30-09-2021, 10:21 AM
তাকে থামিয়ে দিয়ে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি বলে উঠল, ‘ইয়োর অনার, আমার মনে হয় এই ব্যাপারে বেশি কথা বলে আদালতের মহামূল্য সময় অপচয় করার কোন মানেই হয় না। ব্যাপারটা খুবই সাধারণ। এই মেয়েটি মিঃ রোম্যানোর বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকেছিল একটা থার্টি-টু-ক্যালিবারের বন্দুক হাতে। ওখানে গিয়ে জঁ রনোয়ার একটা ছবি চুরি করার জন্য। যেটার দাম প্রায় আধ মিলিয়ন ডলার হবে। আর যখন মিঃ রোম্যানো মেয়েটিকে হাতে নাতে ধরে ফেলে, তখন মেয়েটি তাঁকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে তাকে মৃত্যু মুখে ফেলে রেখে ওই ছবিটা নিয়ে পালিয়ে যায়।’
ট্রেসির মনে হল যেন তার মুখ থেকে সমস্ত রক্ত কেউ শুষে নিল, ‘ক---কি বলছেন আপনি? সব ভুল...’
ওর কথা কানেও তোলার প্রয়োজন মনে করল না ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। সে বলে যেতে লাগল, ‘আর যে বন্দুকটা দিয়ে মিঃ রোম্যানোকে আহত করা হয়েছে, সেই বন্দুকে মেয়েটির ফিংগার প্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে ইয়োর অনার।’
আহত! মানে জোসেফ রোম্যানো বেঁচে আছে! তার হাতে তার মানে কেউ খুন হয়নি! ‘ওই ছবিটা নিয়ে নিশ্চয়ই এতক্ষনে অন্য কারুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে মেয়েটি। তাই আমি মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করছি সশস্ত্র হামলা, খুনের চেষ্টা ও ডাকাতির অভিযোগে মেয়েটিকে সাজা দেওয়া হোক আর সেই সাথে জামিন হিসাবে আধ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ধার্য করা হোক, ইয়োর অনার।’
জজ সাহেব ট্রেসির দিকে ফিরে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার তরফে কেউ আছে দাঁড়াবার?’
তখন ট্রেসির কানে কিছুই ঢুকছে না যেন।
জজ সাহেব এবার আর একটু গলা তুলে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার তরফে কোন অ্যাটর্নি আছে?’
ট্রেসি মাথা নেড়ে বলল, ‘না স্যর। কিন্তু... ইনি যা বলছেন... মানে এতক্ষন যা বললেন সব মিথ্যা... আমি...’
‘আপনার কাছে অ্যাটর্নিকে দেবার মত টাকা আছে?’
টাকা তো অফিসে আছে। আর আমার পাশে চার্লস আছে। “না, এই মুহুর্তে নেই, কিন্তু ইয়োর অনার, আমি তো বুঝতেই পারছি না...’
‘কোর্ট থেকে একজন অ্যাটর্নি দেওয়া হবে আপনাকে। আর ততদিন পর্যন্ত আপনাকে জেল কাস্টডিতে রাখা হল। আপনার জামিন হবে পাঁচ হাজার ডলার। নেক্সট...’
‘কি...কিন্তু একবার শুনুন! একটা ভুল হচ্ছে! আমি কোন...!’
এরপর আর ট্রেসির কিছু মনে নেই, কখন কিভাবে তাকে নিয়ে আদালত কক্ষ্য থেকে বের করে নিয়ে আসা হল।
ট্রেসির মনে হল যেন তার মুখ থেকে সমস্ত রক্ত কেউ শুষে নিল, ‘ক---কি বলছেন আপনি? সব ভুল...’
ওর কথা কানেও তোলার প্রয়োজন মনে করল না ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি। সে বলে যেতে লাগল, ‘আর যে বন্দুকটা দিয়ে মিঃ রোম্যানোকে আহত করা হয়েছে, সেই বন্দুকে মেয়েটির ফিংগার প্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে ইয়োর অনার।’
আহত! মানে জোসেফ রোম্যানো বেঁচে আছে! তার হাতে তার মানে কেউ খুন হয়নি! ‘ওই ছবিটা নিয়ে নিশ্চয়ই এতক্ষনে অন্য কারুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে মেয়েটি। তাই আমি মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করছি সশস্ত্র হামলা, খুনের চেষ্টা ও ডাকাতির অভিযোগে মেয়েটিকে সাজা দেওয়া হোক আর সেই সাথে জামিন হিসাবে আধ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ধার্য করা হোক, ইয়োর অনার।’
জজ সাহেব ট্রেসির দিকে ফিরে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার তরফে কেউ আছে দাঁড়াবার?’
তখন ট্রেসির কানে কিছুই ঢুকছে না যেন।
জজ সাহেব এবার আর একটু গলা তুলে প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার তরফে কোন অ্যাটর্নি আছে?’
ট্রেসি মাথা নেড়ে বলল, ‘না স্যর। কিন্তু... ইনি যা বলছেন... মানে এতক্ষন যা বললেন সব মিথ্যা... আমি...’
‘আপনার কাছে অ্যাটর্নিকে দেবার মত টাকা আছে?’
টাকা তো অফিসে আছে। আর আমার পাশে চার্লস আছে। “না, এই মুহুর্তে নেই, কিন্তু ইয়োর অনার, আমি তো বুঝতেই পারছি না...’
‘কোর্ট থেকে একজন অ্যাটর্নি দেওয়া হবে আপনাকে। আর ততদিন পর্যন্ত আপনাকে জেল কাস্টডিতে রাখা হল। আপনার জামিন হবে পাঁচ হাজার ডলার। নেক্সট...’
‘কি...কিন্তু একবার শুনুন! একটা ভুল হচ্ছে! আমি কোন...!’
এরপর আর ট্রেসির কিছু মনে নেই, কখন কিভাবে তাকে নিয়ে আদালত কক্ষ্য থেকে বের করে নিয়ে আসা হল।