23-09-2021, 11:41 AM
ফোনটা রেখে দিয়ে চুপ করে ঘরের সিলিংএর দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকল ট্রেসি। তাকিয়ে তাকিয়ে ঘরের সিলিংএর টালিগুলো গুনছে সে... এক... দুই... তিন... রোম্যানো... চার... পাঁচ... জো রোম্যানো... ছয়... সাত... রোম্যানো কে তার কর্মের প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে। এই মুহুর্তে সে কি ভাবে কি করবে তার কোন প্ল্যানই নেই, কিন্তু তবুও সে সুনিশ্চিত, তাকে একটা কিছু করতেই হবে মায়ের এই ভাবে চলে যাওয়ার প্রতিশোধ নেবার জন্য। কিছু একটা করতেই হবে।
বিকেলের দিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্যানাল স্ট্রিটে পৌছে গেল সে। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একটা বন্ধকী জিনিসের দোকান দেখে ঢুকলো। দোকানের কাউন্টার বলতে একটা খাঁচা মত, তার ভেতরে পুরানো জামা প্যান্ট পরা বিশীর্ণ একটি লোক বসে। সম্ভবত দোকানটার সেই মালিক। ট্রেসিকে ঢুকতে দেখে সরু মিনমিনে গলায় বলল, ‘কিছু খুঁজছেন?’
‘আ-আমি একটা ব-বন্দুক কি-কিনতে চাই।’ কথাটা বলে তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিল সে।
‘কেমন বন্দুক চাইছেন আপনি?’ ভাবলেশহীন গলায় প্রশ্ন করল লোকটি।
‘ওই আরকি, রি-রিভলবার...’
‘রিভলবার তো বুঝলাম, কিন্তু সেটা থার্টি-টু, নাকি ফর্টি-ফাইভ, বা...’
ট্রেসি হাতে কোনদিন কোন বন্দুক ধরে নি, তাড়াতাড়ি করে সে বলে উঠল, ‘এ-একটা থার্টি-টু হলেই চলবে’
‘হুম। আমার কাছে একটা খুব সুন্দর স্মিথ ওয়েসন ব্র্যান্ডের থার্টি-টু আছে, কিন্তু সেটার জন্য দুশো উন্ত্রিশ ডলার লাগবে অথবা চার্টার আর্মস এর একটা থার্টি-টু আছে, সেটার জন্য একশ উনোষাট লাগবে...’
ট্রেসির কাছে এই মুহুর্তে অত টাকাও নেই। সে বলল, ‘এর থেকে সস্তার কিছু নেই?’
কাঁধ ঝাঁকিয়ে লোকটি বলে উঠল, ‘একটা কথা বলব দিদি, শস্তার তিন অবস্থা। সেটা কোন কাজে আসবে না। আচ্ছা, এক কাজ করুন, আপনার জন্য আমি একশ পঞ্চাশই নেব, আর তার সাথে এক বাক্স বুলেটও দিয়ে দিচ্ছি, কেমন?’
‘ঠিক আছে’
ট্রেসি বলতে, লোকটি উঠে পেছন দিকে একটা আলমারী খুলে সেখান থেকে একটা রিভলবার বের করে সেটাকে ভালো করে নেড়ে চেড়ে দেখে আবার কাউন্টারে নিয়ে এল। ‘কি করে ব্যবহার করতে হয় জানেন তো?’
‘হ্যা, হ্যা। ওই তো ট্রিগারটা টিপতে হয় শুধু।’
‘আপনাকে কি দেখিয়ে দেব কি করে গুলি ভরতে হয়?’
প্রথমে ট্রেসি বলতে যাচ্ছিল যে সেটার দরকার হবে না। কারণ সে তো আর কাউকে খুন করতে যাচ্ছে না, শুধু এটা নিচ্ছে তাকে ভয় দেখাবার জন্য। কিন্তু এখন এই লোকটিকে তো সেটা আর বলা যাবে না, তাই সে ঘাড় নেড়ে বলল, ‘হ্যা, দেখিয়ে দিন প্লিজ।’
ট্রেসি তাকিয়ে দেখতে লাগল লোকটা কি ভাবে একটা একটা করে বুলেট রিভলবারটার চেম্বারে পুরছে।
‘থ্যাঙ্ক ইয়ু’ নিজের পার্স থেকে টাকাটা গুনে বের করে দিল ট্রেসি।
টাকাটা গুনে নিতে নিতে লোকটি বলল, ‘আপনার নাম আর ঠিকানাটা লাগবে পুলিশ রেকর্ডের জন্য। এটা নিয়ম।’
এটা তো মাথায় আসে নি। জো রোম্যানোকে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখানো একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। কিন্তু সে ক্রিমিনাল নয়, ক্রিমিনাল জো র*্যামোনো।
কাউন্টারের ওপাশ থেকে লোকটি বলে উঠল, ‘নাম?’
‘স্মিথ... জোয়ান স্মিথ।’
‘ঠিকানা’
‘ডাউম্যান রোড। থার্টি টোয়েন্টি ডাউম্যান রোড’
লোকটি মাথা না তুলেই বলে উঠল, ‘থার্টি টোয়েন্টি বলে কোন ঠিকানা নেই, হলে সেটা নদীর মাঝখানে হত। আমি তার থেকে লিখে দিচ্ছি ফিফটি টোয়েন্টি।’ বলে রিসিট বইটা কাউন্টারের জালের তলা দিয়ে বাড়িয়ে ধরল, ‘একটা সই করে দেবেন।’
ট্রেসি লোকটির বাড়ানো কলমটা নিয়ে রসিদের নিচে সই করল... জোয়ান স্মিথ ... ‘ঠিক আছে?’
লোকটি আর একবারও সইটার দিকে তাকালোও না। ঘাড় নেড়ে শুধু বলল ‘হু, ঠিক আছে।’ বলে কাউন্টারের তলা দিয়ে বন্দুকটা ট্রেসির দিকে বাড়িয়ে দিল। ট্রেসি খানিক তাকিয়ে রইল রিভলবারটার দিকে তারপর সেটাকে হাতে তুলে পার্সের মধ্যে ভরে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে দোকান থেকে বেরিয়ে এল। পেছন থেকে লোকটি চেঁচিয়ে বলে উঠল, ‘সাবধানে রাখবেন, ভুলবেন না বন্দুকটা কিন্তু লোডেড রয়েছে...’
******
বিকেলের দিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ক্যানাল স্ট্রিটে পৌছে গেল সে। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একটা বন্ধকী জিনিসের দোকান দেখে ঢুকলো। দোকানের কাউন্টার বলতে একটা খাঁচা মত, তার ভেতরে পুরানো জামা প্যান্ট পরা বিশীর্ণ একটি লোক বসে। সম্ভবত দোকানটার সেই মালিক। ট্রেসিকে ঢুকতে দেখে সরু মিনমিনে গলায় বলল, ‘কিছু খুঁজছেন?’
‘আ-আমি একটা ব-বন্দুক কি-কিনতে চাই।’ কথাটা বলে তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিল সে।
‘কেমন বন্দুক চাইছেন আপনি?’ ভাবলেশহীন গলায় প্রশ্ন করল লোকটি।
‘ওই আরকি, রি-রিভলবার...’
‘রিভলবার তো বুঝলাম, কিন্তু সেটা থার্টি-টু, নাকি ফর্টি-ফাইভ, বা...’
ট্রেসি হাতে কোনদিন কোন বন্দুক ধরে নি, তাড়াতাড়ি করে সে বলে উঠল, ‘এ-একটা থার্টি-টু হলেই চলবে’
‘হুম। আমার কাছে একটা খুব সুন্দর স্মিথ ওয়েসন ব্র্যান্ডের থার্টি-টু আছে, কিন্তু সেটার জন্য দুশো উন্ত্রিশ ডলার লাগবে অথবা চার্টার আর্মস এর একটা থার্টি-টু আছে, সেটার জন্য একশ উনোষাট লাগবে...’
ট্রেসির কাছে এই মুহুর্তে অত টাকাও নেই। সে বলল, ‘এর থেকে সস্তার কিছু নেই?’
কাঁধ ঝাঁকিয়ে লোকটি বলে উঠল, ‘একটা কথা বলব দিদি, শস্তার তিন অবস্থা। সেটা কোন কাজে আসবে না। আচ্ছা, এক কাজ করুন, আপনার জন্য আমি একশ পঞ্চাশই নেব, আর তার সাথে এক বাক্স বুলেটও দিয়ে দিচ্ছি, কেমন?’
‘ঠিক আছে’
ট্রেসি বলতে, লোকটি উঠে পেছন দিকে একটা আলমারী খুলে সেখান থেকে একটা রিভলবার বের করে সেটাকে ভালো করে নেড়ে চেড়ে দেখে আবার কাউন্টারে নিয়ে এল। ‘কি করে ব্যবহার করতে হয় জানেন তো?’
‘হ্যা, হ্যা। ওই তো ট্রিগারটা টিপতে হয় শুধু।’
‘আপনাকে কি দেখিয়ে দেব কি করে গুলি ভরতে হয়?’
প্রথমে ট্রেসি বলতে যাচ্ছিল যে সেটার দরকার হবে না। কারণ সে তো আর কাউকে খুন করতে যাচ্ছে না, শুধু এটা নিচ্ছে তাকে ভয় দেখাবার জন্য। কিন্তু এখন এই লোকটিকে তো সেটা আর বলা যাবে না, তাই সে ঘাড় নেড়ে বলল, ‘হ্যা, দেখিয়ে দিন প্লিজ।’
ট্রেসি তাকিয়ে দেখতে লাগল লোকটা কি ভাবে একটা একটা করে বুলেট রিভলবারটার চেম্বারে পুরছে।
‘থ্যাঙ্ক ইয়ু’ নিজের পার্স থেকে টাকাটা গুনে বের করে দিল ট্রেসি।
টাকাটা গুনে নিতে নিতে লোকটি বলল, ‘আপনার নাম আর ঠিকানাটা লাগবে পুলিশ রেকর্ডের জন্য। এটা নিয়ম।’
এটা তো মাথায় আসে নি। জো রোম্যানোকে বন্দুক দিয়ে ভয় দেখানো একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। কিন্তু সে ক্রিমিনাল নয়, ক্রিমিনাল জো র*্যামোনো।
কাউন্টারের ওপাশ থেকে লোকটি বলে উঠল, ‘নাম?’
‘স্মিথ... জোয়ান স্মিথ।’
‘ঠিকানা’
‘ডাউম্যান রোড। থার্টি টোয়েন্টি ডাউম্যান রোড’
লোকটি মাথা না তুলেই বলে উঠল, ‘থার্টি টোয়েন্টি বলে কোন ঠিকানা নেই, হলে সেটা নদীর মাঝখানে হত। আমি তার থেকে লিখে দিচ্ছি ফিফটি টোয়েন্টি।’ বলে রিসিট বইটা কাউন্টারের জালের তলা দিয়ে বাড়িয়ে ধরল, ‘একটা সই করে দেবেন।’
ট্রেসি লোকটির বাড়ানো কলমটা নিয়ে রসিদের নিচে সই করল... জোয়ান স্মিথ ... ‘ঠিক আছে?’
লোকটি আর একবারও সইটার দিকে তাকালোও না। ঘাড় নেড়ে শুধু বলল ‘হু, ঠিক আছে।’ বলে কাউন্টারের তলা দিয়ে বন্দুকটা ট্রেসির দিকে বাড়িয়ে দিল। ট্রেসি খানিক তাকিয়ে রইল রিভলবারটার দিকে তারপর সেটাকে হাতে তুলে পার্সের মধ্যে ভরে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে দোকান থেকে বেরিয়ে এল। পেছন থেকে লোকটি চেঁচিয়ে বলে উঠল, ‘সাবধানে রাখবেন, ভুলবেন না বন্দুকটা কিন্তু লোডেড রয়েছে...’
******