29-09-2021, 11:15 AM
# অন্য_রূপকথা
বেশ কয়েকবছর ধরেই পুজোয় কয়েকজনকে সামান্য কিছু উপহার দিই আমি। বিশেষ কিছু না, জামা কাপড়, আর হেয়ারব্যান্ড, ক্লিপ, লিপস্টিক, কানের দুল...এইসব। কিন্তু সেকথা থাক...
তা সেসব কিনতে কাল একটু সকাল সকাল গেছিলাম হাতিবাগান। আর হাতিবাগানে গেলে তো কচুরি না খেলে তো স্বয়ং আমার 'ভুঁড়িদেব' পাপ দেবেন! তাই বাগবাজার বাটা থেকে একটু এগিয়ে, অটোস্ট্যান্ডের কাছে একটি ছোট্ট দোকান থেকে দুটি কচুরির ফরমায়েশ দিয়েছিলাম। সদ্য ভাজা, ধোঁয়া ওঠা কচুরি আর আলুর তরকারি খাচ্ছি, হঠাৎ চোখে পড়ল একজন ভদ্রলোক রাস্তার ওপরেই শালপাতার বাটিটা ফেলে দিয়ে দোকানদার দাদাকে "চারটে কচুরি... কত?" বলে উঠলেন।
দোকানদার ভদ্রলোক একটু ভুরু কুঁচকে বলে উঠলেন "ষোল টাকা.. দাদা, এখানে ডাস্টবিন রাখা আছে, তাও ওটা রাস্তায় ফেললেন?" বলে সেই ক্রেতা ভদ্রলোককে ফিরতি পয়সা দিয়ে নিজে রাস্তায় বেরিয়ে, তরকারি মাখা শালপাতার বাটিটা তুলে, দোকানের সামনে রাখা একটা বালতি, যেটি ডাস্টবিনের মতো ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেখানে ফেলে দিলেন। তারপর একটি প্লাস্টিকের জগ থেকে হাত ধুয়ে আবার দোকান ঢুকে গেলেন।
ততক্ষণে আমার খাওয়াও শেষ। তবে হাতের ব্যাগগুলোকে সামলে আমার কাঁধের ঢাউস ব্যাগ থেকে পার্স বের করে টাকা দিতে একটু সময় লাগছিল। তারমধ্যেই দেখলাম আরেকজন কোনো একটা রোল খেতে খেতে যেতে গিয়ে রাস্তায় রোলের যে পাতলা কাগজটা হয় না? সেটা ফেলে চলে গেলেন।
দোকানের দাদা ভুরু কুঁচকে তাকালেন একবার। মনে হল গজগজ করে কিছু বললেন! তারপর আবার দোকান থেকে বেরিয়ে, কাগজটি তুলে, ডাস্টবিনে ফেলে, হাত ধুয়ে ঢুকে গেলেন দোকানে।
আমার কেন জানি না গায়ে কাঁটা দিল!
কত সাধারণ... এক্কেবারে অকিঞ্চিৎকর একটি ঘটনা, তাই না? কিন্তু... যদি সবাই আমরা একটু সচেতন হতাম... তাহলে হয়ত দেশের স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হত না সরকারকে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিতে হত না... সেই টাকায় কল্যাণকর কাজ হতে পারত। আমরা আরও একটু এগোতে পারতাম... আর, সেইসঙ্গে বাঁচতে পারতাম দূষন এবং, বছর বছর বানভাসি হবার হাত থেকেও।
আর, রাস্তাঘাটের নান্দনিকতা যে বাড়ত, সে তো বলাই বাহুল্য!
অথচ, সেই শক্তি আমাদের সবার মধ্যেই আছে। বিন্দু বিন্দু করেই তো সিন্ধু হয়... আর আমাদের বিন্দুসম উদ্যোগেই কিন্তু সবকিছু সম্ভব হতে পারে...
যেমন এই নাম না জানা দোকানের দাদাটি করে দেখালেন।
হয়ত আমার মতোই আরও কয়েকজন ক্রেতা, যাঁরা ওখানে ছিলেন, অনুপ্রাণিত হলেন। হয়ত এবার থেকেও ওঁরাও... তারপর ওঁদের দেখে অন্যরাও...তারপর তাঁদের দেখে...তারপর তাঁদের দেখে... তারপর...তারপর...
এভাবেই সত্যিকারের ভাল দিন আসবে...
আসবেই...
বেশ কয়েকবছর ধরেই পুজোয় কয়েকজনকে সামান্য কিছু উপহার দিই আমি। বিশেষ কিছু না, জামা কাপড়, আর হেয়ারব্যান্ড, ক্লিপ, লিপস্টিক, কানের দুল...এইসব। কিন্তু সেকথা থাক...
তা সেসব কিনতে কাল একটু সকাল সকাল গেছিলাম হাতিবাগান। আর হাতিবাগানে গেলে তো কচুরি না খেলে তো স্বয়ং আমার 'ভুঁড়িদেব' পাপ দেবেন! তাই বাগবাজার বাটা থেকে একটু এগিয়ে, অটোস্ট্যান্ডের কাছে একটি ছোট্ট দোকান থেকে দুটি কচুরির ফরমায়েশ দিয়েছিলাম। সদ্য ভাজা, ধোঁয়া ওঠা কচুরি আর আলুর তরকারি খাচ্ছি, হঠাৎ চোখে পড়ল একজন ভদ্রলোক রাস্তার ওপরেই শালপাতার বাটিটা ফেলে দিয়ে দোকানদার দাদাকে "চারটে কচুরি... কত?" বলে উঠলেন।
দোকানদার ভদ্রলোক একটু ভুরু কুঁচকে বলে উঠলেন "ষোল টাকা.. দাদা, এখানে ডাস্টবিন রাখা আছে, তাও ওটা রাস্তায় ফেললেন?" বলে সেই ক্রেতা ভদ্রলোককে ফিরতি পয়সা দিয়ে নিজে রাস্তায় বেরিয়ে, তরকারি মাখা শালপাতার বাটিটা তুলে, দোকানের সামনে রাখা একটা বালতি, যেটি ডাস্টবিনের মতো ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেখানে ফেলে দিলেন। তারপর একটি প্লাস্টিকের জগ থেকে হাত ধুয়ে আবার দোকান ঢুকে গেলেন।
ততক্ষণে আমার খাওয়াও শেষ। তবে হাতের ব্যাগগুলোকে সামলে আমার কাঁধের ঢাউস ব্যাগ থেকে পার্স বের করে টাকা দিতে একটু সময় লাগছিল। তারমধ্যেই দেখলাম আরেকজন কোনো একটা রোল খেতে খেতে যেতে গিয়ে রাস্তায় রোলের যে পাতলা কাগজটা হয় না? সেটা ফেলে চলে গেলেন।
দোকানের দাদা ভুরু কুঁচকে তাকালেন একবার। মনে হল গজগজ করে কিছু বললেন! তারপর আবার দোকান থেকে বেরিয়ে, কাগজটি তুলে, ডাস্টবিনে ফেলে, হাত ধুয়ে ঢুকে গেলেন দোকানে।
আমার কেন জানি না গায়ে কাঁটা দিল!
কত সাধারণ... এক্কেবারে অকিঞ্চিৎকর একটি ঘটনা, তাই না? কিন্তু... যদি সবাই আমরা একটু সচেতন হতাম... তাহলে হয়ত দেশের স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হত না সরকারকে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিতে হত না... সেই টাকায় কল্যাণকর কাজ হতে পারত। আমরা আরও একটু এগোতে পারতাম... আর, সেইসঙ্গে বাঁচতে পারতাম দূষন এবং, বছর বছর বানভাসি হবার হাত থেকেও।
আর, রাস্তাঘাটের নান্দনিকতা যে বাড়ত, সে তো বলাই বাহুল্য!
অথচ, সেই শক্তি আমাদের সবার মধ্যেই আছে। বিন্দু বিন্দু করেই তো সিন্ধু হয়... আর আমাদের বিন্দুসম উদ্যোগেই কিন্তু সবকিছু সম্ভব হতে পারে...
যেমন এই নাম না জানা দোকানের দাদাটি করে দেখালেন।
হয়ত আমার মতোই আরও কয়েকজন ক্রেতা, যাঁরা ওখানে ছিলেন, অনুপ্রাণিত হলেন। হয়ত এবার থেকেও ওঁরাও... তারপর ওঁদের দেখে অন্যরাও...তারপর তাঁদের দেখে...তারপর তাঁদের দেখে... তারপর...তারপর...
এভাবেই সত্যিকারের ভাল দিন আসবে...
আসবেই...