07-10-2021, 09:46 AM
‘অভিযুক্তা স্বীকার করেছে যে সে এই শহরের একজন বিশিষ্ট নাগরিককে খুনের চেষ্টা করেছে... এমন একজন নাগরিক, যে কিনা মানবপ্রীতি ও মহৎ কাজের জন্য বিশেষ ভাবে সমাদৃত। সেই রকম একজন নাগরীককে অভিযুক্তা বিনা প্ররোচনায় গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আর শুধু তাই নয়, প্রায় আধ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটু অত্যন্ত বিখ্যাত ছবি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।’ ট্রেসির মনে হল জজ যত বলছেন ততই যেন ধীরে ধীরে তাঁর গলার স্বর তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। এক অশেষ ঘৃণা ঝড়ে পড়ছে যেন সেই গলার স্বর থেকে। তার দিকে তাকিয়ে জজ লরেন্স চিবিয়ে চিবিয়ে বলতে থাকলেন, ‘কিন্তু আজ এই আদালত অভিযুক্তাকে কোন মতেই সেই হৃত সম্পদ ভোগ করার অবকাশ দেবে না। আদালত অভিযুক্তা আসামী মিস ট্রেসি হুইটনিকে পনেরো বছরের জন্য সাউদার্ন লুইসিয়ানা মহিলা সংশোধানাগারে রাখার সাজা শোনালো।’
ট্রেসির মনে হল যেন পুরো আদালত কক্ষটা দুলছে। এটা নিশ্চয় একটা মজা করছে সবাই। জজকে যেন মনে হচ্ছে উনি একজন অভিনেতা... ভুল করে যে পাট বলার কথা সেটা না বলে অন্য আর একজনের পাট বলে ফেলেছেন। এক্ষুনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার নতুন করে বলতে শুরু করবেন। সে মুখ তুলে আবার পেরী পোপের দিকে তাকালো। কিন্তু পোপ তখন ব্যস্ত হয়ে নিজের ব্রিফকেসে কাগজ গোছাতে ব্যস্ত। তার দিকে তাকাবার প্রয়োজনই বোধ করছে না। মুখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকাতে দেখল জজ লরেন্স ততক্ষনে রায় লিখে নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছেন। ট্রেসি তাড়াতাড়ি করে উঠে দাঁড়ালো। কি ঘটছে যেন কিছুই মাথায় আসছে না তার।
একজন গার্ড এগিয়ে এসে তার বাজু ধরে কর্কশ গলায় বলল, ‘চলুন, যেতে হবে।’
‘না!’ কেঁদে ফেলল ট্রেসি। ‘প্লিজ, না! কোথাও একটা মারাত্মক ভুল হচ্ছে, ইয়োর অনার, আমি...’ বলে গার্ডের হাত ছাড়িয়ে জজএর দিকে এগোতে যেতেই, গার্ডের হাত আরো শক্ত হয়ে তার বাজুতে চেপে বসল। জজ, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আর পেরী পোপ, তার চিৎকারের কোন ভ্রুক্ষেপ না করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে আদালত কক্ষ্য থেকে বেরিয়ে চলে গেল। ট্রেসির আর বুঝতে বাকি রইল না... না, কোন ভুল হয়নি, একদম সুন্দর ভাবে তাকে ঠকানো হয়েছে। এরা তাকে একেবারে শেষ করে দিয়ে গেল। ঠিক যে ভাবে তার মাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল।
ট্রেসির মনে হল যেন পুরো আদালত কক্ষটা দুলছে। এটা নিশ্চয় একটা মজা করছে সবাই। জজকে যেন মনে হচ্ছে উনি একজন অভিনেতা... ভুল করে যে পাট বলার কথা সেটা না বলে অন্য আর একজনের পাট বলে ফেলেছেন। এক্ষুনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার নতুন করে বলতে শুরু করবেন। সে মুখ তুলে আবার পেরী পোপের দিকে তাকালো। কিন্তু পোপ তখন ব্যস্ত হয়ে নিজের ব্রিফকেসে কাগজ গোছাতে ব্যস্ত। তার দিকে তাকাবার প্রয়োজনই বোধ করছে না। মুখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকাতে দেখল জজ লরেন্স ততক্ষনে রায় লিখে নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছেন। ট্রেসি তাড়াতাড়ি করে উঠে দাঁড়ালো। কি ঘটছে যেন কিছুই মাথায় আসছে না তার।
একজন গার্ড এগিয়ে এসে তার বাজু ধরে কর্কশ গলায় বলল, ‘চলুন, যেতে হবে।’
‘না!’ কেঁদে ফেলল ট্রেসি। ‘প্লিজ, না! কোথাও একটা মারাত্মক ভুল হচ্ছে, ইয়োর অনার, আমি...’ বলে গার্ডের হাত ছাড়িয়ে জজএর দিকে এগোতে যেতেই, গার্ডের হাত আরো শক্ত হয়ে তার বাজুতে চেপে বসল। জজ, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আর পেরী পোপ, তার চিৎকারের কোন ভ্রুক্ষেপ না করে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে আদালত কক্ষ্য থেকে বেরিয়ে চলে গেল। ট্রেসির আর বুঝতে বাকি রইল না... না, কোন ভুল হয়নি, একদম সুন্দর ভাবে তাকে ঠকানো হয়েছে। এরা তাকে একেবারে শেষ করে দিয়ে গেল। ঠিক যে ভাবে তার মাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল।