24-09-2021, 11:55 AM
# তুমিও_হেঁটে_দেখো_কলকাতা
জানেন কি?
বাগবাজারের কাছে ৭, গিরিশ এভিনিউতে উনবিংশ শতকের বনেদী বাঙালি শ্রী গুরুপ্রসাদ বসু স্থাপণ করেছিলেন একটি রাধা-শ্যামের মন্দির। সেই মন্দির থেকেই কলকাতার সুখ্যাত একটি অঞ্চলের নাম 'শ্যামবাজার?'
আমিও জানতাম না। তাই, জেনে বড্ড ভাল লেগেছিল। আরও বেশি বেশি করে ভাল লেগেছিল কারণ এই বাড়িটিই শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্মৃতি বিজড়িত, তাঁর সুযোগ্য শিষ্য বলরাম বসুর বসত বাড়ি, যা বর্তমানে 'বলরাম মন্দির' নামে পরিচিত।
শোভাবাজারের দিক থেকে বাগবাজারের দিকে একটু এগোলেই এই মন্দিরটি চোখে পড়ে। দ্বিতল এই বাড়িটিতে এখনও রাধা-শ্যামের মন্দিরটি আছে। এছাড়া একটি জগন্নাথদেবের মন্দির ও আছে এখানে। আর আছে, মন জুড়ানো একটি মন্দির, যেখানে শ্রীরামকৃষ্ণ দেব, মা সারদা এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতি রাখা আছে। আর কী যে শান্তি সেই মন্দিরে! মনে হয়, অনন্তকাল কাটিয়ে দেওয়া যায় ওখানে। নিজেকে প্রশ্ন করা যায়, উত্তর খুঁজে বের করা যায়, আর বিশ্বাস করা যায় যে 'তিনি আছেন, তাই সব ভাল হবে'।
বাড়িটির একতলায় শ্রীরামকৃষ্ণ মিশনের প্রশাসনিক কক্ষ আছে। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে একে একে তিনটি মন্দির চোখে পড়বে।
সমস্তরকম কোভিড বিধি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পালন করা হয় এখানে। এছাড়া আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, আমাদের শহরের আনাচ কানাচ ঘুরে দেখা আমার নেশা। বেশিরভাগ জায়গাতেই অনেকটা করে সময় কাটাই আমি। জায়গাটি বোঝার, জানার, আত্মস্থ করার চেষ্টা করি। আর, তাই, জল বা বাথরুম ব্যবহার করার দরকার পড়ে প্রায়ই। এক্ষেত্রে বলরাম মন্দির, বা সামগ্রিকভাবে যে কোনো রামকৃষ্ণ মিশনের বাথরুম ই অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন থাকে, খেয়াল করে দেখেছি। সবাই, বিশেষত মহিলা মাত্রই জানেন, এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা, এবং বিকেল ৪ টে থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত বলরাম মন্দির খোলা থাকে।
কখনও কোনো কারণে মন চঞ্চল লাগলে, বা কিছুক্ষণের জন্য শান্ত পরিবেশ ভাল লাগলে অবশ্যই একবার আসতে পারেন এই ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়িটিতে। আশা করি, আমার যেমন ভাল লেগেছে, আপনাদের ও তেমনি ভাল লাগবে...।।
জানেন কি?
বাগবাজারের কাছে ৭, গিরিশ এভিনিউতে উনবিংশ শতকের বনেদী বাঙালি শ্রী গুরুপ্রসাদ বসু স্থাপণ করেছিলেন একটি রাধা-শ্যামের মন্দির। সেই মন্দির থেকেই কলকাতার সুখ্যাত একটি অঞ্চলের নাম 'শ্যামবাজার?'
আমিও জানতাম না। তাই, জেনে বড্ড ভাল লেগেছিল। আরও বেশি বেশি করে ভাল লেগেছিল কারণ এই বাড়িটিই শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের স্মৃতি বিজড়িত, তাঁর সুযোগ্য শিষ্য বলরাম বসুর বসত বাড়ি, যা বর্তমানে 'বলরাম মন্দির' নামে পরিচিত।
শোভাবাজারের দিক থেকে বাগবাজারের দিকে একটু এগোলেই এই মন্দিরটি চোখে পড়ে। দ্বিতল এই বাড়িটিতে এখনও রাধা-শ্যামের মন্দিরটি আছে। এছাড়া একটি জগন্নাথদেবের মন্দির ও আছে এখানে। আর আছে, মন জুড়ানো একটি মন্দির, যেখানে শ্রীরামকৃষ্ণ দেব, মা সারদা এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতি রাখা আছে। আর কী যে শান্তি সেই মন্দিরে! মনে হয়, অনন্তকাল কাটিয়ে দেওয়া যায় ওখানে। নিজেকে প্রশ্ন করা যায়, উত্তর খুঁজে বের করা যায়, আর বিশ্বাস করা যায় যে 'তিনি আছেন, তাই সব ভাল হবে'।
বাড়িটির একতলায় শ্রীরামকৃষ্ণ মিশনের প্রশাসনিক কক্ষ আছে। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে একে একে তিনটি মন্দির চোখে পড়বে।
সমস্তরকম কোভিড বিধি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পালন করা হয় এখানে। এছাড়া আরেকটি বিষয় না বললেই নয়, আমাদের শহরের আনাচ কানাচ ঘুরে দেখা আমার নেশা। বেশিরভাগ জায়গাতেই অনেকটা করে সময় কাটাই আমি। জায়গাটি বোঝার, জানার, আত্মস্থ করার চেষ্টা করি। আর, তাই, জল বা বাথরুম ব্যবহার করার দরকার পড়ে প্রায়ই। এক্ষেত্রে বলরাম মন্দির, বা সামগ্রিকভাবে যে কোনো রামকৃষ্ণ মিশনের বাথরুম ই অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন থাকে, খেয়াল করে দেখেছি। সবাই, বিশেষত মহিলা মাত্রই জানেন, এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা, এবং বিকেল ৪ টে থেকে ৫.৩০ পর্যন্ত বলরাম মন্দির খোলা থাকে।
কখনও কোনো কারণে মন চঞ্চল লাগলে, বা কিছুক্ষণের জন্য শান্ত পরিবেশ ভাল লাগলে অবশ্যই একবার আসতে পারেন এই ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যপূর্ণ বাড়িটিতে। আশা করি, আমার যেমন ভাল লেগেছে, আপনাদের ও তেমনি ভাল লাগবে...।।