20-09-2021, 09:53 AM
গোগোলের ঠোঁট থেকে হাতটা সরিয়ে নিলাম কারন রেস্টুরেন্টের জানলা দিয়ে দেখতে পাচ্ছি সঞ্জয় এদিকেই আসছে। “হল খাওয়া? চল, গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে”। সঞ্জয়ের তাড়ায় কোনোমতে খাওয়া শেষ করে গাড়িতে এসে উঠলাম। গাড়ির দিকে হাঁটতে হাঁটতে দুবার মুচকি হেসে গোগোলের দিকে তাকালাম। দুবারই দেখলাম ও-ও হাসিটা ফেরত দিল। বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছি কি? ফেললেই বা ক্ষতি কি? আমি আর গোগোল গাড়ির পেছনের সিটে, সঞ্জয় সামনের সিটে। গাড়ি চলতে শুরু করলে সঞ্জয় পেছন দিকে আধফেরা হয়ে বলতে শুরু করল “ওকে গাইজ” ... বিরক্তিকর। প্রত্যেকটা ট্রিপে আসার আগে ইন্টারনেট থেকে গাদাগাদা পড়াশুনো করে আসবে সেই জায়গাটার বিষয়ে আর পৌঁছনো মাত্র ব্যাকরব্যাকর শুরু হয়ে যাবে। বিয়ের পরপর ভালো লাগতো, মনে হতো কত কি জানে, এখন বিরক্ত লাগে। - “ওকে গাইজ, আজ আমরা যাচ্ছি একটা ছোটো ট্রেকে। এখান থেকে গাড়িতে কয়েক কিলোমিটার গিয়ে একটা ছোটো গ্রামে গাড়িটা থাকবে, আমরা সেখান থেকে ট্রেক শুরু করব। এটাকে ট্রেক না বলে হাইক বলাই ভালো, কাছের একটা পাহাড়ের মাথায় উঠব। ঘন্টা দুই-আড়াই লাগার কথা উঠতে। এখন বাজে প্রায় পৌনে দশটা, এগারোটা নাগাত হাঁটা শুরু করলে একটা-দেড়টা নাগাত ওপরে পৌঁছে যাওয়া উচিত। ওপরে একটা রেস্টুরেন্ট আছে বলে শুনেছি, সেখানে দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিয়ে আড়াইটের মধ্যে নামা শুরু করলে পাঁচটার আগেই গাড়িতে পৌঁছে যাওয়া উচিত”।
- “আমার ট্রেক করতে একদম ভালো লাগে না, খালি হাঁটা। ওপরে গাড়ি যায় না?” গোগোলের আইডিয়াটা ভালো লাগেনি। পাঁচ ঘন্টা হাঁটতে হবে এটা বোধহয় ও এক্সপেক্ট করেনি। আমার পাহাড়ে হাঁটতে মন্দ লাগে না। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সাথের বিস্তর ট্রেকিং করেছি। সঞ্জয় এখনো রেগুলারলি করে, আমিও যাই মাঝে মাঝে, সময় পেলে। আর ওর ট্রেকিং এর গ্রুপের বন্ধুদের আমার পছন্দ হয়না বিশেষ।
- “আরে তুই বলছিস ট্রেক করতে ভালো লাগে না? তুই না তোর কলেজের আউটডোর ক্লাবের প্রেসিডেন্ট?” সঞ্জয় হাসতে হাসতে বলল।
- “সেজন্যই তো ভাল্লাগে না। মনে হয় কলেজ থেকে এসেছি। আমি তো ছুটি কাটাতে এসেছি। এমন কিচ্ছু করবো না যেটা কলেজে করতে হয়”।
- “তুই তো তোর কলেজের বন্ধুদের সাথে আসিস নি, কাকু-কাকীমার সাথে এসেছিস। এটা অন্যরকম। ওপর থেকে যখন দারুন ভিউ দেখবি না, দেখবি মন ফাটাফাটি ভালো হয়ে গেছে”।
- “আচ্ছা, দেখা যাক”। গোগোলের ব্যাপারটা মোটেই মনে যে ধরেনি, সেটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
- “আরে, তুই না থাকলে ট্রেকটাই হবে না” হইহই করে উঠল সঞ্জয় “আমি হয়তো তোদের আগেই ওপরে উঠে যাবো। তুই সেরকম হলে লীনাকে (আমার ডাকনাম) নিয়ে আস্তে আস্তে আসিস। তোদের স্পিডে চললে রাত কাবার হয়ে যাবে। আমি উঠে টেন্ট সেট-আপ করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাবস্থা করে ফেলবো, যাতে তোরা এসেই গরম গরম খাবার পাস। তারপরে টেন্টে ঢুকে খেতে খেতে পাহাড় দেখা, আহা!”
- “হম্*ম্*ম...”
- “আমার ট্রেক করতে একদম ভালো লাগে না, খালি হাঁটা। ওপরে গাড়ি যায় না?” গোগোলের আইডিয়াটা ভালো লাগেনি। পাঁচ ঘন্টা হাঁটতে হবে এটা বোধহয় ও এক্সপেক্ট করেনি। আমার পাহাড়ে হাঁটতে মন্দ লাগে না। কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সাথের বিস্তর ট্রেকিং করেছি। সঞ্জয় এখনো রেগুলারলি করে, আমিও যাই মাঝে মাঝে, সময় পেলে। আর ওর ট্রেকিং এর গ্রুপের বন্ধুদের আমার পছন্দ হয়না বিশেষ।
- “আরে তুই বলছিস ট্রেক করতে ভালো লাগে না? তুই না তোর কলেজের আউটডোর ক্লাবের প্রেসিডেন্ট?” সঞ্জয় হাসতে হাসতে বলল।
- “সেজন্যই তো ভাল্লাগে না। মনে হয় কলেজ থেকে এসেছি। আমি তো ছুটি কাটাতে এসেছি। এমন কিচ্ছু করবো না যেটা কলেজে করতে হয়”।
- “তুই তো তোর কলেজের বন্ধুদের সাথে আসিস নি, কাকু-কাকীমার সাথে এসেছিস। এটা অন্যরকম। ওপর থেকে যখন দারুন ভিউ দেখবি না, দেখবি মন ফাটাফাটি ভালো হয়ে গেছে”।
- “আচ্ছা, দেখা যাক”। গোগোলের ব্যাপারটা মোটেই মনে যে ধরেনি, সেটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
- “আরে, তুই না থাকলে ট্রেকটাই হবে না” হইহই করে উঠল সঞ্জয় “আমি হয়তো তোদের আগেই ওপরে উঠে যাবো। তুই সেরকম হলে লীনাকে (আমার ডাকনাম) নিয়ে আস্তে আস্তে আসিস। তোদের স্পিডে চললে রাত কাবার হয়ে যাবে। আমি উঠে টেন্ট সেট-আপ করে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাবস্থা করে ফেলবো, যাতে তোরা এসেই গরম গরম খাবার পাস। তারপরে টেন্টে ঢুকে খেতে খেতে পাহাড় দেখা, আহা!”
- “হম্*ম্*ম...”