29-09-2021, 11:36 AM
পরবর্তি ঘটনাটা যেন স্লো মোশনে ঘটে যেতে লাগল। ট্রেসি নিজেকে দেখলো তাকে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় একজন পুলিশ অফিসার এয়ারপোর্টের টারমিনাল দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, আর আশেপাশের সমস্ত লোক অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে তাকিয়ে তাকে দেখছে। তারপর তাকে একটা পুলিশের গাড়ির পেছনে তুলে দিল। পুলিশের গাড়িটা চিৎকার করে সাইরেন বাজাতে বাজাতে লাল লালো জ্বালিয়ে চলতে লাগল। সে ভেতরে, সিটে নিচু হয়ে যতটা সম্ভব চেষ্টা করল নিজেকে এয়ারপোর্টে উপস্থিত সকলের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে। সে খুনি। জোসেফ রোম্যানো নিশ্চয় মারা গেছে। কিন্তু ওটা তো একটা অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। সে বোঝাবে পুলিশকে। ওরা নিশ্চয় বুঝবে। ওদেরকে বুঝতেই হবে।
পুলিশ স্টেশনে ট্রেসিকে নিয়ে ডেস্ক সার্জেন্টের সামনে নিয়ে যাওয়া হল। ঘরটা বিভিন্ন চরিত্রে ঠাসা – তাদের মধ্যে চো্র,* ছ্যাচোড়, মাতাল, পাতাখোর, গনিকা, দালাল... কে নেই। তার মনে হতে লাগল যেন সবাই তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। তার সাথে আসা একজন অফিসার ডেস্ক সার্জেন্টকে বলল, ‘এই যে, হুইটনি। একে আমরা এয়ারপোর্টে ধরেছি, পালাবার চেষ্টা করছিল।’
‘না। আমি...’
‘হ্যান্ডকাফটা খুলে দাও’
ট্রেসির হাত থেকে হ্যান্ডকাফটা খুলে নেওয়া হল। ট্রেসির মনে হল যেন সে তার স্বর খুজে পেল। প্রায় হিসটিরিয়া রুগির মত হুড়মুড় করে বলতে শুরু করল, ‘এটা... এটা একটা অ্যাক্সিডেন্ট... আমি ওনাকে মারতে চাইনি। উনিই বরং আমাকে রেপ করতে গিয়েছিলেন, আর আমি...’
‘তুমি কি ট্রেসি হুইটনি?’
‘হ্যা... আমি...’
‘ওকে লকআপে ঢুকিয়ে দাও’
‘না, না। এ...এক মিনিট’ প্রায় কাতর স্বরে অনুরোধ করল, ‘আমি একটা ফোন করবো, আ-আমাকে সেটা করতে দিতে বাধ্য আপনারা।’
ভুরু কুঁচকে তাকালো সার্জেন্ট। ‘আচ্ছা? বেশ ভালোই তো নিয়ম কানুন জানো দেখছি? এই নিয়ে কতবার হল, সোনা?’
‘একবারও নয়। আসলে...’
‘একটাই কল করতে পারবে। তিন মিনিট সময়। নাম্বার বল।’
পুলিশ স্টেশনে ট্রেসিকে নিয়ে ডেস্ক সার্জেন্টের সামনে নিয়ে যাওয়া হল। ঘরটা বিভিন্ন চরিত্রে ঠাসা – তাদের মধ্যে চো্র,* ছ্যাচোড়, মাতাল, পাতাখোর, গনিকা, দালাল... কে নেই। তার মনে হতে লাগল যেন সবাই তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। তার সাথে আসা একজন অফিসার ডেস্ক সার্জেন্টকে বলল, ‘এই যে, হুইটনি। একে আমরা এয়ারপোর্টে ধরেছি, পালাবার চেষ্টা করছিল।’
‘না। আমি...’
‘হ্যান্ডকাফটা খুলে দাও’
ট্রেসির হাত থেকে হ্যান্ডকাফটা খুলে নেওয়া হল। ট্রেসির মনে হল যেন সে তার স্বর খুজে পেল। প্রায় হিসটিরিয়া রুগির মত হুড়মুড় করে বলতে শুরু করল, ‘এটা... এটা একটা অ্যাক্সিডেন্ট... আমি ওনাকে মারতে চাইনি। উনিই বরং আমাকে রেপ করতে গিয়েছিলেন, আর আমি...’
‘তুমি কি ট্রেসি হুইটনি?’
‘হ্যা... আমি...’
‘ওকে লকআপে ঢুকিয়ে দাও’
‘না, না। এ...এক মিনিট’ প্রায় কাতর স্বরে অনুরোধ করল, ‘আমি একটা ফোন করবো, আ-আমাকে সেটা করতে দিতে বাধ্য আপনারা।’
ভুরু কুঁচকে তাকালো সার্জেন্ট। ‘আচ্ছা? বেশ ভালোই তো নিয়ম কানুন জানো দেখছি? এই নিয়ে কতবার হল, সোনা?’
‘একবারও নয়। আসলে...’
‘একটাই কল করতে পারবে। তিন মিনিট সময়। নাম্বার বল।’