06-10-2021, 02:28 PM
পরদিন সকালে পেরী পোপের মুখে নির্মল হাসি দেখে ট্রেসির বুঝতে অসুবিধা হয় না যে একটা খুব ভালো খবর নিয়ে সে এসেছে।
‘আমরা খুব লাকি, বুঝলেন!’ পেরী হাসি মুখে জানালো তাকে। ‘আমি এই মাত্র জজ লরেন্স আর টপ্পর, মানে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির সাথে দেখা করে এলাম। টপ্পর তো ভুতের মত চিৎকার চেঁচামিচি করছিল, কিন্তু অবশেষে আমরা ডিলটা করতে পেরেছি।’
‘ডিল?’
‘আমি জজ লরেন্সকে আপনার আসল ঘটনাটা পুরো বললাম। উনি রাজি হয়েছেন আপনার অপরাধনামা গ্রহণ করতে।’
‘অপরাধনামা! কিন্তু আমি তো...’
হাত তুলে মাঝপথেই পেরী তাকে থামিয়ে দিল। ‘আমার কথাটা আগে খুব মন দিয়ে শুনুন। দেখুন, আপনি যদি অপরাধনামা জমা করেন, তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে? কোর্টের খরচা কমছে। আর আমি জজকে বুঝিয়েছি যে আপনি ছবিটা চুরি করেননি। আর উনিও রোম্যানো কেমন লোক সেটা ভাল মতই জানেন। তাই উনি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন।’
‘কিন্তু আমি যদি অপরাধ স্বীকার করি তাহলে ওনারা আমায় কি করবেন?’ ভয়ার্ত গলায় প্রশ্ন করল ট্রেসি।
‘জজ লরেন্স সেই ক্ষেত্রে আপনাকে তিন মাসের জেল দেবে...’
‘জেল!’
‘এক মিনিট। আরো আছে। উনি জেলের সাজা শোনাবেন ঠিকই, কিন্তু সেই সাজাও সাস্পেন্ড করে রাখবেন। যাতে আপনি জেলে না গিয়ে নিশ্চিন্তে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেন।’
‘কিন্তু তাতে... তাতে তো আমার নামের পাশে একটা রেকর্ড থেকে যাবে?’
পেরী পোপ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘হ্যা সেটা ঠিক, কিন্তু আপনাকে যদি মামলায় তোলা হয় তাহলে আপনার বিরুদ্ধে সসস্ত্র ডাকাতী আর সেই সাথে খুনের চেষ্টার মামলা চলবে, যাতে আপনার মোটামুটি দশ বছরের জেল কেউ আটকাতে পারবে না।’
‘দশ বছরের জেল?’
পেরী পোপ ভালো করে ট্রেসিকে দেখে নিয়ে ধীর কন্ঠে বলল, ‘এবার আপনার চিন্তা ভাবনা। আমি আমার যতটা করার সেটা চেষ্টা করেছি। আমি তো বলবো এটা একটা অলৌকিক ঘটনা যে জজ লরেন্সকে রাজি করাতে পেরেছি। এবার ওনারা এর উত্তর চান। আপনাকে যে এই ডিলটা করতেই হবে তার কোন মানে নেই। কেউ জোর করছে না আপনার ওপর। আপনি চাইলে অন্য আইনজীবিও ডাকতে পারেন, কিন্তু...’
‘না’, ট্রেসির এই লোকটির আন্তরিকতা নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। এই পরিস্থিতিতে ইনি যথা সম্ভব চেষ্টা করেছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু একবার যদি চার্লসের সাথে কথা বলা যেত। কিন্তু ওরা যে এখনই উত্তর চায়। হয়তো সেই লাকি যে তিন মাসের সাসপেন্ডের সাজা নিয়ে ছাড়া পেয়ে যাবে।
‘ঠিক আছে... আমি রাজি ডিলটায়!’ যেন জোর করে কথাগুলো বলল ট্রেসি।
পেরী ঘার নেড়ে শুধু বলল, ‘স্মার্ট গার্ল।’
******
‘আমরা খুব লাকি, বুঝলেন!’ পেরী হাসি মুখে জানালো তাকে। ‘আমি এই মাত্র জজ লরেন্স আর টপ্পর, মানে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির সাথে দেখা করে এলাম। টপ্পর তো ভুতের মত চিৎকার চেঁচামিচি করছিল, কিন্তু অবশেষে আমরা ডিলটা করতে পেরেছি।’
‘ডিল?’
‘আমি জজ লরেন্সকে আপনার আসল ঘটনাটা পুরো বললাম। উনি রাজি হয়েছেন আপনার অপরাধনামা গ্রহণ করতে।’
‘অপরাধনামা! কিন্তু আমি তো...’
হাত তুলে মাঝপথেই পেরী তাকে থামিয়ে দিল। ‘আমার কথাটা আগে খুব মন দিয়ে শুনুন। দেখুন, আপনি যদি অপরাধনামা জমা করেন, তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে? কোর্টের খরচা কমছে। আর আমি জজকে বুঝিয়েছি যে আপনি ছবিটা চুরি করেননি। আর উনিও রোম্যানো কেমন লোক সেটা ভাল মতই জানেন। তাই উনি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন।’
‘কিন্তু আমি যদি অপরাধ স্বীকার করি তাহলে ওনারা আমায় কি করবেন?’ ভয়ার্ত গলায় প্রশ্ন করল ট্রেসি।
‘জজ লরেন্স সেই ক্ষেত্রে আপনাকে তিন মাসের জেল দেবে...’
‘জেল!’
‘এক মিনিট। আরো আছে। উনি জেলের সাজা শোনাবেন ঠিকই, কিন্তু সেই সাজাও সাস্পেন্ড করে রাখবেন। যাতে আপনি জেলে না গিয়ে নিশ্চিন্তে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেন।’
‘কিন্তু তাতে... তাতে তো আমার নামের পাশে একটা রেকর্ড থেকে যাবে?’
পেরী পোপ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ‘হ্যা সেটা ঠিক, কিন্তু আপনাকে যদি মামলায় তোলা হয় তাহলে আপনার বিরুদ্ধে সসস্ত্র ডাকাতী আর সেই সাথে খুনের চেষ্টার মামলা চলবে, যাতে আপনার মোটামুটি দশ বছরের জেল কেউ আটকাতে পারবে না।’
‘দশ বছরের জেল?’
পেরী পোপ ভালো করে ট্রেসিকে দেখে নিয়ে ধীর কন্ঠে বলল, ‘এবার আপনার চিন্তা ভাবনা। আমি আমার যতটা করার সেটা চেষ্টা করেছি। আমি তো বলবো এটা একটা অলৌকিক ঘটনা যে জজ লরেন্সকে রাজি করাতে পেরেছি। এবার ওনারা এর উত্তর চান। আপনাকে যে এই ডিলটা করতেই হবে তার কোন মানে নেই। কেউ জোর করছে না আপনার ওপর। আপনি চাইলে অন্য আইনজীবিও ডাকতে পারেন, কিন্তু...’
‘না’, ট্রেসির এই লোকটির আন্তরিকতা নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। এই পরিস্থিতিতে ইনি যথা সম্ভব চেষ্টা করেছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু একবার যদি চার্লসের সাথে কথা বলা যেত। কিন্তু ওরা যে এখনই উত্তর চায়। হয়তো সেই লাকি যে তিন মাসের সাসপেন্ডের সাজা নিয়ে ছাড়া পেয়ে যাবে।
‘ঠিক আছে... আমি রাজি ডিলটায়!’ যেন জোর করে কথাগুলো বলল ট্রেসি।
পেরী ঘার নেড়ে শুধু বলল, ‘স্মার্ট গার্ল।’
******