25-09-2021, 11:26 AM
অতুলবাবুর বিপদ
অতুলবাবু বৃদ্ধ হয়েছেন । স্ত্রী গত হয়েছেন আগেই । হাতে টাকাপয়সা খুবই কম । বাড়িতে শুধু আছে পুত্রবধূ নিলীমা । ছেলে সমীর বিদেশে চাকরি করে কিন্তু সে নিয়মিত টাকা পয়সা পাঠায় না । তিনি লোকমুখে খবর পেয়েছেন যে ছেলে সেখানেই আরেকটি বিয়ে করে সংসার পেতেছে ।
দুঃখে অতুলবাবু পুত্রবধূর মুখের দিকে তাকাতে পারেন না । এত সুন্দরী সে তবুও তার স্বামী তাকে পরিত্যাগ করল । তার বাপের বাড়িরও কেউ নেই যে তার কাছে গিয়ে থাকবে । তাই সে বুড়ো শ্বশুরের কাছেই পড়ে আছে ।
কোনোরকমে দিন যায়, অতুলবাবু একবার ভীষণ অর্থকষ্টে পড়লেন । নিজের চিকিৎসার খরচ এবং সংসার খরচের টাকার জন্য তিনি পাড়ার উঠতি ছেলে প্রোমোটার কালুর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার করলেন । তাঁর আশা ছিল ছেলে তাঁকে টাকাটা পাঠিয়ে দেবে । কিন্তু বহুদিন পরেও ছেলে টাকা পাঠাল না এদিকে কালু রোজই তাঁকে টাকার জন্য তাগাদা দিতে লাগল ।
তিনি কিছুতেই যখন টাকা শোধ দিতে পারলেন না তখন কালুই তাঁকে একদিন বলল – মেসোমশাই আপনার যা অবস্থা দেখছি আপনি তো টাকা আর শোধ দিতে পারবেন না । এক কাজ করুন আপনি অন্যভাবে আমাকে টাকা শোধবার ব্যবস্থা করুন ।
অতুলবাবু হঠাৎ আশার আলো দেখলেন । তিনি বললেন – বেশ বাবা তুমিই বলো আমি কিভাবে তোমাকে শোধ দেব ।
কালু অসভ্য হেসে বলল – মেসোমশাই ঘরে আপনার ওরকম সুন্দরী যুবতী বউমা থাকতে আপনার আর চিন্তা কি ?
অতুলবাবু বললেন – কি বলছ বাবা আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ।
কালু বলল – খুবই সহজ আমি দশবার আপনার বউমার ঘরে যাব । প্রতিবারে পাঁচহাজার টাকা করে দশবারেই আপনার পুরো টাকা শোধ হয়ে যাবে ।
কালুর কথা শুনে অতুলবাবুর মাথায় যেন বাজ পড়ল । তিনি আমতা আমতা করে বললেন আমি একথা কিছুতেই বউমাকে বলতে পারব না ।
কালু রেগে বলল – না পারলে আজই আমার পঞ্চাশ হাজার টাকা যেখান থেকে পারুন শোধ দিন । নাহলে আপনাকে ভিটেমাটি ছাড়া করব ।
মাথা নিচু করে অতুলবাবু বাড়ি ফিরে এলেন । সারা দিন চুপচাপ বসে থাকার পরে রাতের বেলা খাওয়ার সময়ে নিলীমা অতুলবাবুকে জিজ্ঞাসা করল – কি হয়েছে বাবা আপনাকে এত চুপচাপ দেখছি ।
অতুলবাবু আর পারলেন না । মনের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে তিনি কালুর কুপ্রস্তাবের কথা বউমাকে বলে ফেললেন । শ্বশুরের মুখে এই কথা শুনে নিলীমারও আর মুখ দিয়ে কথা সরল না । সে নিজের ঘরে ফিরে এসে ভাবতে বসল ।
অতুলবাবু বৃদ্ধ হয়েছেন । স্ত্রী গত হয়েছেন আগেই । হাতে টাকাপয়সা খুবই কম । বাড়িতে শুধু আছে পুত্রবধূ নিলীমা । ছেলে সমীর বিদেশে চাকরি করে কিন্তু সে নিয়মিত টাকা পয়সা পাঠায় না । তিনি লোকমুখে খবর পেয়েছেন যে ছেলে সেখানেই আরেকটি বিয়ে করে সংসার পেতেছে ।
দুঃখে অতুলবাবু পুত্রবধূর মুখের দিকে তাকাতে পারেন না । এত সুন্দরী সে তবুও তার স্বামী তাকে পরিত্যাগ করল । তার বাপের বাড়িরও কেউ নেই যে তার কাছে গিয়ে থাকবে । তাই সে বুড়ো শ্বশুরের কাছেই পড়ে আছে ।
কোনোরকমে দিন যায়, অতুলবাবু একবার ভীষণ অর্থকষ্টে পড়লেন । নিজের চিকিৎসার খরচ এবং সংসার খরচের টাকার জন্য তিনি পাড়ার উঠতি ছেলে প্রোমোটার কালুর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার করলেন । তাঁর আশা ছিল ছেলে তাঁকে টাকাটা পাঠিয়ে দেবে । কিন্তু বহুদিন পরেও ছেলে টাকা পাঠাল না এদিকে কালু রোজই তাঁকে টাকার জন্য তাগাদা দিতে লাগল ।
তিনি কিছুতেই যখন টাকা শোধ দিতে পারলেন না তখন কালুই তাঁকে একদিন বলল – মেসোমশাই আপনার যা অবস্থা দেখছি আপনি তো টাকা আর শোধ দিতে পারবেন না । এক কাজ করুন আপনি অন্যভাবে আমাকে টাকা শোধবার ব্যবস্থা করুন ।
অতুলবাবু হঠাৎ আশার আলো দেখলেন । তিনি বললেন – বেশ বাবা তুমিই বলো আমি কিভাবে তোমাকে শোধ দেব ।
কালু অসভ্য হেসে বলল – মেসোমশাই ঘরে আপনার ওরকম সুন্দরী যুবতী বউমা থাকতে আপনার আর চিন্তা কি ?
অতুলবাবু বললেন – কি বলছ বাবা আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ।
কালু বলল – খুবই সহজ আমি দশবার আপনার বউমার ঘরে যাব । প্রতিবারে পাঁচহাজার টাকা করে দশবারেই আপনার পুরো টাকা শোধ হয়ে যাবে ।
কালুর কথা শুনে অতুলবাবুর মাথায় যেন বাজ পড়ল । তিনি আমতা আমতা করে বললেন আমি একথা কিছুতেই বউমাকে বলতে পারব না ।
কালু রেগে বলল – না পারলে আজই আমার পঞ্চাশ হাজার টাকা যেখান থেকে পারুন শোধ দিন । নাহলে আপনাকে ভিটেমাটি ছাড়া করব ।
মাথা নিচু করে অতুলবাবু বাড়ি ফিরে এলেন । সারা দিন চুপচাপ বসে থাকার পরে রাতের বেলা খাওয়ার সময়ে নিলীমা অতুলবাবুকে জিজ্ঞাসা করল – কি হয়েছে বাবা আপনাকে এত চুপচাপ দেখছি ।
অতুলবাবু আর পারলেন না । মনের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে তিনি কালুর কুপ্রস্তাবের কথা বউমাকে বলে ফেললেন । শ্বশুরের মুখে এই কথা শুনে নিলীমারও আর মুখ দিয়ে কথা সরল না । সে নিজের ঘরে ফিরে এসে ভাবতে বসল ।