07-10-2021, 09:45 AM
আদালতে নিয়ে যাবার আগে অবধি আর ট্রেসিকে কোন ফোন করার অনুমতি দেওয়া হয় নি। তাকে নিয়ে সোজা হাজির করানো হল কোর্টে। একটা বেঞ্চে বসিয়ে তার দুইদিকে দুজন অ্যাটর্নি দাড়ালো। এক পাশে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এড টপ্পার আর অন্য দিকে আসামী পক্ষের অ্যাটর্নি পেরী পোপ। সামনে জজের আসনে যে ভদ্রলোক বসে আছেন, ট্রেসি লক্ষ্য করল তার বয়স খুব বেশি হলে পঞ্চাশ হবে। ভারিক্কি চেহারার, বেশ সম্ভ্রান্ত দেখতে।
জজ লরেন্স ট্রেসিকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলে উঠলেন, ‘আদালতকে বলা হয়েছে যে আপনি আপনার আবেদন নির্দোষ থেকে দোষী বলে পরিবর্তন করেছেন। এটা কি সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব মত আপনার?’
‘হ্যা, ইয়োর অনার।’
‘এ ব্যাপারে আপনাকে কোন রকম বাধ্য করা হয় নি? সম্পূর্ন সুস্থ মস্তিস্কে এই কার্য সম্পন্ন করেছেন?’
‘হ্যা, ইয়োর অনার।’
‘হু। বাদী ও বিবাদী পক্ষের সমস্ত অ্যাটর্নি এই বক্তব্য সমর্থন করেন?’
পেরী পোপ ও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, দুজনেই জজের বক্তব্যের সমর্থনে ঘাড় হেলিয়ে বলে উঠল, ‘হ্যা, ইয়োর অনার।’
শুনে বেশ কিছুক্ষন জজ লরেন্স চুপ করে নিজের চেয়ারে বসে রইলেন। তারপর একটু ঝুঁকে ট্রেসির চোখে চোখ রেখে বলে উঠলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের এই মহান দেশের এই অবস্থার মূল কারন হচ্ছে রাস্তাঘাটে কিছু ক্ষতিকারক জঘন্য মানুষ বিনা বিচারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাতে লোকেরা বিচার ব্যবস্থার প্রতি ঠাট্টাতামাশা করছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা শুধু শুধু কিছু ক্রিমিনালকে ছেড়ে দিয়ে আদর যত্ন করছে। কিন্তু এই লুইসিয়ানায় আমি সেটা হতে দেব না। আমরা এখানে বিশ্বাস করি অপরাধীর প্রকৃষ্ট সাজা পাওয়া উচিত।’
জজের কথা শুনতে শুনতে কেন জানি না, ট্রেসির কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগল। পেটের মধ্যে একটা ভয় কেমন গাঁট পাকিয়ে উঠছে মনে হল তার। সে একবার চোখ তুলে পেরী পোপের দিকে তাকালো। পোপ ভাবলেশহীন মুখে একদৃষ্টে জজের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। তার কানে এল জজ বলে চলেছে...
জজ লরেন্স ট্রেসিকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলে উঠলেন, ‘আদালতকে বলা হয়েছে যে আপনি আপনার আবেদন নির্দোষ থেকে দোষী বলে পরিবর্তন করেছেন। এটা কি সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব মত আপনার?’
‘হ্যা, ইয়োর অনার।’
‘এ ব্যাপারে আপনাকে কোন রকম বাধ্য করা হয় নি? সম্পূর্ন সুস্থ মস্তিস্কে এই কার্য সম্পন্ন করেছেন?’
‘হ্যা, ইয়োর অনার।’
‘হু। বাদী ও বিবাদী পক্ষের সমস্ত অ্যাটর্নি এই বক্তব্য সমর্থন করেন?’
পেরী পোপ ও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, দুজনেই জজের বক্তব্যের সমর্থনে ঘাড় হেলিয়ে বলে উঠল, ‘হ্যা, ইয়োর অনার।’
শুনে বেশ কিছুক্ষন জজ লরেন্স চুপ করে নিজের চেয়ারে বসে রইলেন। তারপর একটু ঝুঁকে ট্রেসির চোখে চোখ রেখে বলে উঠলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের এই মহান দেশের এই অবস্থার মূল কারন হচ্ছে রাস্তাঘাটে কিছু ক্ষতিকারক জঘন্য মানুষ বিনা বিচারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাতে লোকেরা বিচার ব্যবস্থার প্রতি ঠাট্টাতামাশা করছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা শুধু শুধু কিছু ক্রিমিনালকে ছেড়ে দিয়ে আদর যত্ন করছে। কিন্তু এই লুইসিয়ানায় আমি সেটা হতে দেব না। আমরা এখানে বিশ্বাস করি অপরাধীর প্রকৃষ্ট সাজা পাওয়া উচিত।’
জজের কথা শুনতে শুনতে কেন জানি না, ট্রেসির কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগল। পেটের মধ্যে একটা ভয় কেমন গাঁট পাকিয়ে উঠছে মনে হল তার। সে একবার চোখ তুলে পেরী পোপের দিকে তাকালো। পোপ ভাবলেশহীন মুখে একদৃষ্টে জজের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। তার কানে এল জজ বলে চলেছে...