07-10-2021, 03:41 PM
কিছু দিনের ভিতর কুহুর প্রচেষ্টায় আশানিকেতন নন গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন হিসাবে স্বীকৃতি পায়। ধীরে ধীরে অনেক বাচ্ছা এসেছে আশ্রমের অতিথি হিসেবে। ওই স্বীকৃতি পেয়ে খরচের দিক থেকে অনেক সহায়তা হয়ে গেছে এই মহান প্রচেষ্টাকে চিরস্থায়ী করে তোলার পথে। বাচ্ছাদের সাথে এক নতুন জীবনের শুরু এবার কুহুর। আর এই আনন্দের দিনে কুহু শান্তিনীড়ে খবর জানাতে ভোলেনা তার এই সাফল্যের।।
আশানিকেতন আজ তিরিশ জন অনাথ ছেলেমেয়ের আশ্রয়। গত বছর কেদারনাথে অলকানন্দার প্রলয়ে অনেক বাচ্ছা মা-বাবা, নিকট জনের সঙ্গ হারিয়ে আজ আশানিকেতনের অতিথি। অনেকের মা-বাবা সেই ভয়ানক প্রলয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, আবার অনেকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের মাঝে একটি পাঁচ বছরের বাচ্ছা মেয়ে খুশী প্রলয়ে মা-বাবার সঙ্গচ্যুত হয়ে গিয়েছিলো। যখন স্থানীয় লোকেরা ওকে উদ্ধার করে তখন অজ্ঞান হয়ে সে পরে ছিল মায়ের কোলে নদীর ধারে। মেয়েকে রক্ষা করে মা নিজেকে নিয়তির হাতে আহূতি দিয়েছে, শিকার হয়েছে বিধাতার রোষের। আর বাবার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শেষে অভিভাবক শূন্য হয়ে আজ আশা-নিকেতনে ঠাঁই। প্রকৃতির এই নির্মম প্রহারে ছোট্ট খুশী এতো সন্ত্রস্ত হয়েছিল যে সে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে গেছে। ও নিজের নাম ছাড়া আর কিছু মনে করতে পারে না। তবে ওর মাতৃভাষা বাংলা, এটাই শুধু আজ তার পরিচয়।।
সকালে সমস্ত বাচ্ছাদের নিয়ে প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় আশানিকেতনের দিন। কখনো 'ইতনা শক্তি হামে দেনা দাতা.... ', বা কখনো 'তুমি নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে ....'। এই বাংলা প্রার্থনাটা সমস্ত বাচ্ছাদের শেখাতে অবশ্য কুহুকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আর সেই প্রার্থনার মধ্যে বাচ্ছাদের সাথে সাথে কুহুও সারা দিনের প্রেরণা সঞ্চয় করে নেয়। মনে মনে বিধাতাকে বলে যেনো স্নেহ আর ভালোবাসার বন্যায় আজ ভাসিয়ে দিতে পারে সে বাচ্ছাদের মন। এক নতুন সংকল্পের আহ্বান আজ কুহুর কাছে। এতো জন অনাথের নাথ হবার, তাদের ভালোবাসার ছায়ায় ভুলিয়ে রাখার, ওদের জীবনে স্বপ্ন দেখানোর আর সাথে মানসিক ভাবে বলিষ্ঠ করে তোলার। আর অতি দর্পের সাথে কুহু সেই আহ্বানে আজ সাড়া দিয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে তার মাতৃত্ত্বের কোনো অনুভব নেই, কিন্তু ত্রিশ জন অনাথের কাছে আজ একাধারে মা বাবার দ্বৈত ভূমিকা পালন করে চলেছে কর্তব্যে অনড় এই প্রৌঢ় রমণী। আর তাকে সর্বাঙ্গিক ভাবে এই মহান প্রচেষ্টায় সঙ্গ দিয়ে চলেছে সন্তানতুল্য কবিতা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় যখন কুহু একা গঙ্গার ধারের বাঁধানো বেদিতে বসে সারাদিনের ঘটনাক্রম রোমন্থন করে তখন যেনো সন্তোষে ভরে ওঠে তার বুক। নতুন ভাবে আবার করে জীবন টাকে গুছিয়ে তোলার তৃপ্তি অনুভব করে। তবু যেনো এক শূন্যতা কোথা থেকে উঁকি দিয়ে যায় ওর মনের দিগন্তে।।
আশ্রমের সমস্ত বাচ্ছাদের মধ্যে খুশী একটু বেশী প্রিয় কুহুর। একে তো সে সবচেয়ে ছোটো আর তার ওপর খুব মিষ্টি। আর যখন বাকি বাচ্ছাদের মতো খুশী ওকে মা বলে ডাকে তখন কুহুর মনটা যেনো ভোরে ওঠে স্নেহে, মনে হয় যেনো ওর নিজের সন্তান বুঝি ওকে মা বলে ডাকছে। এইভাবে এক অটুট মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে পরে কুহু।।
আশানিকেতন আজ তিরিশ জন অনাথ ছেলেমেয়ের আশ্রয়। গত বছর কেদারনাথে অলকানন্দার প্রলয়ে অনেক বাচ্ছা মা-বাবা, নিকট জনের সঙ্গ হারিয়ে আজ আশানিকেতনের অতিথি। অনেকের মা-বাবা সেই ভয়ানক প্রলয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, আবার অনেকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের মাঝে একটি পাঁচ বছরের বাচ্ছা মেয়ে খুশী প্রলয়ে মা-বাবার সঙ্গচ্যুত হয়ে গিয়েছিলো। যখন স্থানীয় লোকেরা ওকে উদ্ধার করে তখন অজ্ঞান হয়ে সে পরে ছিল মায়ের কোলে নদীর ধারে। মেয়েকে রক্ষা করে মা নিজেকে নিয়তির হাতে আহূতি দিয়েছে, শিকার হয়েছে বিধাতার রোষের। আর বাবার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শেষে অভিভাবক শূন্য হয়ে আজ আশা-নিকেতনে ঠাঁই। প্রকৃতির এই নির্মম প্রহারে ছোট্ট খুশী এতো সন্ত্রস্ত হয়েছিল যে সে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে গেছে। ও নিজের নাম ছাড়া আর কিছু মনে করতে পারে না। তবে ওর মাতৃভাষা বাংলা, এটাই শুধু আজ তার পরিচয়।।
সকালে সমস্ত বাচ্ছাদের নিয়ে প্রার্থনা দিয়ে শুরু হয় আশানিকেতনের দিন। কখনো 'ইতনা শক্তি হামে দেনা দাতা.... ', বা কখনো 'তুমি নির্মল করো মঙ্গল করো মলিন মর্ম মুছায়ে ....'। এই বাংলা প্রার্থনাটা সমস্ত বাচ্ছাদের শেখাতে অবশ্য কুহুকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আর সেই প্রার্থনার মধ্যে বাচ্ছাদের সাথে সাথে কুহুও সারা দিনের প্রেরণা সঞ্চয় করে নেয়। মনে মনে বিধাতাকে বলে যেনো স্নেহ আর ভালোবাসার বন্যায় আজ ভাসিয়ে দিতে পারে সে বাচ্ছাদের মন। এক নতুন সংকল্পের আহ্বান আজ কুহুর কাছে। এতো জন অনাথের নাথ হবার, তাদের ভালোবাসার ছায়ায় ভুলিয়ে রাখার, ওদের জীবনে স্বপ্ন দেখানোর আর সাথে মানসিক ভাবে বলিষ্ঠ করে তোলার। আর অতি দর্পের সাথে কুহু সেই আহ্বানে আজ সাড়া দিয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে তার মাতৃত্ত্বের কোনো অনুভব নেই, কিন্তু ত্রিশ জন অনাথের কাছে আজ একাধারে মা বাবার দ্বৈত ভূমিকা পালন করে চলেছে কর্তব্যে অনড় এই প্রৌঢ় রমণী। আর তাকে সর্বাঙ্গিক ভাবে এই মহান প্রচেষ্টায় সঙ্গ দিয়ে চলেছে সন্তানতুল্য কবিতা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় যখন কুহু একা গঙ্গার ধারের বাঁধানো বেদিতে বসে সারাদিনের ঘটনাক্রম রোমন্থন করে তখন যেনো সন্তোষে ভরে ওঠে তার বুক। নতুন ভাবে আবার করে জীবন টাকে গুছিয়ে তোলার তৃপ্তি অনুভব করে। তবু যেনো এক শূন্যতা কোথা থেকে উঁকি দিয়ে যায় ওর মনের দিগন্তে।।
আশ্রমের সমস্ত বাচ্ছাদের মধ্যে খুশী একটু বেশী প্রিয় কুহুর। একে তো সে সবচেয়ে ছোটো আর তার ওপর খুব মিষ্টি। আর যখন বাকি বাচ্ছাদের মতো খুশী ওকে মা বলে ডাকে তখন কুহুর মনটা যেনো ভোরে ওঠে স্নেহে, মনে হয় যেনো ওর নিজের সন্তান বুঝি ওকে মা বলে ডাকছে। এইভাবে এক অটুট মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে পরে কুহু।।