06-10-2021, 10:59 PM
সেইদিনগুলো # বাবান
সেই দিনগুলো বড়ো মনে পরে. সবকিছুতেই কম ছিলাম আমরা. জ্ঞান, বুদ্ধি, বাস্তবতা সম্পর্কে, চলচ্চিত্র, বিনোদন সম্পর্কে ধারণা... এমনকি উচ্চতাতেও. জানতাম না ফিল্মের ক্যামেরার কারুকার্য কত রকমের হয়, জানতাম না একই নায়ক বিভিন্ন গানে ভিন্ন স্বরে কিকরে গান গায়? ভাবতাম ওই ছোট্ট পর্দায় ঘটে চলা সবই বোধহয় সত্যি, বাবা অথবা মায়ের হাত ধরে কলেজে যাওয়া, নিজের মতো ছোট ছোট মাথাগুলোর মাঝে চেনা মাথাগুলো খুঁজে তাদের সাথে গল্প করা, ম্যাডামদের কে কেন জানি ভয় পেতাম না... একটা বন্ধুত্বের অদৃশ্য সম্পর্ক ছিল যেন. বইয়ে রঙিন ছবি আর প্রথম ইংরেজি শেখা, অজানা লেখাগুলোর মধ্যে আলাদা উৎসাহ খুঁজে পাওয়া, নতুন নতুন কবিতা যার মূল্য অনেক, নতুন নতুন গল্প যা আজও যেন খুজি. শেয়ালের গল্প, পাখির গল্প আমাদের মুখে ফোটাতো হাসি. আর তারপরে এলো ড্রয়িং. নিজের হাত দিয়ে সাদা খাতা যখন রঙিন কিছুতে ভোরে উঠতো তখন সেকি আনন্দ. হোক না ভুলভাল সেই চিত্র... আজকের পরিষ্কার চিত্রর থেকে অনেক সুন্দর. সেই প্রথম আঁকা কুঁড়েঘর আর কলসি মাথায় গ্রামের বৌ, নীল আকাশে উড়ন্ত পাখি, নদী নালা, পুকুর, গাছপালা, সেই প্রথম কালো কুকুরটা আর সেই পাঁচিলে শুয়ে থাকা সাদা বিড়াল. কি অদ্ভুত ভাবে বাস্তব থেকে সাদা পৃষ্ঠায় চলে আসতো তারা.
এছাড়া সেই দিনটা কিকরে ভুলতে পারি? সেই ঢুলু ঢুলু চোখে ঘুম থেকে ওঠা. বাবা নিয়ে আসতো পুরোনো সেই রেডিও. আর সেটা চালু করতেই কানে আসতো - অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশি অন্তর্হিত মেঘমালা........ অজান্তেই হাসি ফুটে উঠতো ঠোঁটে. সাথে এক অজানা শিহরণ. বাবা মায়ের সাথে বসে সেই রেডিও শোনা, যাদের ভাই বোন ছিল তারা পাশাপাশি বসে শুনতো..... বুঝতো কতটা? কে জানে? কিন্তু বোঝার থেকে বেশি নিষ্পাপ আনন্দ যা আজ স্মৃতি. পরে বন্ধুদের সাথে সেই নিয়ে আড্ডা... তাও আজ স্মৃতি.... কারণ আজ যে নতুন বলে আর কিছুই নেই... সবই যেন জানা... আমরা আজ বুঝতে শিখে ফেলেছি.. কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশিই.... তাই সেই দিনগুলো যখন আমরা আজকের তুলনায় নির্বোধ ছিলাম সেইদিন গুলো আজ আমাদের খুশির খোরাক. কিছু অতীত কাদায়... কিন্তু আবার কিছু অতীত মুখে হাসিও ফোটায়.
সেই দিনগুলো বড়ো মনে পরে. সবকিছুতেই কম ছিলাম আমরা. জ্ঞান, বুদ্ধি, বাস্তবতা সম্পর্কে, চলচ্চিত্র, বিনোদন সম্পর্কে ধারণা... এমনকি উচ্চতাতেও. জানতাম না ফিল্মের ক্যামেরার কারুকার্য কত রকমের হয়, জানতাম না একই নায়ক বিভিন্ন গানে ভিন্ন স্বরে কিকরে গান গায়? ভাবতাম ওই ছোট্ট পর্দায় ঘটে চলা সবই বোধহয় সত্যি, বাবা অথবা মায়ের হাত ধরে কলেজে যাওয়া, নিজের মতো ছোট ছোট মাথাগুলোর মাঝে চেনা মাথাগুলো খুঁজে তাদের সাথে গল্প করা, ম্যাডামদের কে কেন জানি ভয় পেতাম না... একটা বন্ধুত্বের অদৃশ্য সম্পর্ক ছিল যেন. বইয়ে রঙিন ছবি আর প্রথম ইংরেজি শেখা, অজানা লেখাগুলোর মধ্যে আলাদা উৎসাহ খুঁজে পাওয়া, নতুন নতুন কবিতা যার মূল্য অনেক, নতুন নতুন গল্প যা আজও যেন খুজি. শেয়ালের গল্প, পাখির গল্প আমাদের মুখে ফোটাতো হাসি. আর তারপরে এলো ড্রয়িং. নিজের হাত দিয়ে সাদা খাতা যখন রঙিন কিছুতে ভোরে উঠতো তখন সেকি আনন্দ. হোক না ভুলভাল সেই চিত্র... আজকের পরিষ্কার চিত্রর থেকে অনেক সুন্দর. সেই প্রথম আঁকা কুঁড়েঘর আর কলসি মাথায় গ্রামের বৌ, নীল আকাশে উড়ন্ত পাখি, নদী নালা, পুকুর, গাছপালা, সেই প্রথম কালো কুকুরটা আর সেই পাঁচিলে শুয়ে থাকা সাদা বিড়াল. কি অদ্ভুত ভাবে বাস্তব থেকে সাদা পৃষ্ঠায় চলে আসতো তারা.
এছাড়া সেই দিনটা কিকরে ভুলতে পারি? সেই ঢুলু ঢুলু চোখে ঘুম থেকে ওঠা. বাবা নিয়ে আসতো পুরোনো সেই রেডিও. আর সেটা চালু করতেই কানে আসতো - অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশি অন্তর্হিত মেঘমালা........ অজান্তেই হাসি ফুটে উঠতো ঠোঁটে. সাথে এক অজানা শিহরণ. বাবা মায়ের সাথে বসে সেই রেডিও শোনা, যাদের ভাই বোন ছিল তারা পাশাপাশি বসে শুনতো..... বুঝতো কতটা? কে জানে? কিন্তু বোঝার থেকে বেশি নিষ্পাপ আনন্দ যা আজ স্মৃতি. পরে বন্ধুদের সাথে সেই নিয়ে আড্ডা... তাও আজ স্মৃতি.... কারণ আজ যে নতুন বলে আর কিছুই নেই... সবই যেন জানা... আমরা আজ বুঝতে শিখে ফেলেছি.. কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশিই.... তাই সেই দিনগুলো যখন আমরা আজকের তুলনায় নির্বোধ ছিলাম সেইদিন গুলো আজ আমাদের খুশির খোরাক. কিছু অতীত কাদায়... কিন্তু আবার কিছু অতীত মুখে হাসিও ফোটায়.