30-09-2021, 09:33 AM
অদৃশ্য অদ্রীস # ৩ –
পরদিন ছুটির পরে কস্তূরী বেড়িয়ে গিয়েই ফিরে আসে। রজতের সামনে বসে হাফাতে থাকে। রজত কি হল জিজ্ঞাসা করে।
- স্যার আজকেও অদ্রীস বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল
- আবার তোর হ্যালুসিনেসন !
- না স্যার এটা শুধুই হ্যালুসিনেসন নয়
- তা ছাড়া কি ?
- স্যার অদ্রীসের কিছু একটা হয়েছে
- কেন রে ?
- আজ সারাদিনে ওকে তিন বার ফোন করেছি তিন বারই মনোরীতা মানে ওর বৌ বা ওর এক মাসী ফোন তুলেছে। অদ্রীস বাথরুমে বা বাজার গিয়েছে, এই সব বলছে। আমি একবারও ওর সাথে কথা বলতে পারি নি।
- চিন্তা করিস না। তোর অদ্রীসের কিছুই হয় নি। ওর কিছু হলে ওর বৌ স্বাভাবিক ভাবে তোর সাথে কথাই বলতো না।
- কিন্তু স্যার ওর সেই মাসী তো গৌহাটি থাকে। সে শিলঙে কি করছে !
- বেড়াতে গিয়েছে নিশ্চয়।
- না স্যার আমার কেমন টেনশন হচ্ছে।
- আচ্ছা ওর ফোন নাম্বার আমাকে দে, আমি কথা বলে দেখি।
কস্তূরী নাম্বার বলে আর রজত নিজের ফোন থেকে ডায়াল করে। এক্তাছেলেই ফোন তোলে।
- আমি কি অদ্রীসের সাথে কথা বলতে পারি ?
- হ্যাঁ আমি অদ্রীস বলছি, আপনি কে ?
- আমি কোলকাতা থেকে রজত বলছি
- কোন রজত ?
- আমি পানিকর সারভিসেসের রিজিওনাল ম্যানেজার
- সেটা আবার কোন কোম্পানি! আচ্ছা সে যাই হোক আমার সাথে কি দরকার ?
- আপনার শরীর ভালো আছে ?
- হ্যাঁ আমার শরীর ভালোই আছে। কিন্তু কি ব্যাপার বলুন তো ?
- আপনার বন্ধু কস্তূরী আমার অফিসে কাজ করে। আপনার জন্যে খুব চিন্তায় আছে।
- ও তাই বলুন। এবার বুঝেছি। আমি ঠিকই আছি। স্যরি আপনাকে চিনতে পারিনি। কস্তূরী আপনার কথা অনেক বার বলেছে।
- নিন একটু কস্তূরীর সাথে কথা বলুন।
- না না এখন ওর সাথে কথা বলতে পারবো না। আমি ওকে পরে ফোন করবো। ওকে কোনও চিন্তা করতে নিষেধ করুন। এখন রাখছি।
অদ্রীস হটাতই ফোন কেটে দেয়।
রজত বলে, আমি তো অদ্রীসের সাথে কথা বললাম। ও ঠিকই তো আছে।
কস্তূরী বলে, আপনি অদীসের সাথে কথা বলেন নি। অন্য কেউ ওর নাম করে আপনার সাথে কথা বলেছে।
রজত একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞাসা করে, কেন বলছিস এই কথা ?
কস্তূরী দৃঢ়তার সাথে বলে, স্যার ও আপনার নাম আর আমাদের কোম্পানির নাম বেশ ভালো করেই জানে। আপনার সাথে আমরা যা যা করি তার অনেক কিছুই জানে। কিন্তু আপনার কথা শুনে বুঝলাম যে আপনি যার সাথে কথা বলছিলেন সে আপনার নামও জানে বা আমাদের কোম্পানির নামও জানে না।
রজত একটু চিন্তা করে। তারপর বলে, ঠিক আছে আমাকে একটু চিন্তা করতে দে আর একটা দিন সময় দে। কালকের মধ্যে সব জানা যাবে।
পরদিন ছুটির পরে কস্তূরী বেড়িয়ে গিয়েই ফিরে আসে। রজতের সামনে বসে হাফাতে থাকে। রজত কি হল জিজ্ঞাসা করে।
- স্যার আজকেও অদ্রীস বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল
- আবার তোর হ্যালুসিনেসন !
- না স্যার এটা শুধুই হ্যালুসিনেসন নয়
- তা ছাড়া কি ?
- স্যার অদ্রীসের কিছু একটা হয়েছে
- কেন রে ?
- আজ সারাদিনে ওকে তিন বার ফোন করেছি তিন বারই মনোরীতা মানে ওর বৌ বা ওর এক মাসী ফোন তুলেছে। অদ্রীস বাথরুমে বা বাজার গিয়েছে, এই সব বলছে। আমি একবারও ওর সাথে কথা বলতে পারি নি।
- চিন্তা করিস না। তোর অদ্রীসের কিছুই হয় নি। ওর কিছু হলে ওর বৌ স্বাভাবিক ভাবে তোর সাথে কথাই বলতো না।
- কিন্তু স্যার ওর সেই মাসী তো গৌহাটি থাকে। সে শিলঙে কি করছে !
- বেড়াতে গিয়েছে নিশ্চয়।
- না স্যার আমার কেমন টেনশন হচ্ছে।
- আচ্ছা ওর ফোন নাম্বার আমাকে দে, আমি কথা বলে দেখি।
কস্তূরী নাম্বার বলে আর রজত নিজের ফোন থেকে ডায়াল করে। এক্তাছেলেই ফোন তোলে।
- আমি কি অদ্রীসের সাথে কথা বলতে পারি ?
- হ্যাঁ আমি অদ্রীস বলছি, আপনি কে ?
- আমি কোলকাতা থেকে রজত বলছি
- কোন রজত ?
- আমি পানিকর সারভিসেসের রিজিওনাল ম্যানেজার
- সেটা আবার কোন কোম্পানি! আচ্ছা সে যাই হোক আমার সাথে কি দরকার ?
- আপনার শরীর ভালো আছে ?
- হ্যাঁ আমার শরীর ভালোই আছে। কিন্তু কি ব্যাপার বলুন তো ?
- আপনার বন্ধু কস্তূরী আমার অফিসে কাজ করে। আপনার জন্যে খুব চিন্তায় আছে।
- ও তাই বলুন। এবার বুঝেছি। আমি ঠিকই আছি। স্যরি আপনাকে চিনতে পারিনি। কস্তূরী আপনার কথা অনেক বার বলেছে।
- নিন একটু কস্তূরীর সাথে কথা বলুন।
- না না এখন ওর সাথে কথা বলতে পারবো না। আমি ওকে পরে ফোন করবো। ওকে কোনও চিন্তা করতে নিষেধ করুন। এখন রাখছি।
অদ্রীস হটাতই ফোন কেটে দেয়।
রজত বলে, আমি তো অদ্রীসের সাথে কথা বললাম। ও ঠিকই তো আছে।
কস্তূরী বলে, আপনি অদীসের সাথে কথা বলেন নি। অন্য কেউ ওর নাম করে আপনার সাথে কথা বলেছে।
রজত একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞাসা করে, কেন বলছিস এই কথা ?
কস্তূরী দৃঢ়তার সাথে বলে, স্যার ও আপনার নাম আর আমাদের কোম্পানির নাম বেশ ভালো করেই জানে। আপনার সাথে আমরা যা যা করি তার অনেক কিছুই জানে। কিন্তু আপনার কথা শুনে বুঝলাম যে আপনি যার সাথে কথা বলছিলেন সে আপনার নামও জানে বা আমাদের কোম্পানির নামও জানে না।
রজত একটু চিন্তা করে। তারপর বলে, ঠিক আছে আমাকে একটু চিন্তা করতে দে আর একটা দিন সময় দে। কালকের মধ্যে সব জানা যাবে।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)