25-09-2021, 12:38 PM
আমরা যথারীতি ষ্টেশন হতে একটা টেক্সি নিয়ে আমার চাচার বাড়ীতে পৌছে গেলাম, আমার চাচাত ভাই বাড়ীর অন্তি দূরে আমাদেরকে টেক্সী থেকে নামতে দেখে দৌড়ে এসে আমার বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিয়কার করে কাদতে লাগল, ভাইয়ার কাদনে চতুর্দিক থেকে মানুষ এসে জমাট বেধে গেল, বাবা বা আমি কিছু বুঝার আগেই একজন বলে উঠল, আহ বেচারা ! ছয় মাসের মধ্যেই মা বাবা দুজনকেই হারিয়ে এখন আপন আত্বীয় দেখে বেদনা লুকাতে পারছেনা,
এতক্ষন বাবা কিছু না বুঝে ভাতুষ্পুত্রকে জড়িয়ে ধরেছিল আর বলছিল, কি হয়েছে খুলে বল, কাদছিস কেন?
পাশের লোকটির কথা শুনে বাবাও এবার ভাইরে বলে ডুকরে কেদে উঠল, সাথে সাথে আমরাও কেদে উঠলাম।
অনেক্ষন কান্নাকাটির পর শান্ত হয়ে আমরা বাড়ীতে প্রবেশ করলাম।
সবাই স্বাভাবিক হলে বাবা আমার চাচাত ভাইকে জিজ্ঞেস করল, তোর বাবা কখন ইন্তেকাল করেছে?
এ বছরের মে মাসে বাবা ইন্তেকাল করে, আর জুন মাসে মা ইন্তেকাল করে, আমি একবারে নিঃশ্ব হ্যে গেছি জেঠা মশাই বলে আবার কেদে উঠল। বাবা তাকে সান্তনা দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল, মা বাবা কারো চিরদিন বেচে থাকেনা, কান্না কাটি করা ভালনা, যখন তাদের কথা মনে পরবে শুধু দোয়া করবি।
ভাইয়া আবার কাদো কাদো স্বরে বলতে লাগল, মা বাবা কেউ আমার বিয়েটা দেখে যেতে পারল না। এক মাত্র ছেলের নাতি নাতনি দেখে যেতে পারল না।
বাবা বলল, তাদের মৃত্যুর সংবাদ আমাকে পাঠালি না কেন?
কোন ফোন নাম্বার জানা ছিলন তাই, তদুপরি আমি একেবারে একা, বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও অসুস্থ
কিভাবে খবর পৌছাব।
বাবা অস্বাভাবিক কাদো কাদো গলায় বলল, আমার ছোট ভায়ের মৃত্যু আমি দেখলাম না, কি দুর্ভাগ্য আমার, একটা বড় নিশ্বাস ফেলে চুপ হয়ে রইল.
বাবা স্বাভাবিক ভাবে আবার জিজ্ঞেস করল, তোর পাক সাক করে কে?
একটা চল্লিশোর্ধ বয়সের কাজে মেয়ে লোক আছে সম্পর্কে আমার ভাবী হয়, সকালে এসে সারাদিন
পাক সাক করার পাশাপাশি যাবতীয় কাজ করে রাত্র খেয়ে দেয়ে চলে যায়। ভাইয়া জবাবে বলল।
বিয়ে করে ফেলনা, বাবা বলল। বিয়ে ঠিক করা আছে, আগামী জানুয়ারী মাসের আট তারিখ বিয়ের দিন ধার্য করা আছে।
আজ নভেম্বরের মাত্র ২২ তারিখ, পুরা এক মাস ষোল দিন বাকি আছে,অনেক দেরী।
ভাইয়া বলল, পারুল আর সাবুদ্দিন বিয়ার আগে যাবে না, বিয়ে পর্যন্ত আমার কাছে থাকবে , আমার ত এ এলাকায় আপন বলতে কেউ নেই, আমার রক্তের আপন সম্পর্কের সবাই এখান হতে চারশত মাইল দূরে, আপনারা গেলে আবার চারশত মাইল পাড়ি দিয়ে আসবেন না।তাই পারুল রা এখানে থাকবে আর বিয়ে আগে আপনি জেঠিমা কে নিয়ে আসবেন, বিয়ের পরে সবাই একসাথে চলে যাবে।
বাবা কোন উত্তর দিলনা শুধু বলল, সবে ত আসল, সেটা পরে দেখা যাবে।
রাতে বিভিন্ন আলাপের পর সবাই ঘুমিয়ে গেলাম, সকালে বুয়া আসল, চা নাস্তা খেয়ে বাবা তার চাকুরী স্থলে চলে গেল, আমরা দু ভাই বোন থেকে গেলাম।
এতক্ষন বাবা কিছু না বুঝে ভাতুষ্পুত্রকে জড়িয়ে ধরেছিল আর বলছিল, কি হয়েছে খুলে বল, কাদছিস কেন?
পাশের লোকটির কথা শুনে বাবাও এবার ভাইরে বলে ডুকরে কেদে উঠল, সাথে সাথে আমরাও কেদে উঠলাম।
অনেক্ষন কান্নাকাটির পর শান্ত হয়ে আমরা বাড়ীতে প্রবেশ করলাম।
সবাই স্বাভাবিক হলে বাবা আমার চাচাত ভাইকে জিজ্ঞেস করল, তোর বাবা কখন ইন্তেকাল করেছে?
এ বছরের মে মাসে বাবা ইন্তেকাল করে, আর জুন মাসে মা ইন্তেকাল করে, আমি একবারে নিঃশ্ব হ্যে গেছি জেঠা মশাই বলে আবার কেদে উঠল। বাবা তাকে সান্তনা দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল, মা বাবা কারো চিরদিন বেচে থাকেনা, কান্না কাটি করা ভালনা, যখন তাদের কথা মনে পরবে শুধু দোয়া করবি।
ভাইয়া আবার কাদো কাদো স্বরে বলতে লাগল, মা বাবা কেউ আমার বিয়েটা দেখে যেতে পারল না। এক মাত্র ছেলের নাতি নাতনি দেখে যেতে পারল না।
বাবা বলল, তাদের মৃত্যুর সংবাদ আমাকে পাঠালি না কেন?
কোন ফোন নাম্বার জানা ছিলন তাই, তদুপরি আমি একেবারে একা, বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও অসুস্থ
কিভাবে খবর পৌছাব।
বাবা অস্বাভাবিক কাদো কাদো গলায় বলল, আমার ছোট ভায়ের মৃত্যু আমি দেখলাম না, কি দুর্ভাগ্য আমার, একটা বড় নিশ্বাস ফেলে চুপ হয়ে রইল.
বাবা স্বাভাবিক ভাবে আবার জিজ্ঞেস করল, তোর পাক সাক করে কে?
একটা চল্লিশোর্ধ বয়সের কাজে মেয়ে লোক আছে সম্পর্কে আমার ভাবী হয়, সকালে এসে সারাদিন
পাক সাক করার পাশাপাশি যাবতীয় কাজ করে রাত্র খেয়ে দেয়ে চলে যায়। ভাইয়া জবাবে বলল।
বিয়ে করে ফেলনা, বাবা বলল। বিয়ে ঠিক করা আছে, আগামী জানুয়ারী মাসের আট তারিখ বিয়ের দিন ধার্য করা আছে।
আজ নভেম্বরের মাত্র ২২ তারিখ, পুরা এক মাস ষোল দিন বাকি আছে,অনেক দেরী।
ভাইয়া বলল, পারুল আর সাবুদ্দিন বিয়ার আগে যাবে না, বিয়ে পর্যন্ত আমার কাছে থাকবে , আমার ত এ এলাকায় আপন বলতে কেউ নেই, আমার রক্তের আপন সম্পর্কের সবাই এখান হতে চারশত মাইল দূরে, আপনারা গেলে আবার চারশত মাইল পাড়ি দিয়ে আসবেন না।তাই পারুল রা এখানে থাকবে আর বিয়ে আগে আপনি জেঠিমা কে নিয়ে আসবেন, বিয়ের পরে সবাই একসাথে চলে যাবে।
বাবা কোন উত্তর দিলনা শুধু বলল, সবে ত আসল, সেটা পরে দেখা যাবে।
রাতে বিভিন্ন আলাপের পর সবাই ঘুমিয়ে গেলাম, সকালে বুয়া আসল, চা নাস্তা খেয়ে বাবা তার চাকুরী স্থলে চলে গেল, আমরা দু ভাই বোন থেকে গেলাম।