17-09-2021, 12:02 PM
(This post was last modified: 17-09-2021, 12:14 PM by Baban. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(17-09-2021, 08:10 AM)Bichitravirya Wrote: এখানে আমার কিছু বলতে ইচ্ছা হচ্ছে.... এটা আলাদা ব্যাপার যে আমি সব জায়গায় নাক গলাই...
কথাটা হলো... মনের পুষ্টির জন্য লেখা আর মন দিয়ে লেখা... দুটো কি খুব আলাদা ?
লেখা, আঁকা , গান গাওয়া, নাচা যাই হোক সেটা মন দিয়ে করতে হয়। এগুলো তে কি মনের পুষ্টি হয় না?
লেখা সে ইরোটিক হোক কি শিশুসাহিত্য... আঁকা সে প্রকৃতির হোক কিংবা এক নগ্ন মেয়ের... ফটোগ্রাফ সে পশু পাখির হোক কিংবা এক অর্ধউলঙ্গ মেয়ের ... এই সবই তো লেখক, পেন্টার, ফটোগ্রাফার মনের পুষ্টির জন্য করে।
বুম্বাদা শ্রীতমা লেখার সময় মন না দিলে শ্রীতমা এক সামান্য গৃহবধূ থেকে অতোটা সাহসী চরিত্রে কি পরিনত হতে পারতো ? এতে কি মনের পুষ্টি নেই?
বাবান দা সুপ্রিয়া লেখার সময় সুপ্রিয়ার চরিত্র যেভাবে বদলেছেন সেটা মন না থাকলে কি হতো?
নাকি শুধু মাত্র কোন লেখক তার ছোটবেলা নিয়ে লেখে, ছোটদের জন্য লেখে , নন-ইরোটিক লেখে , লেখার মধ্যে দিয়ে একটা বার্তা দিতে চায় তখনই সেটা থেকে সে মনের পুষ্টি পায়?
❤❤❤
বুম্বাদা উত্তর দিয়েই দিয়েছে.. আমি এইটুকুই বলবো...... দুটো আলাদা ব্যাপার. অবশ্যই দুটোতেই মনের প্রয়োজন পড়ে. সেটি না থাকলে গল্প আর গল্প থাকেনা পাতি চটি হয়ে যায়. আমি বা বুম্বাদা চাইলেই প্রথম বা দ্বিতীয় পর্বেই যৌন দৃশ্য ও নোংরা গালিগালাজে ভরিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু তাতে গল্পের সাথে সঠিক বিচার হতোনা.. তাই মন দিয়ে ভেবে নানারকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এগিয়ে যেতে হয়েছে... তা সেই পরিস্থিতি আমরা নিজেরা পছন্দ করি বা নাই করি.
আচ্ছা বলোতো একজন অভিনেতা যখন ফিল্মে ভিলেন হয়ে খুন করে বা ;., করে.... মানে সেকি সত্যিই তাই নাকি? সেটা তো অভিনয়.. নকল... সে মোটেই ওসব করতে চায়না.. কিন্তু নিজের কাজের ক্ষেত্রে একদম অসাধারণ ভাবে সেই শয়তানকে ফুটিয়ে তোলে পর্দায়..... মন দিয়ে না করলে সে পারতো ওসব সিন্ করতে?
এবারে বলি অনেকেই তো ডাইরি লেখে...... তা সেকি ওগুলো লিখে প্রকাশিত করে সবাইকে দেখায়? মোটেও নয়... ওই লেখা তার ব্যাক্তিগত. তার একান্ত নিজের. কিন্তু সেখানেও সে নিজের সাথে সৎ. মনের সব কিছুই পাতায় উজাড় করে দেয়. তাতেই সে পায় সুখ. নিজের মনের পুষ্টির জন্য এই ডাইরি লেখা. ঠিক তেমনি আমি বা বুম্বাদা বা আমাদের মতো যারা লেখেন.. তারা দুপক্ষের জন্যই অর্থাৎ পাঠক ও নিজের জন্য লেখে. এতে পাঠকের ভালোবাসাও যেমন বৃদ্ধি পায় আবার কিছু গল্প নিজের জন্য লিখে নিজের মুখেও হাসি ফোটে ❤
ছোটবেলায় আমি ছবি আঁকা শিখেছিলাম বা যারা শেখে তারা কি বড়ো হয়ে ছবি বিক্রি করবো বলে ভেবে শেখে ? দুটোতেই তো মনের প্রয়োজন.
আমি শিখেছিলাম বা আমার মতন যারা শিখেছিলো তারা শিখেছিলো নিজের জন্য.... ছোটবেলায় উল্টোপাল্টা আঁকতাম, তারপরে হাত আরও ভালো হলো.. আঁকার মান বাড়লো.... তা দেখে যে হাসি ফুটতো.. তা নিজের জন্য... ভবিষ্যতে আদোও আর আঁকতে পারবো কিনা সেসব মাথাতেও ছিলোনা.
মন দিয়ে কিছু করা আর মনের জন্য কিছু করা... দুই এইভাবে আলাদা.