20-09-2021, 11:51 AM
‘আরো আছে। এখানকার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি তোমার মাকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হবে বলে নোটিস পাঠিয়েছিল, যাতে তাঁর কারাবাস পর্যন্তও হতে পারতো। যেদিন উনি সুইসাইড করলে, সেদিনই এই চিঠিটা এসেছিল মনে হয়’, বাবার বিজনেস পার্টনার ও তাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের সাথী ওট্টো শ্মিট, ট্রেসিকে জানালো। শ্মিট ছোটবেলা থেকে ট্রেসিকে দেখছে। ট্রেসিও তার কোলে পীঠে করে বড় হয়েছে। তাই বাবার মৃত্যুর পর এই শ্মিট স্বজনের মত তাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মায়ের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই কারখানাটাকে বড় করে তোলার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য।
শুনতে শুনতে অনুপায় রাগ যেন সমুদ্রের ঢেউএর মত আছড়ে আছড়ে পড়তে লাগল ট্রেসির মাথার মধ্যে। ‘কেন? মা পুরো ঘটনাটা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নিকে জানালেই তো সব মিটে যেত?’
শ্মিট ঘাড় নেড়ে বলল, ‘না। সেটা সম্ভব নয়। আসলে পুরো ব্যাপারটাই জো রোম্যানোর সাজানো। এটা তারই পরিকল্পনা। এভাবে আগেও অনেক কোম্পানীর এই হাল করে ছেড়েছে সে। কেউ তার বিরুদ্ধে আঙুল পর্যন্ত তুলতে সাহস করে নি। কারন তার মাথার ওপর অ্যান্থনি ওরাসত্তির হাত রয়েছে। তোমার মা যদি তাকে আদালত অবধি টেনেও নিয়ে যেত, তাও উনি কিচ্ছু করতে পারতেন না। বরং বহু বছর লেগে যেত কেসটা সলভ করতে। আর তোমার মায়ের সে সামর্থও ছিল না কেসটা ততদিন অবধি টেনে নিয়ে যাওয়ার।’
‘কিন্তু মা আমাকে কেন একবার জানালো না?’ নিদারুণ মনস্তাপে চোখে জল এসে গেল ট্রেসির।
‘তোমার মা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আর তা ছাড়া তুমিই বা কি করতে? কারুর কিছু করা সম্ভব ছিল না।’
ভুল। ছিল, করার ছিল, আমার... রাগে কপালের শিরাগুলো দপ দপ করছে মনে হল তার। ‘আমাকে শুধু বলে দিন এই জো রোম্যানোকে কোথায় পাবো? তার সাথে আমি দেখা করতে চাই।’
‘ভুলে যাও তার কথা... তোমার জোয়ের সাথে টক্কর নেওয়া কোন ছেলেখেলা ব্যাপার নয়। অসম্ভব ক্ষমতাশালী লোক সে’, দ্যর্থহীন ভাষায় ট্রেসিকে জানালো শ্মিট।
‘জো কোথায় থাকে শ্মিট?’ কঠিন স্বরে আবার প্রশ্ন করল ট্রেসি। বৃদ্ধের বুঝতে অসুবিধা হল না যে ট্রেসি জোয়ের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্তে অবিচল আজ। খানিক চুপ করে থেকে সে বলল, ‘জ্যাকসন স্কোয়ারের কাছেই, একটা এস্টেটে।’ বলেই পরক্ষনেই সে তাকে নিরস্ত করার জন্য ফের বলে উঠল, ‘কিন্তু আমি বলছি ট্রেসি, তার সাথে দেখা করার কোন দরকার নেই। ওখানে গিয়ে কিচ্ছু হবে না, বিশ্বাস করো আমায়।’
ট্রেসি কোন উত্তর করলো না। সেই মুহুর্তে তার অন্তরাত্মা ঘৃণায় ভরে উঠেছে... যা তার চারিত্রিক বৈশিষ্টের একদমই পরিপন্থি। এর শেষ দেখতে চায় সে। তার মায়ের মৃত্যুর দাম জো কে দিতে হবে, দিতেই হবে... ছাড়বে না সে কিছুতেই... মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল ট্রেসি।
শুনতে শুনতে অনুপায় রাগ যেন সমুদ্রের ঢেউএর মত আছড়ে আছড়ে পড়তে লাগল ট্রেসির মাথার মধ্যে। ‘কেন? মা পুরো ঘটনাটা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নিকে জানালেই তো সব মিটে যেত?’
শ্মিট ঘাড় নেড়ে বলল, ‘না। সেটা সম্ভব নয়। আসলে পুরো ব্যাপারটাই জো রোম্যানোর সাজানো। এটা তারই পরিকল্পনা। এভাবে আগেও অনেক কোম্পানীর এই হাল করে ছেড়েছে সে। কেউ তার বিরুদ্ধে আঙুল পর্যন্ত তুলতে সাহস করে নি। কারন তার মাথার ওপর অ্যান্থনি ওরাসত্তির হাত রয়েছে। তোমার মা যদি তাকে আদালত অবধি টেনেও নিয়ে যেত, তাও উনি কিচ্ছু করতে পারতেন না। বরং বহু বছর লেগে যেত কেসটা সলভ করতে। আর তোমার মায়ের সে সামর্থও ছিল না কেসটা ততদিন অবধি টেনে নিয়ে যাওয়ার।’
‘কিন্তু মা আমাকে কেন একবার জানালো না?’ নিদারুণ মনস্তাপে চোখে জল এসে গেল ট্রেসির।
‘তোমার মা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। আর তা ছাড়া তুমিই বা কি করতে? কারুর কিছু করা সম্ভব ছিল না।’
ভুল। ছিল, করার ছিল, আমার... রাগে কপালের শিরাগুলো দপ দপ করছে মনে হল তার। ‘আমাকে শুধু বলে দিন এই জো রোম্যানোকে কোথায় পাবো? তার সাথে আমি দেখা করতে চাই।’
‘ভুলে যাও তার কথা... তোমার জোয়ের সাথে টক্কর নেওয়া কোন ছেলেখেলা ব্যাপার নয়। অসম্ভব ক্ষমতাশালী লোক সে’, দ্যর্থহীন ভাষায় ট্রেসিকে জানালো শ্মিট।
‘জো কোথায় থাকে শ্মিট?’ কঠিন স্বরে আবার প্রশ্ন করল ট্রেসি। বৃদ্ধের বুঝতে অসুবিধা হল না যে ট্রেসি জোয়ের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্তে অবিচল আজ। খানিক চুপ করে থেকে সে বলল, ‘জ্যাকসন স্কোয়ারের কাছেই, একটা এস্টেটে।’ বলেই পরক্ষনেই সে তাকে নিরস্ত করার জন্য ফের বলে উঠল, ‘কিন্তু আমি বলছি ট্রেসি, তার সাথে দেখা করার কোন দরকার নেই। ওখানে গিয়ে কিচ্ছু হবে না, বিশ্বাস করো আমায়।’
ট্রেসি কোন উত্তর করলো না। সেই মুহুর্তে তার অন্তরাত্মা ঘৃণায় ভরে উঠেছে... যা তার চারিত্রিক বৈশিষ্টের একদমই পরিপন্থি। এর শেষ দেখতে চায় সে। তার মায়ের মৃত্যুর দাম জো কে দিতে হবে, দিতেই হবে... ছাড়বে না সে কিছুতেই... মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল ট্রেসি।