31-08-2021, 03:32 PM
ভোরের ফ্লাইটে মুম্বাই পৌঁছে, মোটামুটি সকাল নটা নাগাদ তারা হোটেলে ঢুকলেন। এবার মুম্বাই এসে বিজয় বাবু তাঁর সেই পুরনো হোটেলেই উঠলেন। পার্থক্য শুধু এই যে, অন্যান্যবার তিনি একা আসেন, আর এবার তার সঙ্গে আছে তার প্রাইভেট সেক্রেটারি তৃপ্তি। একটা ডাবল বেডের বড় ঘর দুজনের নামে বুক করে নিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার আসায়, হোটেলের কর্মচারীরা তার পরিচিত। সাহেব ভালো বকশিশ দেন, তাই তার খাতির যত্ন আলাদা। কেউই জানতে চায় না যে তৃপ্তি তার কে হয়। বিজয় বাবুর নির্দেশে ঘরের দুটি আলাদা আলাদা সিঙ্গেল খাট টেনে জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হল। হোটেলের কর্মচারীরা এটুকু বুঝতে পারল যে এবার আর সাহেবের ঘরে কল গার্ল পাঠাতে হবে না।
দশটার ভিতর তৈরি হয়ে, প্রাতরাশ সেরে, তাঁরা জাপানী অফিসারদের অভ্যর্থনা জানাতে নীচে এসে দাঁড়াল। বিজয় বাবুর পরণে দামী স্যুট আর টাই। তৃপ্তির আবার একদম দেশী সাজ। গাঢ় খয়েরী রঙের চওড়া পাড় দেওয়া অফ হোয়াইট রঙের তাঁতের শাড়ি। সঙ্গে মানানসই গাঢ় খয়েরী রঙের স্লীভলেস ব্লাউজ। ব্লাউজটা খুবই ছোট এবং টাইট। বুকের আর পিঠের দিকে বেশ নীচু করে কাটা। ফলে তার পুরুষ্ট স্তনের এবং মসৃণ পিঠের অনেকটাই দৃশ্যমান। ঘাড় অবধি ছাঁটা চুলে হালকা বাদামী হেনার ছোঁয়া। কপালে গাঢ় খয়েরী রঙের একটা বড় বিন্দি। চোখের পাতায় কাজল টানা। ঠোঁটে বাদামী লিপস্টিক, হাতের এবং পায়ের নখে বাদামী রঙের নেল পালিশ। গলায় পাথরের লম্বা, এথনিক হার। দুই কানে একই পাথরের দুল আর ডান হাতে ওই পাথরেরই একটি ম্যাচিং বালা । বাঁ হাতে ঘড়ি। কাঁধে চামড়ার শান্তিনিকেতনি ব্যাগ। পায়ে সাদা রঙের হাই হীল চটি। এই সাজে, হাল্কা শ্যামবর্ণ তৃপ্তিকে দারুন সেক্সি আর মোহময়ী লাগছে। বিজয় বাবুও বেশ কয়েকবার তার সাজের তারিফ করলেন।
জাপানীরা অন্য হোটেলে উঠেছেন। কিন্তু বিজয় বাবু তার হোটেলের কনফারেন্স হলটি মীটিংয়ের জন্য ভাড়া নিয়েছেন। এ ছাড়াও, নিজেদের এবং জাপানীদের যাতায়াতের জন্য একটি কার রেন্টাল থেকে কয়েকটি গাড়ীও ভাড়া নিয়েছেন। জাপানী অফিসাররা ঘড়ির কাঁটা ধরে পৌঁছানোর সাথে সাথে বিজয় বাবু ও তৃপ্তি তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়ে নানা রকম স্ন্যাক্স, চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, শরবত ইত্যাদিতে আপ্যায়িত করলেন। তারপর সোজা কনফারেন্স হলে নিয়ে গিয়ে মীটিংয়ে বসে গেলেন। জাপানীরা সময় নষ্ট করা পছন্দ করেন না। তারা প্রতিটা জিনিস খুঁটিয়ে দেখেন। তাদের সন্তুষ্ট করা সহজ নয়। কিন্তু বিজয় বাবুর এ সব ব্যাপারে বহু দিনের অভিজ্ঞতা আছে। আর তা ছাড়া তিনি এই মীটিংয়ের জন্য তিনি পুরো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। তৃপ্তিকেও সব কিছু ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাপানীরা যা কিছু দেখতে চাইছেন, তৃপ্তি সঙ্গে সঙ্গে তার বসের হাতে সে সব কাগজগুলি এগিয়ে দিচ্ছে আর বিজয় বাবু সেগুলি জাপানী অফিসারদের দেখাচ্ছেন। যা কথা বলার বিজয় বাবুই বলছেন। ইংরাজিতে কথাবার্তা চলছে। তৃপ্তিও ভালো ইংরাজি বলতে ও লিখতে পারে। কখনও কখনও সে তার ল্যাপটপে বিশেষ কিছু লেখা বা নক্সা বার করে দেখাচ্ছে। জাপানীরা সহমত জানিয়ে মাথা নাড়ছেন। তাঁদের মুখ চোখ বলে দিচ্ছে যে মীটিংয়ের আলোচনায় তাঁরা অনেকটাই সন্তুষ্ট। কিন্তু তাও তারা প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন। যে মাল তারা আমদানি করবেন, তার সম্পর্কে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে তারা কখনই চুক্তি করবেন না।
দশটার ভিতর তৈরি হয়ে, প্রাতরাশ সেরে, তাঁরা জাপানী অফিসারদের অভ্যর্থনা জানাতে নীচে এসে দাঁড়াল। বিজয় বাবুর পরণে দামী স্যুট আর টাই। তৃপ্তির আবার একদম দেশী সাজ। গাঢ় খয়েরী রঙের চওড়া পাড় দেওয়া অফ হোয়াইট রঙের তাঁতের শাড়ি। সঙ্গে মানানসই গাঢ় খয়েরী রঙের স্লীভলেস ব্লাউজ। ব্লাউজটা খুবই ছোট এবং টাইট। বুকের আর পিঠের দিকে বেশ নীচু করে কাটা। ফলে তার পুরুষ্ট স্তনের এবং মসৃণ পিঠের অনেকটাই দৃশ্যমান। ঘাড় অবধি ছাঁটা চুলে হালকা বাদামী হেনার ছোঁয়া। কপালে গাঢ় খয়েরী রঙের একটা বড় বিন্দি। চোখের পাতায় কাজল টানা। ঠোঁটে বাদামী লিপস্টিক, হাতের এবং পায়ের নখে বাদামী রঙের নেল পালিশ। গলায় পাথরের লম্বা, এথনিক হার। দুই কানে একই পাথরের দুল আর ডান হাতে ওই পাথরেরই একটি ম্যাচিং বালা । বাঁ হাতে ঘড়ি। কাঁধে চামড়ার শান্তিনিকেতনি ব্যাগ। পায়ে সাদা রঙের হাই হীল চটি। এই সাজে, হাল্কা শ্যামবর্ণ তৃপ্তিকে দারুন সেক্সি আর মোহময়ী লাগছে। বিজয় বাবুও বেশ কয়েকবার তার সাজের তারিফ করলেন।
জাপানীরা অন্য হোটেলে উঠেছেন। কিন্তু বিজয় বাবু তার হোটেলের কনফারেন্স হলটি মীটিংয়ের জন্য ভাড়া নিয়েছেন। এ ছাড়াও, নিজেদের এবং জাপানীদের যাতায়াতের জন্য একটি কার রেন্টাল থেকে কয়েকটি গাড়ীও ভাড়া নিয়েছেন। জাপানী অফিসাররা ঘড়ির কাঁটা ধরে পৌঁছানোর সাথে সাথে বিজয় বাবু ও তৃপ্তি তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়ে নানা রকম স্ন্যাক্স, চা, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, শরবত ইত্যাদিতে আপ্যায়িত করলেন। তারপর সোজা কনফারেন্স হলে নিয়ে গিয়ে মীটিংয়ে বসে গেলেন। জাপানীরা সময় নষ্ট করা পছন্দ করেন না। তারা প্রতিটা জিনিস খুঁটিয়ে দেখেন। তাদের সন্তুষ্ট করা সহজ নয়। কিন্তু বিজয় বাবুর এ সব ব্যাপারে বহু দিনের অভিজ্ঞতা আছে। আর তা ছাড়া তিনি এই মীটিংয়ের জন্য তিনি পুরো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন। তৃপ্তিকেও সব কিছু ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাপানীরা যা কিছু দেখতে চাইছেন, তৃপ্তি সঙ্গে সঙ্গে তার বসের হাতে সে সব কাগজগুলি এগিয়ে দিচ্ছে আর বিজয় বাবু সেগুলি জাপানী অফিসারদের দেখাচ্ছেন। যা কথা বলার বিজয় বাবুই বলছেন। ইংরাজিতে কথাবার্তা চলছে। তৃপ্তিও ভালো ইংরাজি বলতে ও লিখতে পারে। কখনও কখনও সে তার ল্যাপটপে বিশেষ কিছু লেখা বা নক্সা বার করে দেখাচ্ছে। জাপানীরা সহমত জানিয়ে মাথা নাড়ছেন। তাঁদের মুখ চোখ বলে দিচ্ছে যে মীটিংয়ের আলোচনায় তাঁরা অনেকটাই সন্তুষ্ট। কিন্তু তাও তারা প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন। যে মাল তারা আমদানি করবেন, তার সম্পর্কে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হয়ে তারা কখনই চুক্তি করবেন না।