29-09-2021, 11:37 AM
সেই মুহুর্তে ট্রেসি এতটাই স্নায়ুর চাপে ভুগছে যে তার কিছুতেই চার্লসের নাম্বারটাই মনে আসছে না। এমনকি ফিলাডেলফিয়ার এরিয়া কোডটাও মনে নেই তার। ওটা কি যেন? টু-ফাইভ-ওয়ান? না, না। ওটা নয়। প্রায় ভয়ে কাঁপতে লাগল সে ওখানে দাড়িয়ে।
‘কি হল? বল! তোমার জন্য কি সারা রাত অপেক্ষা করব নাকি?’ প্রায় খিঁচিয়ে উঠল সার্জেন্ট।
টু-ওয়ান-ফাইভ... হ্যা মনে পড়েছে। ‘টু-ওয়ান-ফাইভ-ফাইভ-ফাইভ-ফাইভ-নাইন-থ্রি-জিরো-ওয়ান’
ডেস্ক সার্জেন্ট নাম্বারটা ডায়াল করে ট্রেসির হাতে রিসিভারটা ধরিয়ে দিল। ট্রেসি শুনতে পেল ওপাশে রিং হচ্ছে। রিং হচ্ছে, কিন্তু কোন উত্তর নেই। তবে কি চার্লস বাড়ি নেই?
‘সময় হয়ে গেছে’ বলে ট্রেসির হাত থেকে রিসিভারটা নিয়ে নিতে গেল সার্জেন্ট।
‘প্লিজ, একটু দাঁড়ান’ কেঁদে ফেলল ট্রেসি। তারপরই হটাৎ মনে পড়ল চার্লস রাতে ঘুমাবার সময় টেলিফোন অফ করে দেয় যাতে তাকে কেউ ঘুমের সময় বিরক্ত না করতে পারে। আর কোন উপায় নেই।
সার্জেন্ট তাড়া দিল, ‘কি হল, হয়েছে?’
ট্রেসি সার্জেন্টের দিকে করুন চোখে তাকিয়ে মাথা নেড়ে বলল, ‘হ্যা, হয়েছে।’
ট্রেসিকে নিয়ে আর একজন অফিসার অন্য একটা ঘরে গিয়ে তার ছবি তুলে, ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে নিল। তারপর তাকে একটা লম্বা করিডোর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে ঘুপচি একটা কুঠুরির মধ্যে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে লক করে একা রেখে দিয়ে চলে গেল। যাবার সময় শুধু বলে গেল, ‘রাতটা এখানে কাটুক, কাল সকালে কোর্টে তোলা হবে।’
মিথ্যা। সব মিথ্যা। এই সব কিছুই একটা দুঃস্বপ্ন মাত্র। একটা বিভৎস দুঃস্বপ্ন। ওহ, ভগবান। এইগুলো যেন সত্যি না হয়।
কিন্তু এই কুঠুরির শক্ত বিছানা যে সত্যি, ওই কোনে রাখা নোংরা বাথরুম করার জায়গাটা সত্যি। সামনের গারদটাও সত্যি।
******
‘কি হল? বল! তোমার জন্য কি সারা রাত অপেক্ষা করব নাকি?’ প্রায় খিঁচিয়ে উঠল সার্জেন্ট।
টু-ওয়ান-ফাইভ... হ্যা মনে পড়েছে। ‘টু-ওয়ান-ফাইভ-ফাইভ-ফাইভ-ফাইভ-নাইন-থ্রি-জিরো-ওয়ান’
ডেস্ক সার্জেন্ট নাম্বারটা ডায়াল করে ট্রেসির হাতে রিসিভারটা ধরিয়ে দিল। ট্রেসি শুনতে পেল ওপাশে রিং হচ্ছে। রিং হচ্ছে, কিন্তু কোন উত্তর নেই। তবে কি চার্লস বাড়ি নেই?
‘সময় হয়ে গেছে’ বলে ট্রেসির হাত থেকে রিসিভারটা নিয়ে নিতে গেল সার্জেন্ট।
‘প্লিজ, একটু দাঁড়ান’ কেঁদে ফেলল ট্রেসি। তারপরই হটাৎ মনে পড়ল চার্লস রাতে ঘুমাবার সময় টেলিফোন অফ করে দেয় যাতে তাকে কেউ ঘুমের সময় বিরক্ত না করতে পারে। আর কোন উপায় নেই।
সার্জেন্ট তাড়া দিল, ‘কি হল, হয়েছে?’
ট্রেসি সার্জেন্টের দিকে করুন চোখে তাকিয়ে মাথা নেড়ে বলল, ‘হ্যা, হয়েছে।’
ট্রেসিকে নিয়ে আর একজন অফিসার অন্য একটা ঘরে গিয়ে তার ছবি তুলে, ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে নিল। তারপর তাকে একটা লম্বা করিডোর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে ঘুপচি একটা কুঠুরির মধ্যে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে লক করে একা রেখে দিয়ে চলে গেল। যাবার সময় শুধু বলে গেল, ‘রাতটা এখানে কাটুক, কাল সকালে কোর্টে তোলা হবে।’
মিথ্যা। সব মিথ্যা। এই সব কিছুই একটা দুঃস্বপ্ন মাত্র। একটা বিভৎস দুঃস্বপ্ন। ওহ, ভগবান। এইগুলো যেন সত্যি না হয়।
কিন্তু এই কুঠুরির শক্ত বিছানা যে সত্যি, ওই কোনে রাখা নোংরা বাথরুম করার জায়গাটা সত্যি। সামনের গারদটাও সত্যি।
******