08-10-2021, 10:16 AM
নিউ অর্লিন্স কুরিয়ার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বড় বড় হেডিং দিয়ে ট্রেসির অপরাধ আর ফলস্বরূপ তার সাজার কথা বেরিয়েছে। সেই সাথে পুলিশ দ্বারা তাকে কি ভাবে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে, তার ছবিও। শুধু এই শহরেই নয়, দেশের প্রতিটা কোনায় এই খবর সবিস্তারে ছড়িয়ে পড়েছে আধুনিক কম্পুউটারের দৌলতে। বেশ ফলাও করে ছাপা হয়েছে ট্রেসির ছবি চুরি করার আর সেই সাথে একজন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার চেষ্টার কাহিনী। ট্রেসিকে যখন আদালত থেকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে, সেই সময় শহরের প্রতিটা টেলিভিশন ক্যামেরা তার দিকে তাক করা। সে যতই চেষ্টা করুক না কেন নিজের মুখ ঢেকে এই অপমানকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে, কিন্তু নিউজ চ্যানেলগুলি সেটা মানবে কেন? তো রোম্যানো নিজেই একটা বড় খবর সবসময়, আর সেখানে তার জীবনহানীর প্রয়াশ হয়েছে, আবার সেটাও এক সুন্দরী যুবতী চোরের হাতে, এই রকম খবর সচরাচর নিউজ চ্যানেল ছাড়ে? তাই শহরের প্রতিটা চ্যানেল ঝাঁপিয়ে পড়েছে ট্রেসিকে তাদের ক্যামেরা বন্দি করতে। আর সেই ছবি দেশের প্রতিটা কোনায় মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আধুনিক সভ্যতার কারিগরদের ওপর ভর করে।
পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে ট্রেসি একটা কথাই নিজের মনে আউড়ে চলেছে, ‘চার্লস, চার্লস ঠিক আমাকে এর থেকে বের করে নিয়ে যাবে। ও কখনই চাইবে না আমাদের সন্তান কারাগারে জন্ম নিক। আর তাছাড়া চার্লস আমাকেও বিশ্বাস করে, সে যখনই শুনবে সব ঘটনাটা, ও নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারবে না। দৌড়ে আসবে আমাকে এই নরক থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। তারপর আমরা দুজনে ফিরে যাব ফিলাডেলফিয়ায়।
অনেক অনুরোধের পর দুপুরের দিকে ডেস্ক সার্জেন্ট একটা ফোন করার অনুমতি দিল ট্রেসিকে। ফোনটা হ্যারিয়েটই তুলেছে, ‘মিঃ স্ট্যানহোপের অফিস থেকে বলছি...’
‘হ্যারিয়েট, আমি ট্রেসি বলছি। একবার মিঃ স্ট্যানহোপের সাথে কথা বলা যাবে?’
‘একটু দাঁড়ান মিস হুইটনি, আমি... আমি দেখছি মিঃ স্ট্যানহোপ অফিসে আছেন কিনা!’ হ্যারিয়েটের গলায় স্পষ্ট দ্বিধার স্বর।
বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর অবশেষে চার্লসের গলা পেল ট্রেসি, ‘হ্যালো...’
চার্লসের গলা শুনে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলল, ‘চার্লস...’
‘ট্রেসি?’
‘হ্যা ডার্লিং, ট্রেসি বলছি... ওহ চার্লস, আমি কত করে তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি...’
‘আমিও তো খবরটা দেখে কেমন পাগল পাগল হয়ে গেছি! খবরের কাগজে অদ্ভুত সব তোমার নামে খবর বেরিয়েছে এখানে। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারি নি এরকম কিছু ঘটেছে বলে!’
‘একটাও সত্যি নয় চার্লস, একটাও সত্যি নয়। আমি...’
‘আমাকে কেন যোগাযোগ করনি আগে, ট্রেসি?’
‘করেছিলাম। অনেক করে চেষ্টা করেছিলাম তোমার সাথে যোগাযোগ করতে, কিন্তু...’
‘তুমি এখন কোথায় আছে?’
‘আমি... আমি এখন জেলে, নিউ অর্লিন্স জেলে। চার্লস, ওরা... ওরা আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে এমন একটা কাজের জন্য যেটা আমি করিই নি। বিশ্বাস কর...’ ভয়ে, আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকল ট্রেসি।
পুলিশের গাড়িতে উঠতে উঠতে ট্রেসি একটা কথাই নিজের মনে আউড়ে চলেছে, ‘চার্লস, চার্লস ঠিক আমাকে এর থেকে বের করে নিয়ে যাবে। ও কখনই চাইবে না আমাদের সন্তান কারাগারে জন্ম নিক। আর তাছাড়া চার্লস আমাকেও বিশ্বাস করে, সে যখনই শুনবে সব ঘটনাটা, ও নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারবে না। দৌড়ে আসবে আমাকে এই নরক থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে। তারপর আমরা দুজনে ফিরে যাব ফিলাডেলফিয়ায়।
অনেক অনুরোধের পর দুপুরের দিকে ডেস্ক সার্জেন্ট একটা ফোন করার অনুমতি দিল ট্রেসিকে। ফোনটা হ্যারিয়েটই তুলেছে, ‘মিঃ স্ট্যানহোপের অফিস থেকে বলছি...’
‘হ্যারিয়েট, আমি ট্রেসি বলছি। একবার মিঃ স্ট্যানহোপের সাথে কথা বলা যাবে?’
‘একটু দাঁড়ান মিস হুইটনি, আমি... আমি দেখছি মিঃ স্ট্যানহোপ অফিসে আছেন কিনা!’ হ্যারিয়েটের গলায় স্পষ্ট দ্বিধার স্বর।
বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর অবশেষে চার্লসের গলা পেল ট্রেসি, ‘হ্যালো...’
চার্লসের গলা শুনে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলল, ‘চার্লস...’
‘ট্রেসি?’
‘হ্যা ডার্লিং, ট্রেসি বলছি... ওহ চার্লস, আমি কত করে তোমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি...’
‘আমিও তো খবরটা দেখে কেমন পাগল পাগল হয়ে গেছি! খবরের কাগজে অদ্ভুত সব তোমার নামে খবর বেরিয়েছে এখানে। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারি নি এরকম কিছু ঘটেছে বলে!’
‘একটাও সত্যি নয় চার্লস, একটাও সত্যি নয়। আমি...’
‘আমাকে কেন যোগাযোগ করনি আগে, ট্রেসি?’
‘করেছিলাম। অনেক করে চেষ্টা করেছিলাম তোমার সাথে যোগাযোগ করতে, কিন্তু...’
‘তুমি এখন কোথায় আছে?’
‘আমি... আমি এখন জেলে, নিউ অর্লিন্স জেলে। চার্লস, ওরা... ওরা আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে এমন একটা কাজের জন্য যেটা আমি করিই নি। বিশ্বাস কর...’ ভয়ে, আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকল ট্রেসি।