20-09-2021, 12:47 PM
বেশি জল খাওয়ার ফল যা হতে পারে, কিছুক্ষনের মধ্যে সেটাই হল, জোর টয়লেট পেয়ে গেল। মুশকিলটা হল এখানে টয়লেট বলতে কিছুই নেই, পথে কোনো বসতিও পড়ে না যেখানে কারুকে বলে বাথরুমে যাওয়া যেতে পারে। অতএব পাশের জঙ্গলই ভরসা। কিন্তু যেহেতু এটা একটা পপুলার হাইকিং রুট, তাই এই রাস্তায় হরবখত লোকজন যাওয়া আসা করছে, ফলে জঙ্গলে বেশ খানিকটা নেমে রাস্তা থেকে দেখা যায় না এমন জায়গায় যাওয়া বাদে উপায় নেই।
আমি গোগোলকে বললাম “শোন, আমার ব্যাকপ্যাকটা একটু ধরবি, আমি একটু টয়লেট করে আসি”। গোগোল “হ্যাঁ, হ্যাঁ নিশ্চয়ই” বলাতে ওর হাতে ব্যাকপ্যাকটা দিয়ে আমি রাস্তার ধারের জঙ্গলের দিকে নেমে গেলাম। বেশ খানিকটা নেমে বাঁ দিকে একটু ঘুরতেই রাস্তাটা ওপরে চোখের আড়ালে চলে গেল। জঙ্গলের মধ্যে একটা জায়গা হঠাৎই সমতল । মেরেকেটে ফুট আটেক লম্বা আর ফুট দশেক চওড়া, ঝোপঝাড়-বিহীন। মনে হয় কেউ ক্যাম্পগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করেছিল, খুব বেশিদিন আগে নয় কারণ মাটিতে অস্পষ্ট দাগ এখনও দেখা যাচ্ছে। যদিও একটা ছোট টেন্ট লাগানোর বেশি জায়গা নেই। এখানটাতে বসা যায়।
প্যান্ট আর প্যান্টিটা নামিয়ে চারদিকে চোখ বুলিয়ে বসলাম। চারদিকটা অদ্ভুত রকম ছমছমে। যেদিকে তাকানো যাক লম্বা লম্বা গাছ, কুয়াশায় তাদের মাথা দেখা যায় না, দূরে কোত্থেকে একটা অদ্ভুত খট্*-খট্* আওয়াজ ভেসে আসছে, কেউ একটা হাহা করে হাসল নাকি? হঠাৎখুব কাছ থেকে একটা শিসের আওয়াজ ভেসে আসতেই আমি টয়লেট ভুলে ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়ালাম। প্যান্ট টেনে তুলে হুড়মুড়িয়ে রাস্তায় উঠে এসে দেখি গোগোল একটা পাথরের ওপরে বসে মোবাইলে কিছু করছে।
“একদমই সিগনাল নেই কাকীমা, কাকুকে ফোন করে বলব ভাবছিলাম আমাদের দেরি হবে, পাওয়াই যাচ্ছে না”। “শোন না গোগোল” একটু লজ্জা পেয়েই বললাম “আমি একটু টয়লেট যাব, বেশ আর্জেন্ট, তুই একটু দাঁড়াবি? কখন কে এসে যায়”। গোগোলের চোখের চমক আমার চোখ এড়ালো না.... “এই যে গেলে?” আমি বললাম “তু চল একটু, লোকজন কখন কে এসে যায়, দাঁড়াবি একটু”। “হ্যাঁ চল”... গোগোলকে সঙ্গে করে আমি আবার সেই সমান জায়গাটায় নেমে এলাম।
আমি গোগোলকে বললাম “শোন, আমার ব্যাকপ্যাকটা একটু ধরবি, আমি একটু টয়লেট করে আসি”। গোগোল “হ্যাঁ, হ্যাঁ নিশ্চয়ই” বলাতে ওর হাতে ব্যাকপ্যাকটা দিয়ে আমি রাস্তার ধারের জঙ্গলের দিকে নেমে গেলাম। বেশ খানিকটা নেমে বাঁ দিকে একটু ঘুরতেই রাস্তাটা ওপরে চোখের আড়ালে চলে গেল। জঙ্গলের মধ্যে একটা জায়গা হঠাৎই সমতল । মেরেকেটে ফুট আটেক লম্বা আর ফুট দশেক চওড়া, ঝোপঝাড়-বিহীন। মনে হয় কেউ ক্যাম্পগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করেছিল, খুব বেশিদিন আগে নয় কারণ মাটিতে অস্পষ্ট দাগ এখনও দেখা যাচ্ছে। যদিও একটা ছোট টেন্ট লাগানোর বেশি জায়গা নেই। এখানটাতে বসা যায়।
প্যান্ট আর প্যান্টিটা নামিয়ে চারদিকে চোখ বুলিয়ে বসলাম। চারদিকটা অদ্ভুত রকম ছমছমে। যেদিকে তাকানো যাক লম্বা লম্বা গাছ, কুয়াশায় তাদের মাথা দেখা যায় না, দূরে কোত্থেকে একটা অদ্ভুত খট্*-খট্* আওয়াজ ভেসে আসছে, কেউ একটা হাহা করে হাসল নাকি? হঠাৎখুব কাছ থেকে একটা শিসের আওয়াজ ভেসে আসতেই আমি টয়লেট ভুলে ভয় পেয়ে উঠে দাঁড়ালাম। প্যান্ট টেনে তুলে হুড়মুড়িয়ে রাস্তায় উঠে এসে দেখি গোগোল একটা পাথরের ওপরে বসে মোবাইলে কিছু করছে।
“একদমই সিগনাল নেই কাকীমা, কাকুকে ফোন করে বলব ভাবছিলাম আমাদের দেরি হবে, পাওয়াই যাচ্ছে না”। “শোন না গোগোল” একটু লজ্জা পেয়েই বললাম “আমি একটু টয়লেট যাব, বেশ আর্জেন্ট, তুই একটু দাঁড়াবি? কখন কে এসে যায়”। গোগোলের চোখের চমক আমার চোখ এড়ালো না.... “এই যে গেলে?” আমি বললাম “তু চল একটু, লোকজন কখন কে এসে যায়, দাঁড়াবি একটু”। “হ্যাঁ চল”... গোগোলকে সঙ্গে করে আমি আবার সেই সমান জায়গাটায় নেমে এলাম।