11-10-2021, 09:51 AM
‘এই যে মেয়েরা, এখানে যারা নতুন এসেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে। তোদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক, অনেক দিনের জন্য এসেছিস। তাই তাদের একটা কথা মাথায় ভালো করে গেঁথে নেওয়া ভালো যে তারা যেন বাইরের জগতটাকেই সম্পূর্ন ভাবে ভুলে যায়।’ প্রস্তর কঠিন মুখের এক মোটামত মেট্রন কথাগুলো ছুড়ে দিল ট্রেসিদের উদ্দেশ্যে। ‘এখানে তোরা দুই ভাবে থাকতে পারিস, এক, ভালো ভাবে আর দুই, খারাপ ভাবে। আমাদের এখানে কিছু নিয়ম আছে, আর তোরা সেই নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করবি। আমরা তোদের বলে দেব কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে, কখন কাজে যেতে হবে, কখন খাবি, আর কখন টয়লেটে যাবি। সব কিছু। যে এই নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করবে সে নিজেকে মৃত বলে মনে করতে পারে। আমরা এখানে খুব শান্তিপ্রিয়। তাই কেউ যদি কোন রকম গন্ডগোল পাকাবার চেষ্টা করে, তাকে কি করে শায়েস্তা করতে হয় তা আমাদের ভালো জানা আছে। আশা করি কথাগুলো সবার মনে থাকবে।’ বলতে বলতে তার চোখদুটো একবার ট্রেসিকে ছুয়ে গেল। ‘এখানে থেকে তোদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর সেখান থেকে স্নান ঘরে এবং স্নান হয়ে গেলে প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট সেল দিয়ে দেওয়া হবে। আগামীকাল তোদের ডিউটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আজ এই পর্যন্ত...’ বলে সবে ঘুরে চলে যাচ্ছিল...
ট্রেসির পাশে দাঁড়ানো একটা শীর্ণ চেহারার মেয়ে বলে উঠল, ‘মাফ করবেন, আ...’ তার মুখের কথাটা মুখেই থেকে গেল। মেট্রন ঝট করে ঘুরে খেঁকিয়ে উঠল, ‘চপ... একটা কথাও মুখ দিয়ে বেরুবে না। এখানে তখনই কথা বলবি, যখন বলতে বলা হবে। বুঝেছিস? এই মাগীগুলো, প্রত্যেকে বুঝেছিস?’
বলার ধরন আর ভাষা, দুটোতেই অভ্যস্থ নয় ট্রেসি। শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গেল সে। মেট্রন সামনে দাঁড়ানো দুজন মহিলা গার্ডকে নির্দেশ দিল, ‘এই, এই কুত্তিগুলোকে এখানে থেকে হটা।’ ট্রেসিকে অন্য কয়েদির সাথে প্রায় গরুভেড়ার মত লাইন দিয়ে লম্বা করিডর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে একটা ঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হল। বেশ বড় ঘরটা। দেওয়ালগুলো সাদা টালি দিয়ে মাজা। সেখানে ঘরের মধ্যে একটা লম্বা টেবিল পাতা রয়েছে, শরীরিক পরীক্ষার জন্য। টেবিলের পাশে একটা টুলের ওপর মোটা লোক বসে, পরনে একটা নোংরা ঢিলে অ্যাপ্রন। গার্ডেদের একজন বলে উঠল, ‘এই, সবাই লাইনে দাঁড়া...’ বলে সবাইকে একটা লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল।
মোটা লোকটা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ওদের দিকে কুতকুতে চোখে তাকিয়ে বলে উঠল, ‘আমি ডঃ গ্লাস্কো। নাও, এবার সবাই জামা কাপড় খুলে ফেলো।’
ডাক্তারের কথা শুনে প্রত্যেকেই একটু হতচকিত হয়ে পড়ল। ঠিক কি করবে বুঝে উঠতে পারল না। তাদের মধ্যে একজন সাহস করে প্রশ্ন করতে গেল, ‘মানে কতটা খুলব যদি...’
‘জামা কাপড় খোলা মানে বুঝিস না? যখন বলা হয়েছে খুলতে, মানে সব খুলতে’।
ধীরে ধীরে মেয়েরা একে একে গা থেকে সমস্ত জামা কাপড় খুলতে লাগল। বোঝা যায় কেউ লজ্জায় কুঁকড়ে রয়েছে, আবার কেউ বা অপমানে ফুঁসছে। কিন্তু মুখে কিছু বলার সাহস নেই কারুরই। ট্রেসির পাশে যে মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার বয়স প্রায় চল্লিশ হবে। সে তো প্রায় ঠকঠক করে কাঁপতে লাগল। সবার জামাকাপড় ছাড়া হয়ে গেলে ডাক্তার লাইনে দাঁড়ানো প্রথম মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলে উঠল, ‘এই, ওই টেবিলের ওপর শুয়ে পড় চিৎ হয়ে।’
ট্রেসির পাশে দাঁড়ানো একটা শীর্ণ চেহারার মেয়ে বলে উঠল, ‘মাফ করবেন, আ...’ তার মুখের কথাটা মুখেই থেকে গেল। মেট্রন ঝট করে ঘুরে খেঁকিয়ে উঠল, ‘চপ... একটা কথাও মুখ দিয়ে বেরুবে না। এখানে তখনই কথা বলবি, যখন বলতে বলা হবে। বুঝেছিস? এই মাগীগুলো, প্রত্যেকে বুঝেছিস?’
বলার ধরন আর ভাষা, দুটোতেই অভ্যস্থ নয় ট্রেসি। শুনে রীতিমত অবাক হয়ে গেল সে। মেট্রন সামনে দাঁড়ানো দুজন মহিলা গার্ডকে নির্দেশ দিল, ‘এই, এই কুত্তিগুলোকে এখানে থেকে হটা।’ ট্রেসিকে অন্য কয়েদির সাথে প্রায় গরুভেড়ার মত লাইন দিয়ে লম্বা করিডর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে একটা ঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হল। বেশ বড় ঘরটা। দেওয়ালগুলো সাদা টালি দিয়ে মাজা। সেখানে ঘরের মধ্যে একটা লম্বা টেবিল পাতা রয়েছে, শরীরিক পরীক্ষার জন্য। টেবিলের পাশে একটা টুলের ওপর মোটা লোক বসে, পরনে একটা নোংরা ঢিলে অ্যাপ্রন। গার্ডেদের একজন বলে উঠল, ‘এই, সবাই লাইনে দাঁড়া...’ বলে সবাইকে একটা লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল।
মোটা লোকটা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ওদের দিকে কুতকুতে চোখে তাকিয়ে বলে উঠল, ‘আমি ডঃ গ্লাস্কো। নাও, এবার সবাই জামা কাপড় খুলে ফেলো।’
ডাক্তারের কথা শুনে প্রত্যেকেই একটু হতচকিত হয়ে পড়ল। ঠিক কি করবে বুঝে উঠতে পারল না। তাদের মধ্যে একজন সাহস করে প্রশ্ন করতে গেল, ‘মানে কতটা খুলব যদি...’
‘জামা কাপড় খোলা মানে বুঝিস না? যখন বলা হয়েছে খুলতে, মানে সব খুলতে’।
ধীরে ধীরে মেয়েরা একে একে গা থেকে সমস্ত জামা কাপড় খুলতে লাগল। বোঝা যায় কেউ লজ্জায় কুঁকড়ে রয়েছে, আবার কেউ বা অপমানে ফুঁসছে। কিন্তু মুখে কিছু বলার সাহস নেই কারুরই। ট্রেসির পাশে যে মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার বয়স প্রায় চল্লিশ হবে। সে তো প্রায় ঠকঠক করে কাঁপতে লাগল। সবার জামাকাপড় ছাড়া হয়ে গেলে ডাক্তার লাইনে দাঁড়ানো প্রথম মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলে উঠল, ‘এই, ওই টেবিলের ওপর শুয়ে পড় চিৎ হয়ে।’