25-09-2021, 09:32 AM
ট্যাক্সি যখন নিউ অর্লিন্স ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্টে এসে দাঁড়ালো, ট্রেসি ভাবলো, কি অদ্ভুত, এখানেই আজ সকালে এসে সে নেমেছিল। তারপর এত কিছু কি এই একটা দিনের মধ্যেই ঘটল? তার মায়ের আত্মহত্যা... কার্নিভালের মিছিলে তাকে প্রায় তুলে নিয়ে যাওয়া... তারপরই কানে বেজে উঠল যেন... ‘আমাকে গুলি করে দিলি... আমাকে মেরে ফেললি’
টার্মিনাল দিয়ে হেঁটে যাবার সময় ট্রেসির যেন মনে হতে লাগল সেই মুহুর্তে এয়ারপোর্টের সমস্ত যাত্রী শুধু তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে... তাকেই দুষছে বার বার। মনে মনে সে ভাবল, না, এটা আসলে ভ্রম মাত্র, দোষীদের এমনই মানসিকতা হয়ে থাকে... আসলে কেউই দেখছে না তাকে। তার খুব ইচ্ছা করছে এই মুহুর্তে জো রোম্যানোর অবস্থা জানতে, কিন্তু সেতো জানেই না তাকে কোন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে তারা। কাকেই বা সে জিজ্ঞাসা করবে? না, না। কিচ্ছু হবে না রোম্যানোর। ও নিশ্চয়ই ঠিক হয়ে যাবে। কাল সে আর চার্লস আসবে মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে। জোও ঠিক থাকবে। জোর করে চেষ্টা করল চোখের সামনে থেকে ওই দেহটা পড়ে থাকা আর তার থেকে চুইয়ে রক্ত বেরিয়ে সাদা কার্পেটটা রাঙিয়ে ওঠার দৃশ্যটাকে সরিয়ে দিতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্লসের কাছে এখন তাকে যেতে হবে। ডেল্টা এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ালো... ‘ফিলাডেলফিয়া যাবার পরবর্তি ফ্লাইটের একটা টিকিট দেবেন প্লিজ...’
প্যাসেঞ্জার রিপ্রেজেনটেটিভ কম্পুউটারে দেখে বলল, ‘একটা ফ্লাইট আছে, ফ্লাইট থ্রি-ও-ফোর। আর সবচেয়ে লাকি ব্যাপার হচ্ছে একটাই মাত্র টিকিট পড়ে আছে’
‘কখন ছাড়বে প্লেনটা?’
‘আর মিনিট কুড়ির মধ্যেই। আপনাকে এখনি বোর্ড করতে হবে’
ট্রেসি নিজের পার্স খুলে টাকাটা বের করতে গিয়ে খেয়াল করল তার দুপাশে দুজন পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অফিসার এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে একজন তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করল, ‘ট্রেসি হুইটনি?’
ট্রেসির মনে হল যেন তার হৃদযন্ত্রটা থেমে গেল। মাথা হেলিয়ে সে শায় দিল, ‘হ্যা’
‘আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল’
সাথে সাথে ট্রেসি অনুভব করল তার কব্জিতে লোহার হ্যান্ডকাফের ঠান্ডা নির্মম উপস্থিতি।
******
টার্মিনাল দিয়ে হেঁটে যাবার সময় ট্রেসির যেন মনে হতে লাগল সেই মুহুর্তে এয়ারপোর্টের সমস্ত যাত্রী শুধু তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে... তাকেই দুষছে বার বার। মনে মনে সে ভাবল, না, এটা আসলে ভ্রম মাত্র, দোষীদের এমনই মানসিকতা হয়ে থাকে... আসলে কেউই দেখছে না তাকে। তার খুব ইচ্ছা করছে এই মুহুর্তে জো রোম্যানোর অবস্থা জানতে, কিন্তু সেতো জানেই না তাকে কোন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে তারা। কাকেই বা সে জিজ্ঞাসা করবে? না, না। কিচ্ছু হবে না রোম্যানোর। ও নিশ্চয়ই ঠিক হয়ে যাবে। কাল সে আর চার্লস আসবে মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে। জোও ঠিক থাকবে। জোর করে চেষ্টা করল চোখের সামনে থেকে ওই দেহটা পড়ে থাকা আর তার থেকে চুইয়ে রক্ত বেরিয়ে সাদা কার্পেটটা রাঙিয়ে ওঠার দৃশ্যটাকে সরিয়ে দিতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্লসের কাছে এখন তাকে যেতে হবে। ডেল্টা এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ালো... ‘ফিলাডেলফিয়া যাবার পরবর্তি ফ্লাইটের একটা টিকিট দেবেন প্লিজ...’
প্যাসেঞ্জার রিপ্রেজেনটেটিভ কম্পুউটারে দেখে বলল, ‘একটা ফ্লাইট আছে, ফ্লাইট থ্রি-ও-ফোর। আর সবচেয়ে লাকি ব্যাপার হচ্ছে একটাই মাত্র টিকিট পড়ে আছে’
‘কখন ছাড়বে প্লেনটা?’
‘আর মিনিট কুড়ির মধ্যেই। আপনাকে এখনি বোর্ড করতে হবে’
ট্রেসি নিজের পার্স খুলে টাকাটা বের করতে গিয়ে খেয়াল করল তার দুপাশে দুজন পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অফিসার এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে একজন তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করল, ‘ট্রেসি হুইটনি?’
ট্রেসির মনে হল যেন তার হৃদযন্ত্রটা থেমে গেল। মাথা হেলিয়ে সে শায় দিল, ‘হ্যা’
‘আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল’
সাথে সাথে ট্রেসি অনুভব করল তার কব্জিতে লোহার হ্যান্ডকাফের ঠান্ডা নির্মম উপস্থিতি।
******