30-09-2021, 10:20 AM
রাতটা যেন আর শেষ হতে চায় না। একবার, শুধু একবার যদি চার্লসকে টেলিফোনে এখন পাওয়া যেত। জীবনে কখনও এই ভাবে কারুকে আশা করেনি সে, আজ যতটা চার্লসকে তার পাশে চাইছে। ভুল হয়েছে। ভিশন বড় ভুল হয়ে গেছে। উচিত ছিল প্রথমেই চার্লসকে সমস্ত কিছু খুলে বলে দেওয়া। তাহলে এই এত কিছু ঘটতই না।
সকাল ঠিক ছ’টার সময় একজন গার্ড এসে ট্রেসিকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে গেল। এক কাপ কফি আর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ওটমিল। ছুয়েও দেখল না সে। তার গলা দিয়ে এখন কোন খাবারই নামবে না।
সকাল ন’টা। একজন মেট্রন এল তার কাছে। ‘যাবার সময় হয়ে গেছে সুন্দরী’ বলে সেলের গারদের তালা খুলল।
‘আমাকে একটা ফোন করতে হবে... ভিষন দরকারী...’ অনুনয় করল ট্রেসি।
‘ও সব পরে হবে’খন’ মেট্রন বলে উঠল। ‘তোমার জন্য জজ সাহেব অপেক্ষা করবেন না। ওটা একটা পাক্কা কুত্তার বাচ্ছা। কি যে মাল, জানো না তো।’
মেট্রন তাকে নিয়ে আবার সেই লম্বা করিডর পেরিয়ে একটা দরজা দিয়ে নিয়ে গিয়ে ঢুকল কোর্টরুমে। একজন বয়স্ক জজ সামনে বসে আছেন। তার মাথা আর হাতটা যেন মাঝে মাঝেই কেঁপে কেঁপে উঠছে। ওনার সামনে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, এড টপ্পার, দাঁড়িয়ে। মধ্য চল্লিশ হবে। মাথায় ঢেউ খেলানো কাঁচাপাকা চুল। চকচকে কালো চোখ।
ট্রেসিকে পেছন দিকের একটা বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়া হল। তারপর আর্দালি যখন হাঁক পাড়ল, ‘ট্রেসি হুইটনি’ তাকে নিয়ে সামনের বেঞ্চে বসানো হল। জজ সাহেব সামনে রাখা একটা কাগজ ভালো করে পড়ে দেখতে লাগলেন।
এবার, এবার সময় এসেছে অন্তত একজন কর্তৃপক্ষের কাউকে সামনে পাওয়া গেছে, যাকে আসল কথাটা বলা যাবে। যে বিশ্বাস করবে আমাকে। একটা হাত দিয়ে কাঁপতে থাকা অপর হাতটা চেপে ধরল সে। “ইয়োর অনার, আমি তাকে গুলি করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু সেটা সম্পূর্ন একটা অ্যাক্সিডেন্ট। তাকে শুধু ভয় পাওয়ানোর জন্য… আর কিছু নয়। বরং ওই আমাকে রেপ করতে গিয়েছিল...”
সকাল ঠিক ছ’টার সময় একজন গার্ড এসে ট্রেসিকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে গেল। এক কাপ কফি আর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ওটমিল। ছুয়েও দেখল না সে। তার গলা দিয়ে এখন কোন খাবারই নামবে না।
সকাল ন’টা। একজন মেট্রন এল তার কাছে। ‘যাবার সময় হয়ে গেছে সুন্দরী’ বলে সেলের গারদের তালা খুলল।
‘আমাকে একটা ফোন করতে হবে... ভিষন দরকারী...’ অনুনয় করল ট্রেসি।
‘ও সব পরে হবে’খন’ মেট্রন বলে উঠল। ‘তোমার জন্য জজ সাহেব অপেক্ষা করবেন না। ওটা একটা পাক্কা কুত্তার বাচ্ছা। কি যে মাল, জানো না তো।’
মেট্রন তাকে নিয়ে আবার সেই লম্বা করিডর পেরিয়ে একটা দরজা দিয়ে নিয়ে গিয়ে ঢুকল কোর্টরুমে। একজন বয়স্ক জজ সামনে বসে আছেন। তার মাথা আর হাতটা যেন মাঝে মাঝেই কেঁপে কেঁপে উঠছে। ওনার সামনে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, এড টপ্পার, দাঁড়িয়ে। মধ্য চল্লিশ হবে। মাথায় ঢেউ খেলানো কাঁচাপাকা চুল। চকচকে কালো চোখ।
ট্রেসিকে পেছন দিকের একটা বেঞ্চে বসিয়ে দেওয়া হল। তারপর আর্দালি যখন হাঁক পাড়ল, ‘ট্রেসি হুইটনি’ তাকে নিয়ে সামনের বেঞ্চে বসানো হল। জজ সাহেব সামনে রাখা একটা কাগজ ভালো করে পড়ে দেখতে লাগলেন।
এবার, এবার সময় এসেছে অন্তত একজন কর্তৃপক্ষের কাউকে সামনে পাওয়া গেছে, যাকে আসল কথাটা বলা যাবে। যে বিশ্বাস করবে আমাকে। একটা হাত দিয়ে কাঁপতে থাকা অপর হাতটা চেপে ধরল সে। “ইয়োর অনার, আমি তাকে গুলি করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু সেটা সম্পূর্ন একটা অ্যাক্সিডেন্ট। তাকে শুধু ভয় পাওয়ানোর জন্য… আর কিছু নয়। বরং ওই আমাকে রেপ করতে গিয়েছিল...”