23-09-2021, 11:39 AM
পরিচ্ছদ ৩
সময়। সময় চাই তার। সময় চাই ভাবার, সময় চাই পরবর্তি পদক্ষেপ কিভাবে নেবে, তার জন্য। ট্রেসি তাদের পুরানো বাড়িতে আর ওঠেনি। সেখানে আছেই বা কি? শুধু স্মৃতি... চতুর্দিকে ছড়ানো। তাই সে ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার, যেখানে এখনও মারদি গ্রাসের উদ্মত্ত কোলাহল চলছে, তার থেকে দূরে ম্যাগাজাইন স্ট্রিটের একটা ছোট্ট সস্তার হোটেলে এসে উঠেছে। তার হাতে কোন লাগেজ নেই, তাই হোটেলের ক্লার্ক সন্দিঘ্ন দৃষ্টিতে তাকে মেপে নিয়ে বলেছিল, ‘ঘর পাওয়া যাবে, কিন্তু আপনাকে চল্লিশ ডলার প্রতি রাতের জন্য দিতে হবে, আর সেটা অগ্রিম।’
হোটেলের ঘরে পৌছে সে ব্যাঙ্কে ক্লারেন্স ডেসমন্ডকে ফোন করে বলে দিয়েছে যে আগামী কিছুদিন সে কাজে আসতে পারবে না। শুনে ডেসমন্ড যে যথেষ্টই বিরক্ত তা বলে দিতে হয় না। কিন্তু তবুও সে তার বিরক্তিকে চেপে রেখে বলে উঠেছিল, ‘ঠিক আছে ট্রেসি, কোন ব্যাপার না। যতদিন তুমি না ফিরছ, আমি দেখছি অন্য কাউকে তোমার জায়গায় রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।’ মনে মনে সে আশা পোষন করেছে যে ট্রেসি নিশ্চয় চার্লসকে বলবে, দেখ, ডেসমন্ড কত বোঝদার।
ট্রেসি পরের কলটা চার্লসকে করল। ‘চার্লস, ডার্লিং...’
‘ট্রেসি, তুমি কোথায়? একদিন তোমার সাথে কথা না বলে প্রায় পাগল হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে আমার। জানো মা কত করে চেষ্টা করেছেন তোমার সাথে যোগাযোগ করার? উনি চেয়েছিলেন আজকে তোমার সাথে লাঞ্চে যাবার। কত অ্যারেঞ্জমেন্ট করা বাকি। মা চেয়েছিলেন তোমরা দুজনে মিলে এই অ্যারেঞ্জমেন্টটা করতে।’
‘আ...আমি সরি, ডার্লিং। আমি এখন নিউ অর্লিন্সএ।’
‘তুমি কোথায়? নিউ অর্লিন্সএ কি করছ তুমি?’
‘আমার... আমার মা মারা গেছেন।’ বলতে বলতে গলার মধ্যে কান্নাটা যেন দলা করে পাকিয়ে উঠল ট্রেসির।
সাথে সাথে কথার ধরন বদলে গেল চার্লসের। ‘ওহ। সরি ট্রেসি। হটাৎ করে ব্যাপারটা ঘটে গেছে নিশ্চয়ই। খুব একটা বয়স তো হয় নি তোমার মায়ের!’
একদমই হয় নি... মনে মনে বলল ট্রেসি।
‘কেন, কি হয়েছিল? তুমি ঠিক আছ তো?’ চার্লসএর গলায় উদবেগের স্বর।
ট্রেসি কোনমতেই মায়ের সুইসাইডের ব্যাপারটা ঠিক এখনই চার্লসকে জানাতে চাইল না। তার মনের মধ্যে তখন ঝড় বইছে। মন চাইছে সব কথা চার্লসকে এই মুহুর্তে বলে দেয়। কি নিদারুন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মাকে যেতে হয়েছে, কি ভাবে মাকে ঠকানো হয়েছে যাতে করে মা বাধ্য হয়েছে নিজের জীবনটাকেই শেষ করে দিতে। কিন্তু অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরন করল সে। না। এটা সম্পূর্ন আমার সমস্যা। এই ব্যাপারটা এখনই চার্লসকে বলে তার ওপর কোন বোঝা চাপাতে চায় না সে। ধীর কন্ঠে সে চার্লসকে বলল, ‘ভেবো না ডার্লিং, আমি সামলে নেব সব।’
‘না, না ট্রেসি। তুমি কি চাও আমি তোমার ওখানে আসি?’
‘তার দরকার নেই চার্লস। অনেক ধন্যবাদ এই ভাবে বলার জন্য। আগামীকাল মাকে সমাধীস্থ করা হবে। আমি আগামী সোমবার ফিলাডেলফিয়ায় ফিরছি, তখনই সব কথা হবে।’
সময়। সময় চাই তার। সময় চাই ভাবার, সময় চাই পরবর্তি পদক্ষেপ কিভাবে নেবে, তার জন্য। ট্রেসি তাদের পুরানো বাড়িতে আর ওঠেনি। সেখানে আছেই বা কি? শুধু স্মৃতি... চতুর্দিকে ছড়ানো। তাই সে ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার, যেখানে এখনও মারদি গ্রাসের উদ্মত্ত কোলাহল চলছে, তার থেকে দূরে ম্যাগাজাইন স্ট্রিটের একটা ছোট্ট সস্তার হোটেলে এসে উঠেছে। তার হাতে কোন লাগেজ নেই, তাই হোটেলের ক্লার্ক সন্দিঘ্ন দৃষ্টিতে তাকে মেপে নিয়ে বলেছিল, ‘ঘর পাওয়া যাবে, কিন্তু আপনাকে চল্লিশ ডলার প্রতি রাতের জন্য দিতে হবে, আর সেটা অগ্রিম।’
হোটেলের ঘরে পৌছে সে ব্যাঙ্কে ক্লারেন্স ডেসমন্ডকে ফোন করে বলে দিয়েছে যে আগামী কিছুদিন সে কাজে আসতে পারবে না। শুনে ডেসমন্ড যে যথেষ্টই বিরক্ত তা বলে দিতে হয় না। কিন্তু তবুও সে তার বিরক্তিকে চেপে রেখে বলে উঠেছিল, ‘ঠিক আছে ট্রেসি, কোন ব্যাপার না। যতদিন তুমি না ফিরছ, আমি দেখছি অন্য কাউকে তোমার জায়গায় রেখে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।’ মনে মনে সে আশা পোষন করেছে যে ট্রেসি নিশ্চয় চার্লসকে বলবে, দেখ, ডেসমন্ড কত বোঝদার।
ট্রেসি পরের কলটা চার্লসকে করল। ‘চার্লস, ডার্লিং...’
‘ট্রেসি, তুমি কোথায়? একদিন তোমার সাথে কথা না বলে প্রায় পাগল হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে আমার। জানো মা কত করে চেষ্টা করেছেন তোমার সাথে যোগাযোগ করার? উনি চেয়েছিলেন আজকে তোমার সাথে লাঞ্চে যাবার। কত অ্যারেঞ্জমেন্ট করা বাকি। মা চেয়েছিলেন তোমরা দুজনে মিলে এই অ্যারেঞ্জমেন্টটা করতে।’
‘আ...আমি সরি, ডার্লিং। আমি এখন নিউ অর্লিন্সএ।’
‘তুমি কোথায়? নিউ অর্লিন্সএ কি করছ তুমি?’
‘আমার... আমার মা মারা গেছেন।’ বলতে বলতে গলার মধ্যে কান্নাটা যেন দলা করে পাকিয়ে উঠল ট্রেসির।
সাথে সাথে কথার ধরন বদলে গেল চার্লসের। ‘ওহ। সরি ট্রেসি। হটাৎ করে ব্যাপারটা ঘটে গেছে নিশ্চয়ই। খুব একটা বয়স তো হয় নি তোমার মায়ের!’
একদমই হয় নি... মনে মনে বলল ট্রেসি।
‘কেন, কি হয়েছিল? তুমি ঠিক আছ তো?’ চার্লসএর গলায় উদবেগের স্বর।
ট্রেসি কোনমতেই মায়ের সুইসাইডের ব্যাপারটা ঠিক এখনই চার্লসকে জানাতে চাইল না। তার মনের মধ্যে তখন ঝড় বইছে। মন চাইছে সব কথা চার্লসকে এই মুহুর্তে বলে দেয়। কি নিদারুন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মাকে যেতে হয়েছে, কি ভাবে মাকে ঠকানো হয়েছে যাতে করে মা বাধ্য হয়েছে নিজের জীবনটাকেই শেষ করে দিতে। কিন্তু অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরন করল সে। না। এটা সম্পূর্ন আমার সমস্যা। এই ব্যাপারটা এখনই চার্লসকে বলে তার ওপর কোন বোঝা চাপাতে চায় না সে। ধীর কন্ঠে সে চার্লসকে বলল, ‘ভেবো না ডার্লিং, আমি সামলে নেব সব।’
‘না, না ট্রেসি। তুমি কি চাও আমি তোমার ওখানে আসি?’
‘তার দরকার নেই চার্লস। অনেক ধন্যবাদ এই ভাবে বলার জন্য। আগামীকাল মাকে সমাধীস্থ করা হবে। আমি আগামী সোমবার ফিলাডেলফিয়ায় ফিরছি, তখনই সব কথা হবে।’