20-09-2021, 11:49 AM
লেফট্যানেন্ট মিলার, মধ্য বয়স্ক, পোড় খাওয়া অফিসার একজন। দেখলেই বোঝা যায় তার নিজের কর্মসেবার প্রতি সে যথেষ্ট বিরক্ত। ‘সরি, মিস হুইটনি, আপনাকে নিতে আমি এয়ারপোর্টে যেতে পারি নি। পুরো শহরটাই যেন পাগল হয়ে গেছে। এই অবস্থায়...। যাই হোক, আমরা আপনার মায়ের জিনিস পত্র থেকে বুঝেছি যে আপনাকেই শুধু ফোন করলে হবে, তাই আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছি।’
‘লেফট্যানেন্ট মিলার, আপনি বলতে পারেন, কি... কি হয়েছিল আমার মায়ের? উনি মারা গেলেন কি করে?’
‘সুইসাইড করেছিলেন উনি,’ প্রায় ভাবলেশহীন মুখে উত্তর দিল মিলার।
একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল ট্রেসির শরীরের মধ্য দিয়ে। ‘অ... অসম্ভব! মা নিজেকে কেন মেরে ফেলবে? তার তো কোন কষ্ট বা সমস্যা ছিল না জীবনে? তাহলে?’
‘উনি আপনার জন্য একটা চিঠি রেখে গেছে...’ বলে মিলার একটা কাগজের লেফাপা তুলে দিল ট্রেসির হাতে।
******
সাদা কোট পরা একজন অ্যাটেন্ডেন্ট ট্রেসিকে নিয়ে হীম শীতল মর্গের লম্বা করিডর দিয়ে পথ দেখিয়ে নিয়ে এল প্রায় শেষ প্রান্তে। এসে দেওয়ালের দিকে সার দিয়ে রাখা একটা ড্রয়ারের হাতল ধরে টান দিয়ে ট্রেয়েটাকে খানিকটা বের করে খুলে ধরল ট্রেসির সামনে... ‘দেখবেন?’ নিরশ কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ে দিল।
না! দেখতে চাই না ওই প্রাণহীন দেহটাকে। তার মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে এখান থেকে বেরিয়ে চলে যেতে। ফিরে যেতে কয়একঘন্টা আগের সময়ে, যখন আগুন লাগার পাগলা ঘন্টিটা বাজছিল তাড়স্বরে। ওটা যদি টেলিফোনের শব্দ না হয়ে সত্যিকারের আগুনের পাগলা ঘন্টি হত, সেটাই ভালো হতো যেন। অন্তত মা তো বেঁচে থাকতো! এক পা দু পা করে এগিয়ে গেল খুলে রাখা ট্রেয়ের দিকে। ভেতরটা চিৎকার করে বারন করছে আর না এগুতে। ধীরে ধীরে চোখ নামিয়ে তাকালো ভেতরে শুয়ে থাকা প্রাণহীন শরীরটার দিকে। তার মা, যে তাকে জন্ম দিয়েছে, ছোট্ট বেলা থেকে খাইয়েছে, আদর করেছে, মানুষ করেছে। সেই মা শুয়ে রয়েছে... ঠান্ডা শরীরটা নিয়ে। সামান্য ঝুঁকে গালটাকে মায়ের গালে ছোঁয়ালো সে। মৃত্যুশীতল মায়ের গালটাতে একটা চুমু খেলো। বিড় বিড় করে বলে উঠল, ‘মা, মা গো, কেন করলে মা? কেন এমন করে নিজেকে শেষ করে দিলে, আমাকে একটি বারও জানালে না তার আগে?’
‘বডির ময়না তদন্ত করতে হবে... এটাই নিয়ম সুইসাইড কেসের’ পাশ থেকে ব্যাজার মুখে জানালো লোকটি।
ট্রেসি প্রয়োজনীয় কাগজে সই করে বেরিয়ে এল মর্গ থেকে।
মায়ের চিঠিটা বারংবার পড়েও নিজের মনের কোন উত্তর পেলনা সে।
ছোট্ট একটা চিঠি...
‘প্রিয় ট্রেসি,
আমাকে ক্ষমা করিস। আমি হেরে গেলাম। আমি চাই না তোর ওপর বোঝা হতে, তাই এটাই সঠিক রাস্তা বলে মনে হল।
আমি তোকে ভিষন ভালোবাসি সোনা।
মা’
‘উফফফফ, ভগবান...’
******
‘লেফট্যানেন্ট মিলার, আপনি বলতে পারেন, কি... কি হয়েছিল আমার মায়ের? উনি মারা গেলেন কি করে?’
‘সুইসাইড করেছিলেন উনি,’ প্রায় ভাবলেশহীন মুখে উত্তর দিল মিলার।
একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল ট্রেসির শরীরের মধ্য দিয়ে। ‘অ... অসম্ভব! মা নিজেকে কেন মেরে ফেলবে? তার তো কোন কষ্ট বা সমস্যা ছিল না জীবনে? তাহলে?’
‘উনি আপনার জন্য একটা চিঠি রেখে গেছে...’ বলে মিলার একটা কাগজের লেফাপা তুলে দিল ট্রেসির হাতে।
******
সাদা কোট পরা একজন অ্যাটেন্ডেন্ট ট্রেসিকে নিয়ে হীম শীতল মর্গের লম্বা করিডর দিয়ে পথ দেখিয়ে নিয়ে এল প্রায় শেষ প্রান্তে। এসে দেওয়ালের দিকে সার দিয়ে রাখা একটা ড্রয়ারের হাতল ধরে টান দিয়ে ট্রেয়েটাকে খানিকটা বের করে খুলে ধরল ট্রেসির সামনে... ‘দেখবেন?’ নিরশ কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ে দিল।
না! দেখতে চাই না ওই প্রাণহীন দেহটাকে। তার মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে এখান থেকে বেরিয়ে চলে যেতে। ফিরে যেতে কয়একঘন্টা আগের সময়ে, যখন আগুন লাগার পাগলা ঘন্টিটা বাজছিল তাড়স্বরে। ওটা যদি টেলিফোনের শব্দ না হয়ে সত্যিকারের আগুনের পাগলা ঘন্টি হত, সেটাই ভালো হতো যেন। অন্তত মা তো বেঁচে থাকতো! এক পা দু পা করে এগিয়ে গেল খুলে রাখা ট্রেয়ের দিকে। ভেতরটা চিৎকার করে বারন করছে আর না এগুতে। ধীরে ধীরে চোখ নামিয়ে তাকালো ভেতরে শুয়ে থাকা প্রাণহীন শরীরটার দিকে। তার মা, যে তাকে জন্ম দিয়েছে, ছোট্ট বেলা থেকে খাইয়েছে, আদর করেছে, মানুষ করেছে। সেই মা শুয়ে রয়েছে... ঠান্ডা শরীরটা নিয়ে। সামান্য ঝুঁকে গালটাকে মায়ের গালে ছোঁয়ালো সে। মৃত্যুশীতল মায়ের গালটাতে একটা চুমু খেলো। বিড় বিড় করে বলে উঠল, ‘মা, মা গো, কেন করলে মা? কেন এমন করে নিজেকে শেষ করে দিলে, আমাকে একটি বারও জানালে না তার আগে?’
‘বডির ময়না তদন্ত করতে হবে... এটাই নিয়ম সুইসাইড কেসের’ পাশ থেকে ব্যাজার মুখে জানালো লোকটি।
ট্রেসি প্রয়োজনীয় কাগজে সই করে বেরিয়ে এল মর্গ থেকে।
মায়ের চিঠিটা বারংবার পড়েও নিজের মনের কোন উত্তর পেলনা সে।
ছোট্ট একটা চিঠি...
‘প্রিয় ট্রেসি,
আমাকে ক্ষমা করিস। আমি হেরে গেলাম। আমি চাই না তোর ওপর বোঝা হতে, তাই এটাই সঠিক রাস্তা বলে মনে হল।
আমি তোকে ভিষন ভালোবাসি সোনা।
মা’
‘উফফফফ, ভগবান...’
******