08-10-2021, 10:17 AM
‘দাঁড়াও দাঁড়াও, এত উতলা হোয়োনা। আমার কথা আগে শোনো। কাগজে দেখলাম লিখেছে যে তুমি নাকি কোন লোককে গুলি করেছ? সেটা নিশ্চয় সত্যি নয়, তাই না?’
‘না, আমি গুলি করেছিলাম, কিন্তু...’
‘সেটা সত্যি? তুমি গুলি করেছিলে?’
‘না, ডার্লিং, যে ভাবে ওটা দেখানো হয়েছে ব্যাপারটা সেই ভাবে ঘটেনি। আমি তোমাকে সব কিছু বুঝিয়ে বললে তুমি বুঝতে পারবে, আমি...’
‘ট্রেসি, তুমি নিজেকে দোষী বলে অপরাধ নামা জমা দিয়েছ আদালতে একজন লোককে হত্যা করার চেষ্টা আর সেই সাথে একটা দামী ছবি চুরি করার?’
‘হ্যা, চার্লস, দিয়েছি, কিন্তু সেটা শুধু মাত্র...’
‘হা ভগবান। তোমার যদি অতই টাকার প্রয়োজন ছিল, তুমি আমাকে বলতে পারতে। একবার আমার সাথে আলোচনা করতে পারতে, দেখতে আমি তোমাকে সাহায্য করি কি না, কিন্তু তাই বলে... কারুকে খুন করতে গিয়েছিলে? আমি তো ভাবতেই পারছি না। শুধু আমি কেন, আমার বাবা মাও এটা মানতে পারছে না। তুমি জানো আজকের ফিলাডেলফিয়ার সমস্ত খবরের কাগজে প্রথম হেডলাইনই তোমার কথা নিয়ে? আজ পর্যন্ত আমাদের এই স্ট্যানহোপ পরিবারে এই ধরনের কলঙ্ক কেউ লাগাতে পারেনি।’ চার্লসের প্রতিটা কথার মধ্যে একরাশ ঘৃণা ঝড়ে পড়াটা ট্রেসির কাছে লোকানো থাকলো না। তার কথা বলার ধরনেই বোঝা যাচ্ছে তার মনের মধ্যের অনুভূতি।
চার্লসকেই সে পাশে চেয়েছে সব থেকে বেশি। অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরন করে বলল, ‘ডার্লিং, আমার তোমাকে এখানে দরকার, সোনা। তুমি একবার এখানে চলে এস। তুমিই পারবে এই সব কিছু ঠিক করে দিতে। আমি জানি।’
ওপার থেকে বেশ খানিকক্ষন কোন কথা এলো না। তারপর, ‘আমার মনে হয় না আর কিছু ঠিক করার মত ওখানে আছে। থাকতো, যদি না তুমি নিজের স্বীকারক্তি দিয়ে বসতে আদালতে। দেখ, আমার পরিবার এই রকম একটা স্ক্যান্ডালে জড়াতে চায় না। তুমিও সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছ। এটা একটা ভিষন বড় আঘাত আমাদের পরিবারের কাছে। আর তাছাড়া, এটা তো সত্যি, আমি খুব একটা দীর্ঘদিন তোমাকে চিনিনা। তাই...’
চার্লসএর প্রতিটা কথা যেন ট্রেসির মনে হল তার মাথার মধ্যে হাতুড়ির ঘায়ে একটা একটা করে গেঁথে যাচ্ছে... সমস্ত পৃথিবীটাই কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে চোখের সামনে। মনে হচ্ছে এত বড় পৃথিবীটাতে সে একদম একটা... শুধু সে... আশে পাশে কেউ কোথাও নেই... আর কোন আশা নেই... শুকনো গলায় প্রশ্ন করল, ‘আর... আর আমাদের সন্তান?’
‘সেটা তোমাকেই ঠিক করতে হবে, তুমি কি করবে। আমি দুঃখিত, ট্রেসি।’ ফোনের লাইনটা কেটে গেল ওপাশ থেকে।
রিসিভারটা হাতে ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল ট্রেসি ডেস্কের সামনে।
পেছন থেকে আর একজন কয়েদি তাড়া দিল, ‘একটু ফোনটা ছাড়লে ভালো হয়, আমাকেও আমার উকিলকে একটা ফোন করতে হবে...’
সেদিন তার সেলে ফেরার পর মেট্রন তাকে খবর দিয়ে গেল, ‘কাল ভোরবেলা তৈরী থেকো, সকাল পাঁচটার সময় তোমাদের নিয়ে রওনা হবে গাড়ী...’
******
‘না, আমি গুলি করেছিলাম, কিন্তু...’
‘সেটা সত্যি? তুমি গুলি করেছিলে?’
‘না, ডার্লিং, যে ভাবে ওটা দেখানো হয়েছে ব্যাপারটা সেই ভাবে ঘটেনি। আমি তোমাকে সব কিছু বুঝিয়ে বললে তুমি বুঝতে পারবে, আমি...’
‘ট্রেসি, তুমি নিজেকে দোষী বলে অপরাধ নামা জমা দিয়েছ আদালতে একজন লোককে হত্যা করার চেষ্টা আর সেই সাথে একটা দামী ছবি চুরি করার?’
‘হ্যা, চার্লস, দিয়েছি, কিন্তু সেটা শুধু মাত্র...’
‘হা ভগবান। তোমার যদি অতই টাকার প্রয়োজন ছিল, তুমি আমাকে বলতে পারতে। একবার আমার সাথে আলোচনা করতে পারতে, দেখতে আমি তোমাকে সাহায্য করি কি না, কিন্তু তাই বলে... কারুকে খুন করতে গিয়েছিলে? আমি তো ভাবতেই পারছি না। শুধু আমি কেন, আমার বাবা মাও এটা মানতে পারছে না। তুমি জানো আজকের ফিলাডেলফিয়ার সমস্ত খবরের কাগজে প্রথম হেডলাইনই তোমার কথা নিয়ে? আজ পর্যন্ত আমাদের এই স্ট্যানহোপ পরিবারে এই ধরনের কলঙ্ক কেউ লাগাতে পারেনি।’ চার্লসের প্রতিটা কথার মধ্যে একরাশ ঘৃণা ঝড়ে পড়াটা ট্রেসির কাছে লোকানো থাকলো না। তার কথা বলার ধরনেই বোঝা যাচ্ছে তার মনের মধ্যের অনুভূতি।
চার্লসকেই সে পাশে চেয়েছে সব থেকে বেশি। অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরন করে বলল, ‘ডার্লিং, আমার তোমাকে এখানে দরকার, সোনা। তুমি একবার এখানে চলে এস। তুমিই পারবে এই সব কিছু ঠিক করে দিতে। আমি জানি।’
ওপার থেকে বেশ খানিকক্ষন কোন কথা এলো না। তারপর, ‘আমার মনে হয় না আর কিছু ঠিক করার মত ওখানে আছে। থাকতো, যদি না তুমি নিজের স্বীকারক্তি দিয়ে বসতে আদালতে। দেখ, আমার পরিবার এই রকম একটা স্ক্যান্ডালে জড়াতে চায় না। তুমিও সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছ। এটা একটা ভিষন বড় আঘাত আমাদের পরিবারের কাছে। আর তাছাড়া, এটা তো সত্যি, আমি খুব একটা দীর্ঘদিন তোমাকে চিনিনা। তাই...’
চার্লসএর প্রতিটা কথা যেন ট্রেসির মনে হল তার মাথার মধ্যে হাতুড়ির ঘায়ে একটা একটা করে গেঁথে যাচ্ছে... সমস্ত পৃথিবীটাই কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে চোখের সামনে। মনে হচ্ছে এত বড় পৃথিবীটাতে সে একদম একটা... শুধু সে... আশে পাশে কেউ কোথাও নেই... আর কোন আশা নেই... শুকনো গলায় প্রশ্ন করল, ‘আর... আর আমাদের সন্তান?’
‘সেটা তোমাকেই ঠিক করতে হবে, তুমি কি করবে। আমি দুঃখিত, ট্রেসি।’ ফোনের লাইনটা কেটে গেল ওপাশ থেকে।
রিসিভারটা হাতে ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল ট্রেসি ডেস্কের সামনে।
পেছন থেকে আর একজন কয়েদি তাড়া দিল, ‘একটু ফোনটা ছাড়লে ভালো হয়, আমাকেও আমার উকিলকে একটা ফোন করতে হবে...’
সেদিন তার সেলে ফেরার পর মেট্রন তাকে খবর দিয়ে গেল, ‘কাল ভোরবেলা তৈরী থেকো, সকাল পাঁচটার সময় তোমাদের নিয়ে রওনা হবে গাড়ী...’
******