06-10-2021, 02:27 PM
পোপ উঠে দাঁড়িয়ে খানিক সেলের মধ্যে চুপচাপ পায়চারি করতে থাকল, তারপর একটু ভেবে বলল, ‘আমি চাইনা আপনাকে জুরিদের সামনে দাঁড় করাতে। কারন আমি জানি যে এই জুরিরাও ওরাসত্তিরই কেনা হবে। তাই এরা কখনই ঠিক রায় দেবে না। বরং এই শহরে একজন মাত্র জজ আছেন যাঁকে এখনও পর্যন্ত ওরাসত্তি কিনতে পারেনি। তাঁর নাম হেনরি লরেন্স। আমি চেষ্টা করব যদি তাঁকে দিয়ে এই কেসটার হিয়ারিং করানো যায়। তাহলে আমি সুনিশ্চিত যে আপনাকে এই কেসটা থেকে বেকুসুর খালাস করিয়ে নিয়ে আসতে পারব। যদিও জানি ব্যাপারটা একদমই অনৈতিক হবে, তবুও শুধু আপনার জন্য আমি একবার চেষ্টা করে দেখব যদি আলাদা করে ওনার সাথে একবার কথা বলে রাজি করাতে পারি। উনিও আমার মতই ওরাসত্তি বা রোম্যানোকে ঘৃণা করেন। তাই আমাকে জজ লরেন্সকে পেতেই হবে আপনার জন্য।’
******
পেরী পোপের ব্যবস্থাপনায় ট্রেসি ফোন করল চার্লসকে। ওপারে চার্লসের সেক্রেটারী ধরল ফোনটা, ‘হ্যালো, মিঃ স্ট্যানহোপের অফিস থেকে বলছি...’
চেনা কন্ঠস্বরে খানিকটা হলেও ভালো লাগল ট্রেসির। তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘হ্যারিয়েট, আমি ট্রেসি হুইটনি বলছি...’
‘ওহ, মিস হুইটনি, স্যর কখন থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু আপনার কোন ফোন নাম্বার না থাকার কারনে যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না। মিসেস স্ট্যানহোপও আপনাকে ভিষন ভাবে খুজছিলেন। উনি খুব উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন আপনাদের বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য। আপনি যথাশিঘ্র সম্ভব ওনাকে একবার ফোনে যোগাযোগ করুন...’
‘হ্যারিয়েট, আমি মিঃ স্ট্যানহোপের সাথে একবার কথা বলতে পারি?’
‘আমি একান্ত দুঃখিত মিস হুইটনি, স্যর তো অফিসে নেই। উনি একটা জরুরি মিটিংএর জন্য সকাল বেলায়ই হাউস্টন চলে গেছেন। আপনি যদি আপনার নাম্বারটা দেন তাহলে উনি ফিরলেই আপনাকে ফোন করতে বলতে পারি। আমি জানি উনি ফিরলেই সাথে সাথে আপনাকে ফোন করবেন।’
‘আমি...’ জেলের মধ্যে কোন ভাবেই কারুর পক্ষে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। তাকেই ফোন করে সমস্ত কিছু বলতে হবে। ‘আমি... আমি পরে না হয় মিঃ স্ট্যানহোপকে ফোন করে নেব।’ আস্তে আস্তে ফোনের রিসিভারটা নামিয়ে রাখল ট্রেসি। আগামীকাল... ট্রেসি ভাবল... আগামীকাল চার্লসকে আমি সব কিছু খুলে বলব।
সেদিন দুপুরে একটা আরো বড় সেলে ট্রেসিকে স্থানান্তরিত করা হল। দুপুরের খাবারও বেশ ভালো ছিল। খানিকপর একজন একটা ফুলের তোড়া তাকে দিয়ে গেল। সেটাতে একটা কার্ড লাগানো রয়েছে। কার্ডটা হাতে নিয়ে সে দেখে, লেখা রয়েছে, ‘সুসংবাদ। আগামীকাল আমরা ওই বাস্টার্ডদের উচিত শিক্ষা দিতে চলেছি।’ নিচে সই রয়েছে... পেরী পোপ।
******
******
পেরী পোপের ব্যবস্থাপনায় ট্রেসি ফোন করল চার্লসকে। ওপারে চার্লসের সেক্রেটারী ধরল ফোনটা, ‘হ্যালো, মিঃ স্ট্যানহোপের অফিস থেকে বলছি...’
চেনা কন্ঠস্বরে খানিকটা হলেও ভালো লাগল ট্রেসির। তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘হ্যারিয়েট, আমি ট্রেসি হুইটনি বলছি...’
‘ওহ, মিস হুইটনি, স্যর কখন থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু আপনার কোন ফোন নাম্বার না থাকার কারনে যোগাযোগ করে উঠতে পারছেন না। মিসেস স্ট্যানহোপও আপনাকে ভিষন ভাবে খুজছিলেন। উনি খুব উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন আপনাদের বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য। আপনি যথাশিঘ্র সম্ভব ওনাকে একবার ফোনে যোগাযোগ করুন...’
‘হ্যারিয়েট, আমি মিঃ স্ট্যানহোপের সাথে একবার কথা বলতে পারি?’
‘আমি একান্ত দুঃখিত মিস হুইটনি, স্যর তো অফিসে নেই। উনি একটা জরুরি মিটিংএর জন্য সকাল বেলায়ই হাউস্টন চলে গেছেন। আপনি যদি আপনার নাম্বারটা দেন তাহলে উনি ফিরলেই আপনাকে ফোন করতে বলতে পারি। আমি জানি উনি ফিরলেই সাথে সাথে আপনাকে ফোন করবেন।’
‘আমি...’ জেলের মধ্যে কোন ভাবেই কারুর পক্ষে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। তাকেই ফোন করে সমস্ত কিছু বলতে হবে। ‘আমি... আমি পরে না হয় মিঃ স্ট্যানহোপকে ফোন করে নেব।’ আস্তে আস্তে ফোনের রিসিভারটা নামিয়ে রাখল ট্রেসি। আগামীকাল... ট্রেসি ভাবল... আগামীকাল চার্লসকে আমি সব কিছু খুলে বলব।
সেদিন দুপুরে একটা আরো বড় সেলে ট্রেসিকে স্থানান্তরিত করা হল। দুপুরের খাবারও বেশ ভালো ছিল। খানিকপর একজন একটা ফুলের তোড়া তাকে দিয়ে গেল। সেটাতে একটা কার্ড লাগানো রয়েছে। কার্ডটা হাতে নিয়ে সে দেখে, লেখা রয়েছে, ‘সুসংবাদ। আগামীকাল আমরা ওই বাস্টার্ডদের উচিত শিক্ষা দিতে চলেছি।’ নিচে সই রয়েছে... পেরী পোপ।
******