10-10-2021, 06:34 PM
(09-10-2021, 11:18 AM)ddey333 Wrote: "তোমার প্রাইভেসি নষ্ট করতে চাইনি মা। খুব চিন্তায় ছিলাম। তোমার অফিসের নাম দিয়ে কোনো নাম সেভ করা নেই দেখে মেসেজ বক্স 'আমার সুরভী ( ব্যাগেজ) ঠিক এই রকম
"মা, প্লিজ শোনো। তুমি জানো, তুমিই আমার পৃথিবী। আর উনি ঠিক ই বলেছেন। বাবা মারা যাবার সময় আমি সবে ক্লাস থ্রি! মেরেকেটে আটবছর বয়স তখন আমার। নভেম্বরে আমি আঠেরোয় পড়ব মা। দশ দশটা বছর ধরে তুমি একা লড়াই করছ... লোন নিয়ে এই বাড়িটা কিনেছ...আমাকে পড়াচ্ছ...দুজনের খাওয়া খরচ... সে ও তো অনেক মা... তারপর তোমার যাতায়াত... বাকি সবকিছু... কিভাবে সব সামলাচ্ছ তুমি, ভেবেই আমার ভয় লাগে... তুমি কতদিন হাসো না মা! হাসার সময়ই পাও না! তোমার ও তো অধিকার আছে নিজের কথা ভাবার! আমার মা হবার পাশাপাশি তুমি তো 'মন্দিরা ভট্টাচার্য' ও,তাই না?"
অনেক কিছু বলবেন ভাবছিলেন মন্দিরা... কিন্তু পারছেন না।
এইকথা গুলোই তো কতবার ভেবেছেন নিজে। একা থাকার দিনে আর রাতেও।
কিন্তু পেরেছেন কোথায়? পারেন কই!
"এই 'অমিত এফ বি' হোন বা অন্য কেউ... কে কেমন, কি চাইছে, আমার থেকে অনেক ভাল বুঝবে তুমি... আমার তো সবাইকেই ভাল লাগে! তোমার তো তা না! তুমি ভাবো মা... কথা বলো, আড্ডা মারো... প্রেম ই যে করতে হবে, তার কি মানে আছে? জাস্ট, সুযোগ দাও... নিজেকে.."
তিন্নি না... যেন অন্য কেউ বলছে কথা গুলো। কেমন অমোঘ... সত্য শোনাচ্ছে!
"তুই কবে এত বড় হয়ে গেলি মা..." রুদ্ধস্বরে এটুকুই শুধু বলতে পারলেন মন্দিরা।
"এঃ, তোমার কাছে তো সবসময় ছোট্ট!" বলে মা কে জড়িয়ে ধরে তিন্নি।
মন্দিরাও জড়িয়ে ধরেন মেয়েকে।
দুই নারীর হৃদয় যেন অতলান্ত মোহনা তখন!
মাকে জড়িয়ে রেখেই দেওয়ালের দিকে তাকায় তিন্নি। দেওয়ালে বাবার ছবি টাঙানো। সেদিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে "বাবা, তোমার স্মৃতি আমার কাছে ঝাপসা হয়ে আসছে। শুধু মা কে ভাল রাখতে চাই সারাজীবন... এটাই আমার তর্পণ... তুমি আশীর্বাদ করো.."
চোখ বুজে ফেলেছিল তখন তিন্নি... নইলে দেখত... ছবির মধ্যে বাবার হাসিমুখ...