10-09-2021, 12:06 PM
ব্লাউজ
ভাবী সবুজ তো এই বন্ধের কয়েকটা দিন, আমার সুমন রে পড়া টা দেখাইতে পারে, ওরে আমি আসা যাওয়ার খরচ আর ভার্সিটির বই কিনার টাকা দিমুনে।
আমি আমার কুড়ে ঘরের ছোট্ট খুপড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম, রোজী চাচীর গলা।অনেক্ষন ধরে মনে হয় এসেছে, মার সেলাই মেশিন এর ঘর ঘর শব্দ আর খুট খুট করে তাদের কথা আধো জাগরনে শুনছিলাম।
অনেক সংগ্রাম করে আমাকে আমার পড়াশোনা করতে হচ্ছে, এক তো বাবা মারা গিয়েছিল আমাদের পাঁচ ভাইবোন কে রেখে, সেখানে আমার বড় ভাই এর সরকারির অফিসের কেরানীর চাকুরী ও আমার মায়ের পাড়ার বিভিন্ন বাসায় কাপড় শিলাই ও পোশাক বানিয়ে আর আমাদের বাড়িতে হাস মুরগী পালন হতে সামান্য ইনকাম দিয়ে আমাদের সংসার চলেছ। এহেন সংসারে তাই আমাকে চরম আর্থিক কষ্ঠে লেখাপড়া করতে হচ্ছে ক্লাসের সতীর্থ ও একদুই ক্লাস নীচের ছেলেদের কে পড়িয়ে টিউশনির আয় দিয়ে। ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিলাম, এটাই ছিল আমার মায়ের শত কষ্টের মাঝেও গর্ব।
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল, শব্দ করে আড় মোড়া দিলাম, মনে হয় মা আমার হাই তোলা ও আড়মোড়ার শব্দ পেলেন।
সবুজ উঠছস রে ?? দেখ কেডা আইছে তর লগে কথা কইব রে।
আমি হাত দিয়ে চোখ মুছে, চোখের ময়লা আছে কিনা পরিষ্কার করে চেক শার্ট টা গায়ে চরাতে চরাতে রুম থেকে বের হলাম, লুঙ্গিপড়া আমার। আমার শার্ট পরতে দেখে মা জিজ্ঞ্যেস করল।
কিরে কই যাইবি ??
না না।
ও শরম পাইছে ভাবী। -রোজী চাচী হাসতে লাগল, আমি সালাম দিলাম, সুন্দর ফরসা পান খাওয়া মুখটা। মা সেলাই মেশিনের টেবিলে আর চাচী মার সামনে মোড়া নিয়া বসছে। সুন্দর ভরাট একটা শরীর সুতী আট পৌড়ে কাপড় দিয়ে ঢাকা। ভারী নিতম্ব ও চওড়া পিঠ স্পস্ট।
ওই তুই তর চাচীর পুলাডা, সুমন রে একটু দেহাইস তো। বাড়ীতে তো বলে থাকবি মাস খানেক।
সবুজ এই কয়দিন আমার পুলাডারে একটু দেখাও না, অয় এইটে পড়ে কিন্তু পড়ায় কোন মনোযযোগ নাই, খালি ফাকি মারে আর খেলা। অঙ্কে দুর্বল তুমি একটু ওরে দেখাও না।
কোন সময় ??
তোমার যখন সুবিধা ।
আমি তো চাচী সারাদিন টাউনে থাকি, আগের কিছু ছাত্র আছে হেগোরে দেখানো লাগে। তো আমি যদি সন্ধ্যার পরে আসি সমস্যা আছে ?? সন্ধ্যা বলতে ভালো সন্ধ্যা, বলতে পারেন আটটার মত বাজব।
কোন সমস্যা নাই।
কিরে অত রাইতে গিয়া ফিরবি কোন সময়। মা জিগ্যেস করলো।
ভাবী ওর আইতে সমস্যা হইলে সুমনের লগে রাতে থাইক্যা যাইবো। আমার এইখানে খাইবো। অয় তো আমার আরেকটা পুলার মত, বয়স ত রুমন এর চেয়েও কম।
হ হেইডাই ভালো হইবো। মা কি জানি মনে করে বলল তা আমার বোধগম্য হলো না, হয়তো আমার মা ভেবেছে এই কষ্টের মধ্যেও যদি ছেলেটা একটু ভালো খেয়ে বাড়িতে থাকতে পারে পারে। মন্দ হবে না।
তাইলে সবুজ আজকে আইসা পইর। ভাবী আমি যাই। এইবার কিন্তু গলা বড় দিবেন আর বিয়াল্লিশ কইরেন।
ভাবী সবুজ তো এই বন্ধের কয়েকটা দিন, আমার সুমন রে পড়া টা দেখাইতে পারে, ওরে আমি আসা যাওয়ার খরচ আর ভার্সিটির বই কিনার টাকা দিমুনে।
আমি আমার কুড়ে ঘরের ছোট্ট খুপড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম, রোজী চাচীর গলা।অনেক্ষন ধরে মনে হয় এসেছে, মার সেলাই মেশিন এর ঘর ঘর শব্দ আর খুট খুট করে তাদের কথা আধো জাগরনে শুনছিলাম।
অনেক সংগ্রাম করে আমাকে আমার পড়াশোনা করতে হচ্ছে, এক তো বাবা মারা গিয়েছিল আমাদের পাঁচ ভাইবোন কে রেখে, সেখানে আমার বড় ভাই এর সরকারির অফিসের কেরানীর চাকুরী ও আমার মায়ের পাড়ার বিভিন্ন বাসায় কাপড় শিলাই ও পোশাক বানিয়ে আর আমাদের বাড়িতে হাস মুরগী পালন হতে সামান্য ইনকাম দিয়ে আমাদের সংসার চলেছ। এহেন সংসারে তাই আমাকে চরম আর্থিক কষ্ঠে লেখাপড়া করতে হচ্ছে ক্লাসের সতীর্থ ও একদুই ক্লাস নীচের ছেলেদের কে পড়িয়ে টিউশনির আয় দিয়ে। ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিলাম, এটাই ছিল আমার মায়ের শত কষ্টের মাঝেও গর্ব।
আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল, শব্দ করে আড় মোড়া দিলাম, মনে হয় মা আমার হাই তোলা ও আড়মোড়ার শব্দ পেলেন।
সবুজ উঠছস রে ?? দেখ কেডা আইছে তর লগে কথা কইব রে।
আমি হাত দিয়ে চোখ মুছে, চোখের ময়লা আছে কিনা পরিষ্কার করে চেক শার্ট টা গায়ে চরাতে চরাতে রুম থেকে বের হলাম, লুঙ্গিপড়া আমার। আমার শার্ট পরতে দেখে মা জিজ্ঞ্যেস করল।
কিরে কই যাইবি ??
না না।
ও শরম পাইছে ভাবী। -রোজী চাচী হাসতে লাগল, আমি সালাম দিলাম, সুন্দর ফরসা পান খাওয়া মুখটা। মা সেলাই মেশিনের টেবিলে আর চাচী মার সামনে মোড়া নিয়া বসছে। সুন্দর ভরাট একটা শরীর সুতী আট পৌড়ে কাপড় দিয়ে ঢাকা। ভারী নিতম্ব ও চওড়া পিঠ স্পস্ট।
ওই তুই তর চাচীর পুলাডা, সুমন রে একটু দেহাইস তো। বাড়ীতে তো বলে থাকবি মাস খানেক।
সবুজ এই কয়দিন আমার পুলাডারে একটু দেখাও না, অয় এইটে পড়ে কিন্তু পড়ায় কোন মনোযযোগ নাই, খালি ফাকি মারে আর খেলা। অঙ্কে দুর্বল তুমি একটু ওরে দেখাও না।
কোন সময় ??
তোমার যখন সুবিধা ।
আমি তো চাচী সারাদিন টাউনে থাকি, আগের কিছু ছাত্র আছে হেগোরে দেখানো লাগে। তো আমি যদি সন্ধ্যার পরে আসি সমস্যা আছে ?? সন্ধ্যা বলতে ভালো সন্ধ্যা, বলতে পারেন আটটার মত বাজব।
কোন সমস্যা নাই।
কিরে অত রাইতে গিয়া ফিরবি কোন সময়। মা জিগ্যেস করলো।
ভাবী ওর আইতে সমস্যা হইলে সুমনের লগে রাতে থাইক্যা যাইবো। আমার এইখানে খাইবো। অয় তো আমার আরেকটা পুলার মত, বয়স ত রুমন এর চেয়েও কম।
হ হেইডাই ভালো হইবো। মা কি জানি মনে করে বলল তা আমার বোধগম্য হলো না, হয়তো আমার মা ভেবেছে এই কষ্টের মধ্যেও যদি ছেলেটা একটু ভালো খেয়ে বাড়িতে থাকতে পারে পারে। মন্দ হবে না।
তাইলে সবুজ আজকে আইসা পইর। ভাবী আমি যাই। এইবার কিন্তু গলা বড় দিবেন আর বিয়াল্লিশ কইরেন।