04-09-2021, 10:48 PM
চতুর্থ পর্ব
মেসে কাজ করার প্রথম দিন থেকে সরলা খুব সহজেই নিপুণভাবে সবকিছু বুঝে নিল। বিপ্লববাবুর মেস চালানোর পদ্ধতিটা নিতান্তই সরলসোজা। মেসবাড়িটা চারতলা। প্রতি তলায় তিনটি করে বড় বড় ঘর আছে। উপরের তিনটে তলায় ছাত্ররা বাস করে। প্রতি ঘরে তিনজন করে ছাত্র থাকে। একতলায় বিপ্লববাবু দুটো ঘর নিয়ে থাকেন। যার মধ্যে একটা ঘরে তিনি অফিস চালান আর একটা ঘর শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেন। তৃতীয় ঘরটা রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরলার কাজ হল রোজ সকালবেলায় মেসে গিয়ে মেসমালিক আর ভাড়াটে ছাত্রদের জন্য সকালের ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের লাঞ্চ তৈরি করে দেওয়া। তারপর বাড়ি ফিরে বিশ্রাম করে নিয়ে আবার বিকেলবেলায় মেসে পৌঁছে তাদের জন্য সন্ধ্যার টিফিন আর রাতের ডিনার বানানো। কাজটা শুনতে যতটা সহজ, আদতে ততটা নয়। প্রতিদিন আঠাশজন লোকের চারবেলার গ্রাসচ্ছাসের বন্দোবস্ত করা মুখের কথা না। রীতিমত খাটুনির কাজ।
অবশ্য দিলদরিয়া বিপ্লববাবু তাঁর কথামত নতুন রাঁধুনির খাটনি পুশিয়ে দেওয়ার দায় ইতিমধ্যেই আপন ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন। মেসের সবার চারবেলার খাবার রান্না করার জন্য সরলাকে উনি ষোল হাজার টাকা মাইনে দেবেন বলেছেন। সাথে উদারতা দেখিয়ে এটাও জানাতে ভোলেননি যে তার অসুস্থ স্বামী, কিশোরী কন্যা আর তার নিজের দুপুর আর রাতের খাবারটা সে যেন মেসের সকলের খাবারের সাথে একসঙ্গেই বানিয়ে নেয়। এরফলে বাড়ি গিয়ে তাকে আর নতুন করে হাঁড়ি চাপাতে হবে না। এছাড়াও রূপসী রাঁধুনির জামাকাপড়ের মলিন অবস্থা দেখে তাকে সাত জোড়া নতুন দামী দামী স্বচ্ছ সিফনের শাড়ি আর পিঠখোলামেলা পাতলা ব্লাউস কিনে এনে উপহার দিয়েছেন। এমন সব অত্যাধুনিক শাড়ি-ব্লাউসের সাথে ব্রা-প্যান্টি পরলে বড় বেমানান লাগে। তাই দয়ার সাগর মেসমালিকের মহানুভবতার মর্যাদা রাখতে, এক ভদ্রঘরের স্ত্রী হয়েও, সে অন্তর্বাসহীন অবস্থায় দেহ দেখানো স্বচ্ছ শাড়ি আর পিঠখোলা ব্লাউস গায়ে চাপিয়ে দুধ-পাছা দুলিয়ে কাজে বেরোয়।
বিপত্নীক লম্পট মেসমালিককে আপন হাতের মুঠোয় রাখতে শুরুর দিন থেকেই সরলা তাঁকে সবরকম আশকারা দিতে থাকে। প্রশ্রয় পেয়ে বিপ্লববাবুর বর্ধিত স্পর্ধা ঔদ্ধত্যের চেহারা নেয়। সকালে মেসের সমস্ত ছাত্ররা কলেজ চলে যাওয়ার পর খোলা জানালা দিয়ে তিনি রান্নাঘরে উঁকি মারেন। রান্নাঘরের দরজার ঠিক বিপরীতমুখী দুই দেওয়ালে পাথরের স্ল্যাব বসানো আছে। একটা স্ল্যাবের একধারে গ্যাসের ওভেন রাখা আছে। নতুন রাঁধুনি গ্যাসে ভাত চাপিয়ে দিয়ে পাশের স্ল্যাবের ওপর ছুরি হাতে সবজি কাটছে। তাকে কাজে মগ্ন দেখে বিপ্লববাবু নিঃশব্দে রান্নাঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দেন। তারপর শিকারী বেড়ালের মত পা টিপে টিপে এগিয়ে গিয়ে পিছন থেকে গিয়ে তাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরেন। আচমকা গায়ে হাত পরায় সরলা চমকে গিয়ে আর্তনাদ করে ওঠে। কিন্তু পরক্ষনেই তার ভুলটা ধরে ফেলে। ধূর্ত মেসমালিকের অসৎ অভিসন্ধিটা টের পেতেই সে মুহূর্তের মধ্যে মুখে কুলুপ আঁটে।
মেসে কাজ করার প্রথম দিন থেকে সরলা খুব সহজেই নিপুণভাবে সবকিছু বুঝে নিল। বিপ্লববাবুর মেস চালানোর পদ্ধতিটা নিতান্তই সরলসোজা। মেসবাড়িটা চারতলা। প্রতি তলায় তিনটি করে বড় বড় ঘর আছে। উপরের তিনটে তলায় ছাত্ররা বাস করে। প্রতি ঘরে তিনজন করে ছাত্র থাকে। একতলায় বিপ্লববাবু দুটো ঘর নিয়ে থাকেন। যার মধ্যে একটা ঘরে তিনি অফিস চালান আর একটা ঘর শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেন। তৃতীয় ঘরটা রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরলার কাজ হল রোজ সকালবেলায় মেসে গিয়ে মেসমালিক আর ভাড়াটে ছাত্রদের জন্য সকালের ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের লাঞ্চ তৈরি করে দেওয়া। তারপর বাড়ি ফিরে বিশ্রাম করে নিয়ে আবার বিকেলবেলায় মেসে পৌঁছে তাদের জন্য সন্ধ্যার টিফিন আর রাতের ডিনার বানানো। কাজটা শুনতে যতটা সহজ, আদতে ততটা নয়। প্রতিদিন আঠাশজন লোকের চারবেলার গ্রাসচ্ছাসের বন্দোবস্ত করা মুখের কথা না। রীতিমত খাটুনির কাজ।
অবশ্য দিলদরিয়া বিপ্লববাবু তাঁর কথামত নতুন রাঁধুনির খাটনি পুশিয়ে দেওয়ার দায় ইতিমধ্যেই আপন ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন। মেসের সবার চারবেলার খাবার রান্না করার জন্য সরলাকে উনি ষোল হাজার টাকা মাইনে দেবেন বলেছেন। সাথে উদারতা দেখিয়ে এটাও জানাতে ভোলেননি যে তার অসুস্থ স্বামী, কিশোরী কন্যা আর তার নিজের দুপুর আর রাতের খাবারটা সে যেন মেসের সকলের খাবারের সাথে একসঙ্গেই বানিয়ে নেয়। এরফলে বাড়ি গিয়ে তাকে আর নতুন করে হাঁড়ি চাপাতে হবে না। এছাড়াও রূপসী রাঁধুনির জামাকাপড়ের মলিন অবস্থা দেখে তাকে সাত জোড়া নতুন দামী দামী স্বচ্ছ সিফনের শাড়ি আর পিঠখোলামেলা পাতলা ব্লাউস কিনে এনে উপহার দিয়েছেন। এমন সব অত্যাধুনিক শাড়ি-ব্লাউসের সাথে ব্রা-প্যান্টি পরলে বড় বেমানান লাগে। তাই দয়ার সাগর মেসমালিকের মহানুভবতার মর্যাদা রাখতে, এক ভদ্রঘরের স্ত্রী হয়েও, সে অন্তর্বাসহীন অবস্থায় দেহ দেখানো স্বচ্ছ শাড়ি আর পিঠখোলা ব্লাউস গায়ে চাপিয়ে দুধ-পাছা দুলিয়ে কাজে বেরোয়।
বিপত্নীক লম্পট মেসমালিককে আপন হাতের মুঠোয় রাখতে শুরুর দিন থেকেই সরলা তাঁকে সবরকম আশকারা দিতে থাকে। প্রশ্রয় পেয়ে বিপ্লববাবুর বর্ধিত স্পর্ধা ঔদ্ধত্যের চেহারা নেয়। সকালে মেসের সমস্ত ছাত্ররা কলেজ চলে যাওয়ার পর খোলা জানালা দিয়ে তিনি রান্নাঘরে উঁকি মারেন। রান্নাঘরের দরজার ঠিক বিপরীতমুখী দুই দেওয়ালে পাথরের স্ল্যাব বসানো আছে। একটা স্ল্যাবের একধারে গ্যাসের ওভেন রাখা আছে। নতুন রাঁধুনি গ্যাসে ভাত চাপিয়ে দিয়ে পাশের স্ল্যাবের ওপর ছুরি হাতে সবজি কাটছে। তাকে কাজে মগ্ন দেখে বিপ্লববাবু নিঃশব্দে রান্নাঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দেন। তারপর শিকারী বেড়ালের মত পা টিপে টিপে এগিয়ে গিয়ে পিছন থেকে গিয়ে তাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরেন। আচমকা গায়ে হাত পরায় সরলা চমকে গিয়ে আর্তনাদ করে ওঠে। কিন্তু পরক্ষনেই তার ভুলটা ধরে ফেলে। ধূর্ত মেসমালিকের অসৎ অভিসন্ধিটা টের পেতেই সে মুহূর্তের মধ্যে মুখে কুলুপ আঁটে।