24-09-2021, 01:59 PM
#তুমিও_হেঁটে_দেখো_কলকাতা
গত শনিবারের ঝুম বৃষ্টির দিন। ঘুম থেকে উঠেই দেখি আকাশ বাবু গোমড়া মুখ করে আছেন!
দেখে, আমার ও মন মেঘলা হয়ে গেল। সবে ক'দিন হল, একটু ঘুরু ঘুরু করছিলাম শনিবার গুলোতে, ধ্যাত! ভাল্লাগে না!
ব্যাজার মুখে এসব ভাবছি, হঠাৎ দেখি একটু খানি 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে'... আর সেই দেখে, প্রায় উসেইন বোল্টের গতিতে আমিও রেডি, গন্তব্য - মানিকতলার পুলিশ মিউজিয়াম।
মানিকতলা ক্রসিং থেকে শিয়ালদার দিকে যেতে, গুনে গুনে দশ পা হাঁটলেই এই মিউজিয়াম। এটি আদতে অগ্নিপুরুষ রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি ছিল। প্রায় দুই হাজার স্কোয়ার ফিটের এই বাড়িটিকে তারপর কলকাতা পুলিশের মিউজিয়াম বানানো হয়েছে।
নাম ধাম লেখার পরে একপ্রস্থ স্যানিটাইজেশান এবং 'মোবাইলে ছবি তোলা যাবে না' সতর্কবার্তা শুনে, কাঁচুমাচু হয়ে ঢুকলাম। কিন্তু, ভেতরে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল! সুবিশাল হলঘরকে সময় ক্রমণি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আর, সেই সময়কার নথিপত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ ও দলিল, সংবাদপত্রের আর্টিকেল সযত্নে রাখা আছে এখানে।
গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল।
অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছিল।
আমাদের পূজনীয় বিপ্লবীদের ব্যবহৃত জিনিস, আগ্নেয়াস্ত্র, নথিপত্র দেখে যেমন গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল, তেমনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাঁদের নামে 'লুক আউট নোটিস' দেখে, তাঁদের উদ্দেশ্য 'ডেকোয়েটস' লেখা হয়েছে দেখে চোখে জল আসছিল।
কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস ইত্যাদিও বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে এখানে। এছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী যুগের কিছু যুগান্তকারী অপরাধের ইতিহাস এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত নথি -প্রমানাদি রাখা আছে সুন্দর ভাবে।
দোতলায় একটি ঘরে আমাদের দেশনায়ক, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের সম্পর্কিত ফাইল পত্র রয়েছে, যদিও সাধারণ মানুষের দেখার অধিকার নেই।
এই মিউজিয়ামটি খোলা থাকে মঙ্গল থেকে রবিবার, সকাল এগারোটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। সোমবার বন্ধ থাকে। কোনো প্রবেশমূল্য নেই।
ইতিহাসে আগ্রহ থাকলে একবার অবশ্যই আসুন। একে তো এতকিছু জানার, শেখার উপাদান আছে, তারপরে স্বয়ং রাজা রামমোহনের বাড়ি। হয়ত এই বাড়ির খোলা ছাদে দাঁড়িয়েই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মেয়েদের জন্য লড়াই করার। আমাদের জন্য লড়াই করার।
বারবার সে কথাই মনে পড়ছিল। আর, বিপ্লবীদের ব্যবহার করা দ্রব্যাদি দেখেছি... যাঁরা না থাকলে আজ আমরা থাকতাম না...
দেখে যান একবার। খুব, খুব, খুউউব ভাল লাগবেই
গত শনিবারের ঝুম বৃষ্টির দিন। ঘুম থেকে উঠেই দেখি আকাশ বাবু গোমড়া মুখ করে আছেন!
দেখে, আমার ও মন মেঘলা হয়ে গেল। সবে ক'দিন হল, একটু ঘুরু ঘুরু করছিলাম শনিবার গুলোতে, ধ্যাত! ভাল্লাগে না!
ব্যাজার মুখে এসব ভাবছি, হঠাৎ দেখি একটু খানি 'মেঘের কোলে রোদ হেসেছে'... আর সেই দেখে, প্রায় উসেইন বোল্টের গতিতে আমিও রেডি, গন্তব্য - মানিকতলার পুলিশ মিউজিয়াম।
মানিকতলা ক্রসিং থেকে শিয়ালদার দিকে যেতে, গুনে গুনে দশ পা হাঁটলেই এই মিউজিয়াম। এটি আদতে অগ্নিপুরুষ রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি ছিল। প্রায় দুই হাজার স্কোয়ার ফিটের এই বাড়িটিকে তারপর কলকাতা পুলিশের মিউজিয়াম বানানো হয়েছে।
নাম ধাম লেখার পরে একপ্রস্থ স্যানিটাইজেশান এবং 'মোবাইলে ছবি তোলা যাবে না' সতর্কবার্তা শুনে, কাঁচুমাচু হয়ে ঢুকলাম। কিন্তু, ভেতরে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল! সুবিশাল হলঘরকে সময় ক্রমণি অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আর, সেই সময়কার নথিপত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ ও দলিল, সংবাদপত্রের আর্টিকেল সযত্নে রাখা আছে এখানে।
গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল।
অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছিল।
আমাদের পূজনীয় বিপ্লবীদের ব্যবহৃত জিনিস, আগ্নেয়াস্ত্র, নথিপত্র দেখে যেমন গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল, তেমনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে তাঁদের নামে 'লুক আউট নোটিস' দেখে, তাঁদের উদ্দেশ্য 'ডেকোয়েটস' লেখা হয়েছে দেখে চোখে জল আসছিল।
কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস ইত্যাদিও বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে এখানে। এছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী যুগের কিছু যুগান্তকারী অপরাধের ইতিহাস এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত নথি -প্রমানাদি রাখা আছে সুন্দর ভাবে।
দোতলায় একটি ঘরে আমাদের দেশনায়ক, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের সম্পর্কিত ফাইল পত্র রয়েছে, যদিও সাধারণ মানুষের দেখার অধিকার নেই।
এই মিউজিয়ামটি খোলা থাকে মঙ্গল থেকে রবিবার, সকাল এগারোটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। সোমবার বন্ধ থাকে। কোনো প্রবেশমূল্য নেই।
ইতিহাসে আগ্রহ থাকলে একবার অবশ্যই আসুন। একে তো এতকিছু জানার, শেখার উপাদান আছে, তারপরে স্বয়ং রাজা রামমোহনের বাড়ি। হয়ত এই বাড়ির খোলা ছাদে দাঁড়িয়েই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মেয়েদের জন্য লড়াই করার। আমাদের জন্য লড়াই করার।
বারবার সে কথাই মনে পড়ছিল। আর, বিপ্লবীদের ব্যবহার করা দ্রব্যাদি দেখেছি... যাঁরা না থাকলে আজ আমরা থাকতাম না...
দেখে যান একবার। খুব, খুব, খুউউব ভাল লাগবেই