01-10-2021, 09:57 AM
সঞ্চিতার শেষ চেষ্টা # ১ –
পরদিন সকালে কস্তূরী বেশ খুশী মনেই অফিসে আসে। রজত জিজ্ঞাসা করলে কস্তূরী বলে যে ও সেই রাতে অদ্রীসকে একবারও দেখেনি। কিন্তু সেদিন ও ওর একটা পূরানো হার্ড ডিস্ক নিয়ে এসেছিলো। সেটা থেকে খুঁজে খুঁজে অদ্রীসের কিছু ছবি বের করে আর সেটার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে।
রজত সেটা দেখেই ওকে ধমক দেয় আর ওর থেকে হার্ড ডিস্কটা নিয়ে নিজের লকারে রেখে দেয়।
- তুই কেন সেই অদ্রীসের ছবি এই ভাবে দেখছিস ?
- স্যার কাল রাতে ওকে দেখিনি তবু আমার মন শান্ত হচ্ছে না। সব সময় মনে হচ্ছে যে আমার অদ্রীস আর নেই। তাই ওর ছবি খুঁজে বের করেছি।
- আমি বলছি তোর অদ্রীসের কিছুই হয়নি। আর একটা কথা এই অদ্রীস তোর বন্ধু হতে পারে কিন্তু ওকে ‘আমার অদ্রীস’ ভাবা উচিত নয়। তোর জীবনে এখন প্রধান বন্ধু হল দেবজিত। মনোরীতা বলবে ‘আমার অদ্রীস’ ।
- দেবজিত আমাকে ভালোবাসে আর আমিও ওকে খুবই ভালোবাসি। তবু অদ্রীসকে ভুলতে পারি না।
রজত একটু কঠিন স্বরেই কস্তূরীকে বলে, তোর যাই হোক এটা অফিস। এখানে কাজ করতে এসেছিস, কাজ কর। পূরানো ভালোবাসার স্বপ্ন দেখতে হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি বসে স্বপ্ন দেখ। আমি একটু বের হচ্ছি। ফিরে এসে যেন দেখি এই দুটো হার্ড ডিস্কের ডাটা রিকভারি করা হয়ে গেছে।
রজত বেড়িয়ে যায় ওর সেই সাইকোলজিস্ট বন্ধুর সাথে দেখা করতে। ওর সাথে দেখা করে ওকে কস্তূরীর ব্যাপারে ডিটেইলস বলে। সব শুনে ওর বন্ধু বলে এই ঘটনা টা এক রকমের হ্যালুসিনেসন ছাড়া কিছুই নয়। ওর মনে হটাত করে পূরানো প্রেমিকের এই প্রভাবের কারণ জানা সহজ নয় আর সেই কারণ জানা না গেলে এই সমস্যার সমাধান করাও প্রায় অসম্ভব। Prodep জাতীয় ওষুধ দিলে কিছুদিন কস্তূরী ঘুমাবে আর তার পরে কিছুটা ঠিক হবে তবে তাতে আদতে পুরো ঠিক হবে না। আরও স্ট্রং ওষুধ দিলে কস্তূরী অদ্রীসকে ভুলে যাবে কিন্তু তার সাথে সাথে আরও অনেক কিছুই ভুলে গিয়ে পুতুলের মত হয়ে যাবে। উনি রজতকে আসল কারনের খোঁজ করতে বলেন।
রজত অফিসে ফিরে দেখে কস্তূরী মুখ গুঁজে কাজ করছে। রজত চুপ করে বসে নিজের কাজ করে। বিকালের দিকে চেন্নাই থেকে একটা বেশ মোটা খামে চিঠি আসে। রজত একটু অবাক হয়। কারণ চিঠি সাধারণত ই-মেইলে আসে। ক্যুরিয়ারে চিঠি প্রায় আসেই না আর। চিঠি খুলে দেখে চেন্নাই থেকে ওদের ডিভিশনের হেড চিঠি দিয়েছে। কোলকাতার অফিস থেকে কেউ নিকিতার ল্যাংটো হয়ে ঘুরে বেড়ানো আর ল্যাংটো হয়েই মৃণালের পাশে বসে থাকার আটটা ছবি ওনার কাছে পাঠিয়েছে। একটা ছবিতে নিকিতা ল্যাংটো হয়ে বসে মৃণালের প্যান্ট থেকে নুনু বের করে নিয়ে ধরে আছে। আর চেন্নাইয়ের বস সেই সব ছবি রজত কে পাঠিয়ে দিয়েছেন। উনি অবিলম্বে এই অসভ্যতামি বন্ধ করে দিতে বলেছেন আর ছবির ল্যাংটো মেয়েটাকে পরের দিন থেকেই চাকুরি থেকে ছাড়িয়ে দিতে বলেছেন।
রজত মৃণাল আর নিকিতাকে ডাকে। ওরাও দেখে অবাক হয়ে যায়। কস্তূরীও সব শুনছিল। ও বলে এই কাজ সঞ্চিতা ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।
নিকিতা বলে, কিন্তু এই ছবি ও কবে তুলল আর কিভাবেই বা তুলল ! ওরা যখন ল্যাংটো হয়ে খেলা করেছে তখন কোনও দিন কেউ ছবি তোলেনি।
মৃণাল বলে, ও এখুনি গিয়ে সঞ্চিতাকে জিজ্ঞাসা করবে।
রজত বলে কি জিজ্ঞাসা করবে
মৃণাল উত্তর দেয়, আমি জিজ্ঞাসা করবো যে কবে এই ছবি তুলেছে আর কেনই বা সেসব হেড অফিসে পাঠিয়েছে ?
কস্তূরী ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, তোর সঞ্চিতা অতই কাঁচা মেয়ে যে তোকে গড় গড় করে সব বলে দেবে। ওরে হতচ্ছাড়া ও তোর কাছে বা কারও কাছে স্বীকারই করবে না যে এই ছবি গুলো ও পাঠিয়েছে।
রজত বলে এখন চুপ করে থাকতে ও ভেবে দেখছে কি করা যায়। মৃণাল আর নিকিতা নিজের জায়গায় ফিরে যায়। রজত কস্তূরীকে বলে তাড়াতাড়ি কাজ করে নিতে। কাজের পরে ওরা এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবে।
পরদিন সকালে কস্তূরী বেশ খুশী মনেই অফিসে আসে। রজত জিজ্ঞাসা করলে কস্তূরী বলে যে ও সেই রাতে অদ্রীসকে একবারও দেখেনি। কিন্তু সেদিন ও ওর একটা পূরানো হার্ড ডিস্ক নিয়ে এসেছিলো। সেটা থেকে খুঁজে খুঁজে অদ্রীসের কিছু ছবি বের করে আর সেটার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে।
রজত সেটা দেখেই ওকে ধমক দেয় আর ওর থেকে হার্ড ডিস্কটা নিয়ে নিজের লকারে রেখে দেয়।
- তুই কেন সেই অদ্রীসের ছবি এই ভাবে দেখছিস ?
- স্যার কাল রাতে ওকে দেখিনি তবু আমার মন শান্ত হচ্ছে না। সব সময় মনে হচ্ছে যে আমার অদ্রীস আর নেই। তাই ওর ছবি খুঁজে বের করেছি।
- আমি বলছি তোর অদ্রীসের কিছুই হয়নি। আর একটা কথা এই অদ্রীস তোর বন্ধু হতে পারে কিন্তু ওকে ‘আমার অদ্রীস’ ভাবা উচিত নয়। তোর জীবনে এখন প্রধান বন্ধু হল দেবজিত। মনোরীতা বলবে ‘আমার অদ্রীস’ ।
- দেবজিত আমাকে ভালোবাসে আর আমিও ওকে খুবই ভালোবাসি। তবু অদ্রীসকে ভুলতে পারি না।
রজত একটু কঠিন স্বরেই কস্তূরীকে বলে, তোর যাই হোক এটা অফিস। এখানে কাজ করতে এসেছিস, কাজ কর। পূরানো ভালোবাসার স্বপ্ন দেখতে হলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি বসে স্বপ্ন দেখ। আমি একটু বের হচ্ছি। ফিরে এসে যেন দেখি এই দুটো হার্ড ডিস্কের ডাটা রিকভারি করা হয়ে গেছে।
রজত বেড়িয়ে যায় ওর সেই সাইকোলজিস্ট বন্ধুর সাথে দেখা করতে। ওর সাথে দেখা করে ওকে কস্তূরীর ব্যাপারে ডিটেইলস বলে। সব শুনে ওর বন্ধু বলে এই ঘটনা টা এক রকমের হ্যালুসিনেসন ছাড়া কিছুই নয়। ওর মনে হটাত করে পূরানো প্রেমিকের এই প্রভাবের কারণ জানা সহজ নয় আর সেই কারণ জানা না গেলে এই সমস্যার সমাধান করাও প্রায় অসম্ভব। Prodep জাতীয় ওষুধ দিলে কিছুদিন কস্তূরী ঘুমাবে আর তার পরে কিছুটা ঠিক হবে তবে তাতে আদতে পুরো ঠিক হবে না। আরও স্ট্রং ওষুধ দিলে কস্তূরী অদ্রীসকে ভুলে যাবে কিন্তু তার সাথে সাথে আরও অনেক কিছুই ভুলে গিয়ে পুতুলের মত হয়ে যাবে। উনি রজতকে আসল কারনের খোঁজ করতে বলেন।
রজত অফিসে ফিরে দেখে কস্তূরী মুখ গুঁজে কাজ করছে। রজত চুপ করে বসে নিজের কাজ করে। বিকালের দিকে চেন্নাই থেকে একটা বেশ মোটা খামে চিঠি আসে। রজত একটু অবাক হয়। কারণ চিঠি সাধারণত ই-মেইলে আসে। ক্যুরিয়ারে চিঠি প্রায় আসেই না আর। চিঠি খুলে দেখে চেন্নাই থেকে ওদের ডিভিশনের হেড চিঠি দিয়েছে। কোলকাতার অফিস থেকে কেউ নিকিতার ল্যাংটো হয়ে ঘুরে বেড়ানো আর ল্যাংটো হয়েই মৃণালের পাশে বসে থাকার আটটা ছবি ওনার কাছে পাঠিয়েছে। একটা ছবিতে নিকিতা ল্যাংটো হয়ে বসে মৃণালের প্যান্ট থেকে নুনু বের করে নিয়ে ধরে আছে। আর চেন্নাইয়ের বস সেই সব ছবি রজত কে পাঠিয়ে দিয়েছেন। উনি অবিলম্বে এই অসভ্যতামি বন্ধ করে দিতে বলেছেন আর ছবির ল্যাংটো মেয়েটাকে পরের দিন থেকেই চাকুরি থেকে ছাড়িয়ে দিতে বলেছেন।
রজত মৃণাল আর নিকিতাকে ডাকে। ওরাও দেখে অবাক হয়ে যায়। কস্তূরীও সব শুনছিল। ও বলে এই কাজ সঞ্চিতা ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।
নিকিতা বলে, কিন্তু এই ছবি ও কবে তুলল আর কিভাবেই বা তুলল ! ওরা যখন ল্যাংটো হয়ে খেলা করেছে তখন কোনও দিন কেউ ছবি তোলেনি।
মৃণাল বলে, ও এখুনি গিয়ে সঞ্চিতাকে জিজ্ঞাসা করবে।
রজত বলে কি জিজ্ঞাসা করবে
মৃণাল উত্তর দেয়, আমি জিজ্ঞাসা করবো যে কবে এই ছবি তুলেছে আর কেনই বা সেসব হেড অফিসে পাঠিয়েছে ?
কস্তূরী ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, তোর সঞ্চিতা অতই কাঁচা মেয়ে যে তোকে গড় গড় করে সব বলে দেবে। ওরে হতচ্ছাড়া ও তোর কাছে বা কারও কাছে স্বীকারই করবে না যে এই ছবি গুলো ও পাঠিয়েছে।
রজত বলে এখন চুপ করে থাকতে ও ভেবে দেখছে কি করা যায়। মৃণাল আর নিকিতা নিজের জায়গায় ফিরে যায়। রজত কস্তূরীকে বলে তাড়াতাড়ি কাজ করে নিতে। কাজের পরে ওরা এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবে।