যালাক্সির ব্রহ্মা দের ডাকে। প্রায় 150+ ব্রহ্মা আসে। আর কৃষ্ণ আমাদের ব্রহ্মা কে বলে ‘ ব্রহ্মা অনেক আছে। তাদের কেউ তোমার থেকেও শক্তিশালী। তুমি নগন্য। কিন্তু কৃষ্ণ একটাই আছে। ‚ তখন ব্রহ্মার অহংকার ভাঙে। „
এবার এটা মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে কি না জানি না। যদি মহাভারত থেকেই নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে এটা একটা বিরাট বড়ো আবিষ্কার।
আর এটা অনেক প্রশ্ন ও এনে দেয়। প্রশ্ন গুলো আর বলছি না।
এবার হয়তো বুঝতে পারছেন আমি বাইশ বছরেই এতো ছিটিয়াল কেন?
এইসব দেখেই আমার মাথাটা গেছে
❤❤❤
প্রশ্নের কোন শেষ নেই। অনুসন্ধিৎসাই মনুষ্যসভ্যতাকে আজ এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। তবে মানুষের পক্ষে কোনদিনই মহাবিশ্বের সকল রহস্যের সমাধান করা সম্ভব হবে না। মানুষের মস্তিষ্কের পক্ষে যতটা বোঝা সম্ভব ততটাই সে যেতে পারবে। বাঁদরকে আপনি যত বোঝান না কেন তাকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বোঝাতে পারবেন না। কারন তার ব্রেনের ক্যাপাসিটি তত নেই। তেমনি মানুষের ব্রেনের ক্যাপাসিটিরও লিমিট রয়েছে। মহাবিশ্ব মানুষের বোধগম্যতার সীমা থেকেও অনেক বেশি জটিল।
অনেক কিছুতেই হয়ত বলতে হয় কারন স্পষ্ট প্রমানের অভাব। যতক্ষন না নিজের অভিজ্ঞতায় কিছু জানা না যাচ্ছে কোন কিছুই অন্ধভাবে বিশ্বাস করা উচিত নয়। মনের দরজা সবকিছুর জন্যই খোলা রাখা উচিত। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।