08-09-2021, 11:01 AM
সেই রাত সিমরণের জীবনের এক কঠিন রাত. মানুষটা নেই মন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা. বাঙালি মতে স্থানীয় স্বামীহারা বাঙালি মহিলারা এসে ওর আর সূর্যর বিয়ের সমস্ত চিহ্ন মুছে দিয়েছিলো. সাদা পোশাক পরে ও পাথর হয়ে বসেছিলো. নিথর দেহটাকে মেলানোর চেষ্টা করছিলো ওর চেনা সূর্যর সাথে. কিছুতেই মেলাতে পারছিলো না ও. ওই শরীর তা তো ওর খুব চেনা. ছোট্ট ছেলেটা বুকের মধ্যে মুখ গুজে কেঁদে চলেছে পাপা পাপা বলে। সারাসকাল লুকিয়ে রাখা গেলেও মুখে আগুন করার সময় ওকে সামনে আনতে হলো। নিজের চোখে দেখলো যে ঘুমন্ত পাপার দেহটা দাও দাও করে জলে উঠলো চন্দন কাঠের সাজান চিতায়। কি করে এই শিশুমনকে সিমরন সান্তনা দেবে যেখানে নিজেই নিজেকে সামলাতে পারছেনা।
জীবনের আরেকটা ভোর শুরু হলো. সারা রাত ঘুম আসেনি, সদ্য বিধবা কোনো যুবতী নারী তার স্বামীকে ভুলতে পারে সারা মন জুড়ে সূর্য আর সূর্য করে উথাল পাথাল হয়েছে. সে জানে তার এই অবোধ সন্তানের জন্যে তাকে শক্ত হতে হবে. তাই চোখের জল ফেলে নিজেকে দুর্বল করে দেয়নি সিমরন. সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছে জীবনের আরো ঘাতপ্রতিঘাত সামলানোর জন্যে.
কাল সকালের পরে আজ এই প্রথম আয়না দেখলো সিমরন. ফোলা ফোলা চোখ আর হালকা হয়ে যাওয়া সিঁদুরের চিহ্ন যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে লোকটা নেই আর কোনদিন সীমি বলে ডাকবেনা. জলের ঝাপটায় কি চোখের জলও ধুয়ে গেলো.
দরজায় একটা আওয়াজ শুনে সীমির ঘোড় কাটলো. বাহাদুর চাচা নক করছে বিটিয়া বিটিয়া বলে.
দরজা খুলে বাহদুর চাচা ওর মুখের দিকে শুন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো, কযেক মুহুর্তের মধ্যে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না. এই প্রথম পরিবারের লোকেরা একাকী একে অন্যকে ফেস করছে. হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো সেই গোর্খা বৃদ্ধ, যেন তার নিজের সন্তানই দুনিয়ে ছেড়ে চলে গেছে.
কাঁদতে কাঁদতে কোনরকমে সে বলতে পারলো " আয়সা কিয়ু কিয়া উসনে" বলে ভগবানের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখালো.
কাঁদতে কাঁদতে শ্বেত পাথরের থামটা ধরে নিজের আবেগপ্রবণ শরীরটাকে সামলাতে সামলাতে বসে পরলো. কে কাকে স্বান্তনা দেবে.
নিচের একজন কাজের মহিলা এসে বললো "কুছ লোগ আয়া হ্যায় আপসে মিলনে কে লিয়ে, নিচে বৈঠা কে রাকখা"
সিমরন নিজেকে সামলে নিয়ে একবার রাজকে দেখে নিয়ে নিচে নেমে গেলো. বসার ঘরে গিয়ে দেখলো সূর্যর পার্টির কিছু লোক এসেছে কযেক জন চেনা কযেক জন অচেনা.
সিমরন মাথায় সাদা ওরনা টা টেনে দিয়ে ওদের নমস্কার করে বললো " কহিয়ে"
ওরা সবাই ওকে দেখে উঠে দাড়ালো সবার মুখে চোখেই শোকের ছায়া.
একজন যাকে সিমরন চেনে আর জানে যে সূর্যর ডানহাত যার নাম যতদুর মনে পড়ছে জিতেন্দর সিংহ, সে নমস্কার করে বললো " ভাবি পরনাম" সিমরন আবার প্রতি নমস্কার জানালো. জিতেন্দর ওরফে জিতু বললো "ভাবি ইয়ে লোগ দিল্লি সে আয়ে হ্যায় আপসে কুছ বাতে করনা চাহতে হ্যায়"
সিমরন ঘুরে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো " জি বলিয়ে"
দিল্লি থেকে আসা একজন যার নাম সতিশ শর্মা সে বললো " ভাবি হামলোগো কো পাতা হ্যায় কে অপ্পে ক্যা বিত রাহে হ্যায় ফিরভি দেশ কি কাম মে মজবুর হু কি ইসি বক্ত আপকো এয়সি বাতে বতানা পরেগা"
"জি বলিয়ে মুঝে কুছ ফরক নেহি পরতা হ্যায় অভি, জিসকী জিন্দগী উজার গাই উসকি অর ক্যা সুননে কে লিয়ে বাকি বাচা হ্যায়." সিমরন ওদের দিকে তাকিয়ে বললো।
"এইসা মত বলিয়ে জিন্দেগী কভি ভি খতম হতে নেহি হোতা হ্যায়। লেহেরেইন আতি জাতি হ্যায় বাস"
“কাশ ম্যা ভি আপ লোগোকে তরাহ শোচ সাকতা। উসনে তো মেরে সোচনে কি তাকত ভি লে লিয়া” সিমরন উপর দিকে আঙ্গুল তুলে দেখালো।
“তুম মেরি বেটি য্যায়সি হো, জিন্দেগি রুকতি নেহি হ্যায়, আগে বারনা হ্যায় সবকো লেকে। ইন্সান ওয়াক্ত আনে পে সব ভুল যাতে হ্যায়, সিরফ ওয়াক্ত কে সাথ চলতে রাহো বাকি সব উনকে উপর ছোড় দো, ওয়াক্ত হি হাম সবকা দোস্ত হ্যায় ইয়ে তুমহে ধিরে ধিরে পাতা চল যায়েগা বেটি। দুখ বাটো তো ও ঘটেগা, হাম ইয়ে তজুরবা সে বোলা কাভী ভী জিন্দেগি মে ওয়াক্ত মিলেগা তো মিলা লেনা মেরা বাত।“
শ্রদ্ধায় অবনত সিমরন ওড়না দিয়ে মুখ চেপে বললো “জি বলিয়ে আপ কুছ বলনা চাহতে থে”
“বেটি বুরি মত মানো হাম আজ এক ভিখ মাঙ্গেগে তুমসে কি তুম হামারে পার্টি কে লিয়ে ইয়ে চুনাও লড়ো, বাহার খাড়ে হুয়ে হাজারো আদমি কা ইয়েহি খ্বাইস হ্যায়, ও লোগ ইয়ে চাহতে হ্যায় কে সুরজ কা আত্মা সুরজ কে যোশ ও লোগ তুমমে দিখাই দে, ইয়ে মেরা নেহি হামারা নেহি দেশ কি পুকার হো সুরজ কো হাম এইসেহি মিট নেহি জানে দেঙ্গে। আউর ফির শোচো কে তুম আগার একবার খাড়ে হো গায়ি তো হাম লোগ ইয়ে সিট আসানি সে জিত জায়েঙ্গে ফির সুরজ কা মউত কা বদলা লে পায়েঙ্গে, সাহি ঢঙ্গসে ও কার্বাহি হ পায়েগা নেহিতো তুমকো তো মালুম হি হ্যায় কে ইয়ে রাজনিতি কিতনা বুরি চিজ হ্যায়, তুম আগার দুসরে কো নেহি মারতে হো তো ও তুমে মার ডালেগা। বাহার যাকে একবার কে লিয়ে দেখ লো কি লোগ কিতনা বেচ্যায়ন হ্যায় ইয়াহা ক্যা হো রাহা হ্যায় ও জাননে কে লিয়ে।“
জীবনের আরেকটা ভোর শুরু হলো. সারা রাত ঘুম আসেনি, সদ্য বিধবা কোনো যুবতী নারী তার স্বামীকে ভুলতে পারে সারা মন জুড়ে সূর্য আর সূর্য করে উথাল পাথাল হয়েছে. সে জানে তার এই অবোধ সন্তানের জন্যে তাকে শক্ত হতে হবে. তাই চোখের জল ফেলে নিজেকে দুর্বল করে দেয়নি সিমরন. সযত্নে বাঁচিয়ে রেখেছে জীবনের আরো ঘাতপ্রতিঘাত সামলানোর জন্যে.
কাল সকালের পরে আজ এই প্রথম আয়না দেখলো সিমরন. ফোলা ফোলা চোখ আর হালকা হয়ে যাওয়া সিঁদুরের চিহ্ন যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে লোকটা নেই আর কোনদিন সীমি বলে ডাকবেনা. জলের ঝাপটায় কি চোখের জলও ধুয়ে গেলো.
দরজায় একটা আওয়াজ শুনে সীমির ঘোড় কাটলো. বাহাদুর চাচা নক করছে বিটিয়া বিটিয়া বলে.
দরজা খুলে বাহদুর চাচা ওর মুখের দিকে শুন্য দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো, কযেক মুহুর্তের মধ্যে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না. এই প্রথম পরিবারের লোকেরা একাকী একে অন্যকে ফেস করছে. হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো সেই গোর্খা বৃদ্ধ, যেন তার নিজের সন্তানই দুনিয়ে ছেড়ে চলে গেছে.
কাঁদতে কাঁদতে কোনরকমে সে বলতে পারলো " আয়সা কিয়ু কিয়া উসনে" বলে ভগবানের দিকে আঙ্গুল তুলে দেখালো.
কাঁদতে কাঁদতে শ্বেত পাথরের থামটা ধরে নিজের আবেগপ্রবণ শরীরটাকে সামলাতে সামলাতে বসে পরলো. কে কাকে স্বান্তনা দেবে.
নিচের একজন কাজের মহিলা এসে বললো "কুছ লোগ আয়া হ্যায় আপসে মিলনে কে লিয়ে, নিচে বৈঠা কে রাকখা"
সিমরন নিজেকে সামলে নিয়ে একবার রাজকে দেখে নিয়ে নিচে নেমে গেলো. বসার ঘরে গিয়ে দেখলো সূর্যর পার্টির কিছু লোক এসেছে কযেক জন চেনা কযেক জন অচেনা.
সিমরন মাথায় সাদা ওরনা টা টেনে দিয়ে ওদের নমস্কার করে বললো " কহিয়ে"
ওরা সবাই ওকে দেখে উঠে দাড়ালো সবার মুখে চোখেই শোকের ছায়া.
একজন যাকে সিমরন চেনে আর জানে যে সূর্যর ডানহাত যার নাম যতদুর মনে পড়ছে জিতেন্দর সিংহ, সে নমস্কার করে বললো " ভাবি পরনাম" সিমরন আবার প্রতি নমস্কার জানালো. জিতেন্দর ওরফে জিতু বললো "ভাবি ইয়ে লোগ দিল্লি সে আয়ে হ্যায় আপসে কুছ বাতে করনা চাহতে হ্যায়"
সিমরন ঘুরে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো " জি বলিয়ে"
দিল্লি থেকে আসা একজন যার নাম সতিশ শর্মা সে বললো " ভাবি হামলোগো কো পাতা হ্যায় কে অপ্পে ক্যা বিত রাহে হ্যায় ফিরভি দেশ কি কাম মে মজবুর হু কি ইসি বক্ত আপকো এয়সি বাতে বতানা পরেগা"
"জি বলিয়ে মুঝে কুছ ফরক নেহি পরতা হ্যায় অভি, জিসকী জিন্দগী উজার গাই উসকি অর ক্যা সুননে কে লিয়ে বাকি বাচা হ্যায়." সিমরন ওদের দিকে তাকিয়ে বললো।
"এইসা মত বলিয়ে জিন্দেগী কভি ভি খতম হতে নেহি হোতা হ্যায়। লেহেরেইন আতি জাতি হ্যায় বাস"
“কাশ ম্যা ভি আপ লোগোকে তরাহ শোচ সাকতা। উসনে তো মেরে সোচনে কি তাকত ভি লে লিয়া” সিমরন উপর দিকে আঙ্গুল তুলে দেখালো।
“তুম মেরি বেটি য্যায়সি হো, জিন্দেগি রুকতি নেহি হ্যায়, আগে বারনা হ্যায় সবকো লেকে। ইন্সান ওয়াক্ত আনে পে সব ভুল যাতে হ্যায়, সিরফ ওয়াক্ত কে সাথ চলতে রাহো বাকি সব উনকে উপর ছোড় দো, ওয়াক্ত হি হাম সবকা দোস্ত হ্যায় ইয়ে তুমহে ধিরে ধিরে পাতা চল যায়েগা বেটি। দুখ বাটো তো ও ঘটেগা, হাম ইয়ে তজুরবা সে বোলা কাভী ভী জিন্দেগি মে ওয়াক্ত মিলেগা তো মিলা লেনা মেরা বাত।“
শ্রদ্ধায় অবনত সিমরন ওড়না দিয়ে মুখ চেপে বললো “জি বলিয়ে আপ কুছ বলনা চাহতে থে”
“বেটি বুরি মত মানো হাম আজ এক ভিখ মাঙ্গেগে তুমসে কি তুম হামারে পার্টি কে লিয়ে ইয়ে চুনাও লড়ো, বাহার খাড়ে হুয়ে হাজারো আদমি কা ইয়েহি খ্বাইস হ্যায়, ও লোগ ইয়ে চাহতে হ্যায় কে সুরজ কা আত্মা সুরজ কে যোশ ও লোগ তুমমে দিখাই দে, ইয়ে মেরা নেহি হামারা নেহি দেশ কি পুকার হো সুরজ কো হাম এইসেহি মিট নেহি জানে দেঙ্গে। আউর ফির শোচো কে তুম আগার একবার খাড়ে হো গায়ি তো হাম লোগ ইয়ে সিট আসানি সে জিত জায়েঙ্গে ফির সুরজ কা মউত কা বদলা লে পায়েঙ্গে, সাহি ঢঙ্গসে ও কার্বাহি হ পায়েগা নেহিতো তুমকো তো মালুম হি হ্যায় কে ইয়ে রাজনিতি কিতনা বুরি চিজ হ্যায়, তুম আগার দুসরে কো নেহি মারতে হো তো ও তুমে মার ডালেগা। বাহার যাকে একবার কে লিয়ে দেখ লো কি লোগ কিতনা বেচ্যায়ন হ্যায় ইয়াহা ক্যা হো রাহা হ্যায় ও জাননে কে লিয়ে।“