12-10-2021, 11:38 AM
দ্বাত্রিংশ পর্ব
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বুরবক বনে গেলেন মাধবপুর থানার ওসি ওহিদুল রহমান। এত বিশাল ফোর্স, জলকামাণ, রাবার বুলেট এই কয়েকটি লোকের জন্য! রাষ্ট্রবিরোধী অতিবাম গোষ্ঠীর ইনভল্ভমেন্ট আছে শুনে তিনি এতোসব আয়োজন করেছিলেন। ভেবেছিলেন বহুদিন শুয়ে-বসে কাটিয়ে শরীরের জং ধরে যাওয়া কলকব্জাগুলো একটু নাড়াচাড়া করার সূযোগ পাবে। অনেকদিন পরে একটা রিয়েল আ্যকশন আ্যন্টিসিপেট করে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠছিলেন সাহসী এবং নির্ভীক পুলিশ অফিসার ওহিদুল রহমান। কিন্তু প্রফেসর রতিকান্তের বাড়ীর সামনে পৌঁছে দেখলেন এক বিশালদেহী মদ্দা টাইপের তরূণী এবং জনা চারেক শীর্ণ চেহারার যুবক নিস্তেজ অবস্থায় রাস্তার উপর বসে আছে। ইতঃস্তত ছড়ানো আছে কিছু ইট এবং পাথরের টুকরো। প্রফেসরের বাড়ীর বাইরের দিকটার সমস্ত কাঁচ ভাঙ্গা। বোঝাই যাচ্ছে বাইরে থেকে ইট-পাথর মেরেই ওগুলো ভাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু বাইরের গেট অক্ষত অর্থ্যাৎ ভেতরে ঢুকে লুঠতরাজ চালাতে পারে নি।
বুদ্ধি করে সাথে মহিলা কনস্টেবল নিয়ে এসেছিলেন ওহিদুল। প্রথমেই তাদের দিয়ে তরূণীটিকে আ্যারেস্ট করিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুললেন। এরপর চারজন রোগাভোগা চেহারার যুবককে পাকড়াও করতে কোনো বেগ পেতে হলো না। শেষ হয়ে গেলো প্রফেসর চে’র সাধের বিপ্লব। পাঁচজনারই মুখ দিয়ে ভকভক করে বাংলা মদের গন্ধ বেরোচ্ছে। পাঠককে নিশ্চই বলে দিতে হবে না, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মেয়েটি সুদর্শনা এবং চারজন যুবক হলো ল্যাংচা, ন্যাপলা, ধেনো আর দানা। প্রফেসর চে’র বিপ্লবে এরাই শেষ অবধি লড়াইটা চালিয়ে গেছে। পুলিশের গাড়ীর সাইরেন শুনে সর্বপ্রথম স্বয়ং প্রফেসর চে চটি ছেড়ে খালি পায়ে পালিয়েছেন। পালাতে গিয়ে ধুতির কোঁচায় পা জড়িয়ে মুখ থুবড়ে পড়েওছিলেন একবার। চশমাটা পটাং করে গেলো ভেঙ্গে। কোনোরকমে উঠে পালাতে গিয়ে পড়লেন বাগজোলা খালের নোংরা জলে। এক কোমর পাঁকের মধ্যে দাড়িয়ে প্রফেসর চে আবৃত্তি করতে থাকলেন তার এক প্রিয় কবিতা:
“তবু যদি
বিপক্ষের রাইফেলগুলো ভীষণ গর্জে ওঠে
এবং ইতিহাসের বিক্ষুব্ধ তরঙ্গে
যদি আমরা লীন হয়ে যাই
তখন কেবল আমাদের এইটুকুই চাওয়া:
কিউবার অশ্রু য্যানো
যুদ্ধেমৃত সৈনিকের এক একটি কাফন হয়।“
একেই বোধহয় বলে বিপ্লবের সলিলসমাধি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বুরবক বনে গেলেন মাধবপুর থানার ওসি ওহিদুল রহমান। এত বিশাল ফোর্স, জলকামাণ, রাবার বুলেট এই কয়েকটি লোকের জন্য! রাষ্ট্রবিরোধী অতিবাম গোষ্ঠীর ইনভল্ভমেন্ট আছে শুনে তিনি এতোসব আয়োজন করেছিলেন। ভেবেছিলেন বহুদিন শুয়ে-বসে কাটিয়ে শরীরের জং ধরে যাওয়া কলকব্জাগুলো একটু নাড়াচাড়া করার সূযোগ পাবে। অনেকদিন পরে একটা রিয়েল আ্যকশন আ্যন্টিসিপেট করে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠছিলেন সাহসী এবং নির্ভীক পুলিশ অফিসার ওহিদুল রহমান। কিন্তু প্রফেসর রতিকান্তের বাড়ীর সামনে পৌঁছে দেখলেন এক বিশালদেহী মদ্দা টাইপের তরূণী এবং জনা চারেক শীর্ণ চেহারার যুবক নিস্তেজ অবস্থায় রাস্তার উপর বসে আছে। ইতঃস্তত ছড়ানো আছে কিছু ইট এবং পাথরের টুকরো। প্রফেসরের বাড়ীর বাইরের দিকটার সমস্ত কাঁচ ভাঙ্গা। বোঝাই যাচ্ছে বাইরে থেকে ইট-পাথর মেরেই ওগুলো ভাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু বাইরের গেট অক্ষত অর্থ্যাৎ ভেতরে ঢুকে লুঠতরাজ চালাতে পারে নি।
বুদ্ধি করে সাথে মহিলা কনস্টেবল নিয়ে এসেছিলেন ওহিদুল। প্রথমেই তাদের দিয়ে তরূণীটিকে আ্যারেস্ট করিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুললেন। এরপর চারজন রোগাভোগা চেহারার যুবককে পাকড়াও করতে কোনো বেগ পেতে হলো না। শেষ হয়ে গেলো প্রফেসর চে’র সাধের বিপ্লব। পাঁচজনারই মুখ দিয়ে ভকভক করে বাংলা মদের গন্ধ বেরোচ্ছে। পাঠককে নিশ্চই বলে দিতে হবে না, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মেয়েটি সুদর্শনা এবং চারজন যুবক হলো ল্যাংচা, ন্যাপলা, ধেনো আর দানা। প্রফেসর চে’র বিপ্লবে এরাই শেষ অবধি লড়াইটা চালিয়ে গেছে। পুলিশের গাড়ীর সাইরেন শুনে সর্বপ্রথম স্বয়ং প্রফেসর চে চটি ছেড়ে খালি পায়ে পালিয়েছেন। পালাতে গিয়ে ধুতির কোঁচায় পা জড়িয়ে মুখ থুবড়ে পড়েওছিলেন একবার। চশমাটা পটাং করে গেলো ভেঙ্গে। কোনোরকমে উঠে পালাতে গিয়ে পড়লেন বাগজোলা খালের নোংরা জলে। এক কোমর পাঁকের মধ্যে দাড়িয়ে প্রফেসর চে আবৃত্তি করতে থাকলেন তার এক প্রিয় কবিতা:
“তবু যদি
বিপক্ষের রাইফেলগুলো ভীষণ গর্জে ওঠে
এবং ইতিহাসের বিক্ষুব্ধ তরঙ্গে
যদি আমরা লীন হয়ে যাই
তখন কেবল আমাদের এইটুকুই চাওয়া:
কিউবার অশ্রু য্যানো
যুদ্ধেমৃত সৈনিকের এক একটি কাফন হয়।“
একেই বোধহয় বলে বিপ্লবের সলিলসমাধি।