09-09-2021, 04:15 PM
২০০৩ কলকাতা দুর্গাপুজো.
উত্সবের আনন্দে মজে উঠেছে কলকাতা, আনন্দের ফোয়ারা বয়ে চলেছে বাঙালির মনে, আলোকসজ্জার মত চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে খুশি. দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা, রাস্তার দোকান থেকে, আলুকাবলি, ফুচকা, অস্থায়ী রোল কাউন্টার সাথে কোল্ড ড্রিংকসের বোতলের টুং টাং আওয়াজ, কলকাতা কে তিলোত্তমা করে তুলেছে. সারা বছরের নানা সুখ দু:খ ভুলে মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়. মন্ডপে মন্ডপে প্রতিযোগিতা আর টিভিতে লাইভ টেলিকাস্ট. সব মিলিয়ে এক মহাযজ্ঞ চলছে. সাথে নিয়ম সৃঙ্খলাও বড় দায়. কলকাতা পুলিশ এই কদিন সত্যি পুলিশ পুলিশ কাজ করে. নানারকম সেচ্ছা সেবকরা এগিয়ে আসে এই মহাযজ্ঞকে সুসম্পন্ন করতে.
আমিও দলবল নিয়ে আজ প্রতিজ্ঞা করেছি যে যত রাতই হোক আজ সাউথ থেকে নর্থে ঢু মারবই মারবো. আশা অনেক কম দেখতে পাচ্ছি বাড়ির কাছে যোধপুর পার্ক তাই রাত দশটা বাজে এখনো লাইন মাঝ পথে. এখনো একডালিয়া, সিংহী পার্ক, মুদিয়ালি, কত কি রয়েছে সাউথ কলকাতায়.
সুন্দরী নারীদের প্রতি আমি বরাবরই একটু দুর্বল. অন্য কিছু না দেখতে ভালো লাগে শুধু. গলদঘর্ম ভিড়ে তাই আমার সন্ধানী চোখগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছে সুন্দরী মেয়ে যাকে দেখে একটু সময় কাটতে পারে যে কিনা একটা বরফ পাতের মতন সিহরন তৈরী করতে পারে আমার মনে যাতে করে এই ভিশন গরমের হাত থেকে কিছুক্ষণ মুক্তি পাওয়া যায়.
একেতে পুজো তার ওপর সাউথ, একদমই অপেক্ষা করতে হোলোনা. সুন্দরী সুবেশা এবং একা একটি অষ্টাদশী সেলিমপুরের দিক থেকে হন্তদন্ত হয়ে আসছে. রাস্তা ক্রস করতে চাইলো, পুলিশের সেচ্ছাসেবকরা ওর পথ আটকালো. কিছুক্ষণ থমকে থেকে মেয়েটা পুলিশ টেনে ধরা দড়ির তোলা দিয়ে এক দৌড় অন্য ফুটে. পুলিশগুলো হা হা করে উঠলো, এই ভাবে রাস্তা পার করার জন্যে. মেয়েটা কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে বললো " মরলে আমি মরবো আপনাদের কি? বরঞ্চ দেখুন যাতে ভিড়ে কারো দম বন্ধ না হয়ে যায়. অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে? এই ভিড়ে কারো কিছু হলে হাসপাতাল নিয়ে যেতে পারবেন? বড় বড় হাবভাব দেখালেই হলো না?"
'বাপরে সেলিমপুরেও বাঘ, সরি বাঘিনী পাওয়া যায় নাকি?' নিজের মুখ থেকে অজান্তে বেরিয়ে এলো কথাটা. শুনে অনেকে হেসে উঠলো.
আমি যতদুর সম্ভব মেয়েটাকে দেখতে থাকলাম. দেখলাম মেয়েটা একটা ছেলের সামনে গিয়ে কিসব বলছে উত্তেজিত হয়ে, ছেলেটাও উত্তেজিত মনে হলো এরপর ছেলেটা হনহন করে একাই হাটতে শুরু করে দিলো. মেয়েটা প্রায় দৌড়ে দৌড়ে ওকে ফলো করছিলো. ওরা যোধপুর পার্ক বাজারের দিকে মিলিয়ে গেল. ওদিকে এতটা ভিড় ছিল না.
আমার কি ভাগ্য আবার মেয়েটার দেখা পেলাম যোধপুরপার্ক পুজো মন্ডপে এত তারাতারি ঢুকলো কি করে? আহা ছেলেটাও তো রয়েছে. ওহো ছেলেটা যোধপুরেরই মেম্বার তাই দুজনে ঘুর পথে তারাতারি ঢুকে পড়েছে. কিন্তু মেয়েটার মুখটা এরকম বিসাদ্গ্রস্থ কেন? আমি ওদের ফলো করে চললাম. মেয়েটা ছেলেটাকে কি একটা বললো ছেলেতা বাজে ভাবে রিয়াক্ট করলো. আমার মনে হচ্ছিল যে গিয়ে এক ঠাটিয়ে চোর কষায় ছেলেটাকে এত সুন্দরী একটা মেয়ে তোর পিছে পিছে ঘুরছে আর তুই শালা ভাও নিচ্ছিস?
মেয়েটা আর ওখানে না দাড়িয়ে ঘুরে চলে গেল ছেলেটা ঘুরেও দেখল না, মনে হচ্ছে যে মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল. ইস এমন পুজোর দিনে কেউ কাউকে কাঁদায়? আমি তো ভাবতেও পারিনা.
উত্সবের আনন্দে মজে উঠেছে কলকাতা, আনন্দের ফোয়ারা বয়ে চলেছে বাঙালির মনে, আলোকসজ্জার মত চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে খুশি. দীর্ঘ লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখা, রাস্তার দোকান থেকে, আলুকাবলি, ফুচকা, অস্থায়ী রোল কাউন্টার সাথে কোল্ড ড্রিংকসের বোতলের টুং টাং আওয়াজ, কলকাতা কে তিলোত্তমা করে তুলেছে. সারা বছরের নানা সুখ দু:খ ভুলে মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়. মন্ডপে মন্ডপে প্রতিযোগিতা আর টিভিতে লাইভ টেলিকাস্ট. সব মিলিয়ে এক মহাযজ্ঞ চলছে. সাথে নিয়ম সৃঙ্খলাও বড় দায়. কলকাতা পুলিশ এই কদিন সত্যি পুলিশ পুলিশ কাজ করে. নানারকম সেচ্ছা সেবকরা এগিয়ে আসে এই মহাযজ্ঞকে সুসম্পন্ন করতে.
আমিও দলবল নিয়ে আজ প্রতিজ্ঞা করেছি যে যত রাতই হোক আজ সাউথ থেকে নর্থে ঢু মারবই মারবো. আশা অনেক কম দেখতে পাচ্ছি বাড়ির কাছে যোধপুর পার্ক তাই রাত দশটা বাজে এখনো লাইন মাঝ পথে. এখনো একডালিয়া, সিংহী পার্ক, মুদিয়ালি, কত কি রয়েছে সাউথ কলকাতায়.
সুন্দরী নারীদের প্রতি আমি বরাবরই একটু দুর্বল. অন্য কিছু না দেখতে ভালো লাগে শুধু. গলদঘর্ম ভিড়ে তাই আমার সন্ধানী চোখগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছে সুন্দরী মেয়ে যাকে দেখে একটু সময় কাটতে পারে যে কিনা একটা বরফ পাতের মতন সিহরন তৈরী করতে পারে আমার মনে যাতে করে এই ভিশন গরমের হাত থেকে কিছুক্ষণ মুক্তি পাওয়া যায়.
একেতে পুজো তার ওপর সাউথ, একদমই অপেক্ষা করতে হোলোনা. সুন্দরী সুবেশা এবং একা একটি অষ্টাদশী সেলিমপুরের দিক থেকে হন্তদন্ত হয়ে আসছে. রাস্তা ক্রস করতে চাইলো, পুলিশের সেচ্ছাসেবকরা ওর পথ আটকালো. কিছুক্ষণ থমকে থেকে মেয়েটা পুলিশ টেনে ধরা দড়ির তোলা দিয়ে এক দৌড় অন্য ফুটে. পুলিশগুলো হা হা করে উঠলো, এই ভাবে রাস্তা পার করার জন্যে. মেয়েটা কোমরে হাত দিয়ে দাড়িয়ে বললো " মরলে আমি মরবো আপনাদের কি? বরঞ্চ দেখুন যাতে ভিড়ে কারো দম বন্ধ না হয়ে যায়. অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে? এই ভিড়ে কারো কিছু হলে হাসপাতাল নিয়ে যেতে পারবেন? বড় বড় হাবভাব দেখালেই হলো না?"
'বাপরে সেলিমপুরেও বাঘ, সরি বাঘিনী পাওয়া যায় নাকি?' নিজের মুখ থেকে অজান্তে বেরিয়ে এলো কথাটা. শুনে অনেকে হেসে উঠলো.
আমি যতদুর সম্ভব মেয়েটাকে দেখতে থাকলাম. দেখলাম মেয়েটা একটা ছেলের সামনে গিয়ে কিসব বলছে উত্তেজিত হয়ে, ছেলেটাও উত্তেজিত মনে হলো এরপর ছেলেটা হনহন করে একাই হাটতে শুরু করে দিলো. মেয়েটা প্রায় দৌড়ে দৌড়ে ওকে ফলো করছিলো. ওরা যোধপুর পার্ক বাজারের দিকে মিলিয়ে গেল. ওদিকে এতটা ভিড় ছিল না.
আমার কি ভাগ্য আবার মেয়েটার দেখা পেলাম যোধপুরপার্ক পুজো মন্ডপে এত তারাতারি ঢুকলো কি করে? আহা ছেলেটাও তো রয়েছে. ওহো ছেলেটা যোধপুরেরই মেম্বার তাই দুজনে ঘুর পথে তারাতারি ঢুকে পড়েছে. কিন্তু মেয়েটার মুখটা এরকম বিসাদ্গ্রস্থ কেন? আমি ওদের ফলো করে চললাম. মেয়েটা ছেলেটাকে কি একটা বললো ছেলেতা বাজে ভাবে রিয়াক্ট করলো. আমার মনে হচ্ছিল যে গিয়ে এক ঠাটিয়ে চোর কষায় ছেলেটাকে এত সুন্দরী একটা মেয়ে তোর পিছে পিছে ঘুরছে আর তুই শালা ভাও নিচ্ছিস?
মেয়েটা আর ওখানে না দাড়িয়ে ঘুরে চলে গেল ছেলেটা ঘুরেও দেখল না, মনে হচ্ছে যে মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল. ইস এমন পুজোর দিনে কেউ কাউকে কাঁদায়? আমি তো ভাবতেও পারিনা.