25-09-2021, 10:57 AM
# তুমিও_হেঁটে_দেখো_কলকাতা
তখনও 'সেকেন্ড ওয়েভ' আসেনি আমাদের এই ভালবাসার শহরে।
করোনার ভ্রুকুটি সরিয়ে জীবন ফিরছিল স্বাভাবিক ছন্দে, মাস্ক আর স্যানিটাইজারকে সঙ্গী করেই।
তেমনি এক বৃষ্টিভেজা দিনে, আমার হাওড়ার বাড়ি থেকে বাসে করে ডালহৌসি স্কোয়ারের দিকে আসছিলাম একটা কাজে। শনিবারের দ্বিপ্রহর... বৃষ্টির ফোঁটায় ধৌত রাস্তা...আর হেডফোনে "আমার সারাটা দিন..."। হঠাৎ কি হলো, বাস থেকে নেমে পড়লাম হাওড়া ব্রিজের কাছে এসে। চেতন ভগতের 'অ্যান ইন্ডিয়ান গার্ল' নভেলের প্রোটাগনিস্ট রাধিকা একবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজের এদিক থেকে ওদিক হেঁটে গেছিল... সেই থেকেই, দিস বেঙ্গলি গার্ল, মানে আমার ও ইচ্ছে করত আমাদের শহরের অন্যতম আইকন, এই হাওড়া ব্রিজের একদিক থেকে অন্যদিকে হাঁটার। আর ঠিক সেই সুযোগটাই পেয়ে গেছিলাম সেদিন।
বিশ্বাস করুন, ওই মিনিট পনেরো, আমার বড্ড ভাল কেটেছিল। ব্যস্ত পথচারী, ফুটপাথের বিভিন্ন জিনিসের পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতা, পাশ দিয়ে সাঁইসাঁই চলে যাওয়া বাস, ট্যাক্সি বা অন্যান্য যানবাহন, আর নদীতে ধীর লয়ে চলা নৌকা... সেই সাথে ভিজে ভিজে হাওয়া আর... মেঘমল্লারের শব্দ... মনে হচ্ছিল, অপার্থিব কোন জগতে পৌঁছে গেছি। আমাদের এত্ত চেনা, এত্ত কাছের হাওড়া ব্রিজ...অথচ.. এভাবে চেনা হয়নি কোনোদিনও...
হাঁটতে হাঁটতেই মনে পড়ে গেছিল, আমাদের প্রিয় হাওড়া ব্রিজ আসলে 'রবীন্দ্র সেতু'। তাই, গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর মতোই আওড়াই পংতি ক'টি:
"বহু দিন ধ'রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।"
দেখবেন নাকি, এই 'শিশিরবিন্দু'কে, সময় নিয়ে নিয়ে, পায়ে হেঁটে? ভাল যে লাগবেই, এ আমার গ্যারান্টি
তখনও 'সেকেন্ড ওয়েভ' আসেনি আমাদের এই ভালবাসার শহরে।
করোনার ভ্রুকুটি সরিয়ে জীবন ফিরছিল স্বাভাবিক ছন্দে, মাস্ক আর স্যানিটাইজারকে সঙ্গী করেই।
তেমনি এক বৃষ্টিভেজা দিনে, আমার হাওড়ার বাড়ি থেকে বাসে করে ডালহৌসি স্কোয়ারের দিকে আসছিলাম একটা কাজে। শনিবারের দ্বিপ্রহর... বৃষ্টির ফোঁটায় ধৌত রাস্তা...আর হেডফোনে "আমার সারাটা দিন..."। হঠাৎ কি হলো, বাস থেকে নেমে পড়লাম হাওড়া ব্রিজের কাছে এসে। চেতন ভগতের 'অ্যান ইন্ডিয়ান গার্ল' নভেলের প্রোটাগনিস্ট রাধিকা একবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজের এদিক থেকে ওদিক হেঁটে গেছিল... সেই থেকেই, দিস বেঙ্গলি গার্ল, মানে আমার ও ইচ্ছে করত আমাদের শহরের অন্যতম আইকন, এই হাওড়া ব্রিজের একদিক থেকে অন্যদিকে হাঁটার। আর ঠিক সেই সুযোগটাই পেয়ে গেছিলাম সেদিন।
বিশ্বাস করুন, ওই মিনিট পনেরো, আমার বড্ড ভাল কেটেছিল। ব্যস্ত পথচারী, ফুটপাথের বিভিন্ন জিনিসের পসরা নিয়ে বসা বিক্রেতা, পাশ দিয়ে সাঁইসাঁই চলে যাওয়া বাস, ট্যাক্সি বা অন্যান্য যানবাহন, আর নদীতে ধীর লয়ে চলা নৌকা... সেই সাথে ভিজে ভিজে হাওয়া আর... মেঘমল্লারের শব্দ... মনে হচ্ছিল, অপার্থিব কোন জগতে পৌঁছে গেছি। আমাদের এত্ত চেনা, এত্ত কাছের হাওড়া ব্রিজ...অথচ.. এভাবে চেনা হয়নি কোনোদিনও...
হাঁটতে হাঁটতেই মনে পড়ে গেছিল, আমাদের প্রিয় হাওড়া ব্রিজ আসলে 'রবীন্দ্র সেতু'। তাই, গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজোর মতোই আওড়াই পংতি ক'টি:
"বহু দিন ধ'রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।"
দেখবেন নাকি, এই 'শিশিরবিন্দু'কে, সময় নিয়ে নিয়ে, পায়ে হেঁটে? ভাল যে লাগবেই, এ আমার গ্যারান্টি