31-08-2021, 03:33 PM
এই করতে করতে দুপুর দেড়টা বেজে গেল। বিজয় বাবু জাপানীদের লাঞ্চে বসার অনুরোধ জানালেন। হোটেলের ডাইনিং হলে অতিথিদের জন্য রাজসিক ভোজের আয়োজন করেছেন বিজয় বাবু। তখন সেখানে অন্য কোন লোকের প্রবেশ নিষেধ। সবাই তৃপ্তি করে খাচ্ছেন। বিজয় বাবু ও তৃপ্তিও খাচ্ছেন। জাপানীদের সঙ্গে হাল্কা গল্প গুজব চলছে। খাওয়া সেরে আধ ঘণ্টা বিশ্রাম। তারপর আবার মীটিং শুরু। সন্ধ্যা সাতটা অবধি আলোচনা চলল। শেষে জাপানী প্রতিনিধিদলের প্রধান অফিসার জানিয়ে দিলেন যে আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট। কিন্তু পরদিন তারা মুম্বাইয়ে বিজয় বাবুর কোম্পানির মাল গুদামে গিয়ে স্বচক্ষে মাল দেখবেন এবং প্রয়োজনে গুণগত মানের পরীক্ষাও করাবেন। বিজয় বাবু সময় নষ্ট না করে, তার মোবাইলে কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টার মিস্টার সিংঘানিয়াকে এ খবর জানিয়ে দিলেন এবং প্রত্যুত্তরে প্রচুর বাহবা পেলেন।
এবার তারা সদলবলে ডিনারে বসলেন। ডিনারে খাদ্যের সাথে দামী পানিয়ও আছে। তৃপ্তি আগে কখনও রেড ওয়াইন খায় নি। কিন্তু ডিনার পার্টির রেওয়াজ অনুযায়ী সেও দামী রেড ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিল। জিনিসটা খেতে মোটেও ব্র্যান্ডির মত খারাপ লাগল না তার। চারপাশে গল্প গুজব, হাসি ঠাট্টা চলছে। বিজয় বাবু ঘুরে ফিরে সবার সাথে কথা বলছেন। সুস্বাদু চিকেনে কামড় বসিয়ে এক চুমুক লাল মদ গলায় ঢালে তৃপ্তি। সারাদিনের মিটিংয়ের পরে রেড ওয়াইন খেয়ে তার শরীরটা অনেকটা ঝরঝরে লাগছে। মনটাও বেশ বেশ ফুরফুর করছে। হাল্কা গোলাপি নেশা ধরেছে। সব অবসাদ যেন ধুয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে গেছে। এক ফাঁকে বস এসে তার কাঁধে হাত রেখে বলে গেল, “পেট ভরে খাবে কিন্তু তৃপ্তি। এই সব খাবারের খরচ আমাদের কোম্পানিই দিচ্ছে।” বিজয় বাবুর হাতেও পানপাত্র। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খোশমেজাজে আছেন।
রাত নটা নাগাদ পার্টি শেষ হতে বিজয় বাবু আর তৃপ্তি জাপানীদের গাড়ীতে তুলে দিয়ে বিদায় জানাল। তারপর লিফ্টে চড়ে দুজনে তাদের দোতলার ঘরে পৌঁছে গেল। পরদিন আবার সকাল এগারোটায় জাপানীদের নিয়ে মাল গুদামে যেতে হবে।
টাইয়ের নট খুলতে খুলতে বিজয় বাবু বললেন, “তুমি তো এই প্রথম কোন বিজনেস মীটিংয়ে অংশ নিলে। কেমন লাগল? তোমার কি মনে হয়, আমরা অর্ডারটা পাব?”
“স্যার, আমার দুর্দান্ত লেগেছে। আমার একটাই আফসোস হচ্ছে – কেন আপনার মত এরকম একজন দক্ষ অফিসারের অধীনে অনেক আগে থেকেই কাজ করার সুযোগ পেলাম না। আপনি যে ভাবে আজকের মীটিংটা পরিচালনা করলেন, তাতে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে আমাদের কোম্পানিই এই অর্ডারটা পাবে। স্যার আপনার তুলনা হয় না,” গদগদ হয়ে উত্তর দিল তৃপ্তি।
এবার তারা সদলবলে ডিনারে বসলেন। ডিনারে খাদ্যের সাথে দামী পানিয়ও আছে। তৃপ্তি আগে কখনও রেড ওয়াইন খায় নি। কিন্তু ডিনার পার্টির রেওয়াজ অনুযায়ী সেও দামী রেড ওয়াইনের গ্লাসে চুমুক দিল। জিনিসটা খেতে মোটেও ব্র্যান্ডির মত খারাপ লাগল না তার। চারপাশে গল্প গুজব, হাসি ঠাট্টা চলছে। বিজয় বাবু ঘুরে ফিরে সবার সাথে কথা বলছেন। সুস্বাদু চিকেনে কামড় বসিয়ে এক চুমুক লাল মদ গলায় ঢালে তৃপ্তি। সারাদিনের মিটিংয়ের পরে রেড ওয়াইন খেয়ে তার শরীরটা অনেকটা ঝরঝরে লাগছে। মনটাও বেশ বেশ ফুরফুর করছে। হাল্কা গোলাপি নেশা ধরেছে। সব অবসাদ যেন ধুয়ে মুছে পরিস্কার হয়ে গেছে। এক ফাঁকে বস এসে তার কাঁধে হাত রেখে বলে গেল, “পেট ভরে খাবে কিন্তু তৃপ্তি। এই সব খাবারের খরচ আমাদের কোম্পানিই দিচ্ছে।” বিজয় বাবুর হাতেও পানপাত্র। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খোশমেজাজে আছেন।
রাত নটা নাগাদ পার্টি শেষ হতে বিজয় বাবু আর তৃপ্তি জাপানীদের গাড়ীতে তুলে দিয়ে বিদায় জানাল। তারপর লিফ্টে চড়ে দুজনে তাদের দোতলার ঘরে পৌঁছে গেল। পরদিন আবার সকাল এগারোটায় জাপানীদের নিয়ে মাল গুদামে যেতে হবে।
টাইয়ের নট খুলতে খুলতে বিজয় বাবু বললেন, “তুমি তো এই প্রথম কোন বিজনেস মীটিংয়ে অংশ নিলে। কেমন লাগল? তোমার কি মনে হয়, আমরা অর্ডারটা পাব?”
“স্যার, আমার দুর্দান্ত লেগেছে। আমার একটাই আফসোস হচ্ছে – কেন আপনার মত এরকম একজন দক্ষ অফিসারের অধীনে অনেক আগে থেকেই কাজ করার সুযোগ পেলাম না। আপনি যে ভাবে আজকের মীটিংটা পরিচালনা করলেন, তাতে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে আমাদের কোম্পানিই এই অর্ডারটা পাবে। স্যার আপনার তুলনা হয় না,” গদগদ হয়ে উত্তর দিল তৃপ্তি।