05-10-2021, 09:54 AM
পাইপটা নিভে গিয়ে থাকবে। সেটাকে পুনরায় জ্বালিয়ে নিয়ে সে প্রশ্ন করল, ‘আচ্ছা, আপনি বাড়িটাতে কি ভাবে ঢুকলেন?’
‘আমি ডোর বেল বাজালাম, উনি এসে দরজা খুলে দিলেন।’
‘কিন্তু গল্পে তো সে রকমটা নেই। বাড়ির পেছনদিকের একটা জানলা ভাঙা রয়েছে। এবং রোম্যানো বলেছে যে আপনি বাড়ির ওই জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিলেন আর ওই জঁ রনোয়ার ছবিটা নিয়ে যখন পালাচ্ছিলেন তখন রোম্যানো ঘরে ঢোকে। সেই সময় আপনাকে বাধা দিতে গেলে আপনি ওকে গুলি করে পালিয়ে যান।’
‘কিন্তু সেটা তো সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা...’
‘হু, মিথ্যে কথা, কিন্তু সেটা ওর মিথ্যা, ওর বাড়ী আর আপনার বন্দুক। আপনার কোন ধারনা আছে কার সাথে আপনি পাঙ্গা নিতে গিয়েছিলেন?’
ট্রেসি নীরবে শুধু মাথা নাড়ল।
‘তাহলে জীবনের একটা খুব সত্য আপনাকে জানাই, মিস হুইটনি। এই শহরটা চলে একমাত্র ওরাসত্তি পরিবারের আঙ্গুলী হেলনে। এখানে কোনকিছুই করা সম্ভব নয় অ্যান্থনী ওরাসত্তির অনুমোদন ছাড়া। তা সে পারমিট পাওয়াই হোক, বাড়ি বানানো হোক, গনিকালয় চালানই হোক বা ড্রাগ বিক্রি করাই হোক। সব জায়গায় শুধু ওরাসত্তি। জো রোম্যানো এখানে প্রথমে ছিল এই ওরাসত্তির হিট ম্যান। আর আজ সে ওরাসত্তির ডান হাত।’ একটু থেমে ট্রেসির দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে বলল, ‘আর আপনি কি না সেই রোম্যানোর বাড়ি গিয়ে ওরই দিকে বন্দুক তুলেছেন! ভাবা যায়?’
ট্রেসি শুনতে শুনতে আরো বিমর্শ হয়ে পড়তে লাগল। থম মেরে খানিক বসে থেকে ধীর গলায় প্রশ্ন করল, ‘আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন?’
ম্লান হেসে পেরী পোপ উত্তর দিল, ‘করেছি। আপনার প্রতিটা কথাই জলের মত সত্যি। একটা কথাও অবিশ্বাস করার মত নয়।’
‘তাহলে আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন?’
একটু চুপ করে থেকে উত্তর দিল, ‘আমি চেষ্টা করব, সেটা বলতে পারি। আর শুধু তাই নয়, আমি চেষ্টা করব এদেরকেও গারদের পেছনে ভরার। এরা পুরো শহরটাকেই এদের দখলে রেখেছে, আর সেই সাথে, অনেক জজও এদের কেনা। তাই যদি আপনি সোজা সাপ্টা মামলায় যান, এদের সাথে পেরে উঠবেন না। এরা এমন ভাবে আপনাকে ফাঁসাবে যে আর কোনদিন হয়তো দিনের আলোও চোখে পড়বে না আপনার, সারাটা জীবন হয়তো জেলের অন্ধকার কুঠুরীতে কেটে যাবে আপনার জীবনটা।’
ভীত চোখে ট্রেসি প্রশ্ন করল, ‘যদি মামলা করি মানে?’
‘আমি ডোর বেল বাজালাম, উনি এসে দরজা খুলে দিলেন।’
‘কিন্তু গল্পে তো সে রকমটা নেই। বাড়ির পেছনদিকের একটা জানলা ভাঙা রয়েছে। এবং রোম্যানো বলেছে যে আপনি বাড়ির ওই জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিলেন আর ওই জঁ রনোয়ার ছবিটা নিয়ে যখন পালাচ্ছিলেন তখন রোম্যানো ঘরে ঢোকে। সেই সময় আপনাকে বাধা দিতে গেলে আপনি ওকে গুলি করে পালিয়ে যান।’
‘কিন্তু সেটা তো সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা...’
‘হু, মিথ্যে কথা, কিন্তু সেটা ওর মিথ্যা, ওর বাড়ী আর আপনার বন্দুক। আপনার কোন ধারনা আছে কার সাথে আপনি পাঙ্গা নিতে গিয়েছিলেন?’
ট্রেসি নীরবে শুধু মাথা নাড়ল।
‘তাহলে জীবনের একটা খুব সত্য আপনাকে জানাই, মিস হুইটনি। এই শহরটা চলে একমাত্র ওরাসত্তি পরিবারের আঙ্গুলী হেলনে। এখানে কোনকিছুই করা সম্ভব নয় অ্যান্থনী ওরাসত্তির অনুমোদন ছাড়া। তা সে পারমিট পাওয়াই হোক, বাড়ি বানানো হোক, গনিকালয় চালানই হোক বা ড্রাগ বিক্রি করাই হোক। সব জায়গায় শুধু ওরাসত্তি। জো রোম্যানো এখানে প্রথমে ছিল এই ওরাসত্তির হিট ম্যান। আর আজ সে ওরাসত্তির ডান হাত।’ একটু থেমে ট্রেসির দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে বলল, ‘আর আপনি কি না সেই রোম্যানোর বাড়ি গিয়ে ওরই দিকে বন্দুক তুলেছেন! ভাবা যায়?’
ট্রেসি শুনতে শুনতে আরো বিমর্শ হয়ে পড়তে লাগল। থম মেরে খানিক বসে থেকে ধীর গলায় প্রশ্ন করল, ‘আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন?’
ম্লান হেসে পেরী পোপ উত্তর দিল, ‘করেছি। আপনার প্রতিটা কথাই জলের মত সত্যি। একটা কথাও অবিশ্বাস করার মত নয়।’
‘তাহলে আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন?’
একটু চুপ করে থেকে উত্তর দিল, ‘আমি চেষ্টা করব, সেটা বলতে পারি। আর শুধু তাই নয়, আমি চেষ্টা করব এদেরকেও গারদের পেছনে ভরার। এরা পুরো শহরটাকেই এদের দখলে রেখেছে, আর সেই সাথে, অনেক জজও এদের কেনা। তাই যদি আপনি সোজা সাপ্টা মামলায় যান, এদের সাথে পেরে উঠবেন না। এরা এমন ভাবে আপনাকে ফাঁসাবে যে আর কোনদিন হয়তো দিনের আলোও চোখে পড়বে না আপনার, সারাটা জীবন হয়তো জেলের অন্ধকার কুঠুরীতে কেটে যাবে আপনার জীবনটা।’
ভীত চোখে ট্রেসি প্রশ্ন করল, ‘যদি মামলা করি মানে?’