31-08-2021, 03:11 PM
কান পাতলেন সাবিত্রী ! আলতাফ কি বলছে ? ওরকম অর্ধোন্মাদের মতো ? সাবিত্রীর কানকে শিহরিত করে আলতাফ তখন বলে চলেছে , " সবিতা -সাবিত্রী , সবিতা - সাবিত্রী ,...."
স্তব্ধ হয়ে গেলেন সাবিত্রী ! বেশ কয়েক মুহূর্তের জন্যে ! - হোয়াট নন সেন্স ? হোয়াট দা হেল ইজ ....
সাবিত্রীর মতো মহিলাও ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা নড়ে গেলেন ! তবে খুব দ্রুতই নিজেকে গুছিয়ে নিলেন তিনি !
কিশোরী বয়স থেকেই তিনি অন্যান্য মেয়েদের মতোই বিভিন্ন বয়সী পুরুষ মানুষের বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি দেখে আসছেন !
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মেলামেশার বৃত্ত টাই যা পরিবর্তন হয়েছে !
ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্যের ক্লাসে প্রফেসর শুদ্ধোদন বসু বায়রনের ' লাভ পোয়েম ' পড়ানোর সময় অধিকাংশ সময়টাই তাঁর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে পড়াতেন !
বন্ধু - বান্ধবীরা একটু মজা করার চেষ্টা করতো , কিন্তু সাবিত্রীর কড়া দৃষ্টির সামনে একটু গুটিয়ে যেত , বেশি কথা বাড়াতে পারতো না !
পরবর্তী কালে , সংসার জীবনে প্রবেশ করবার পর , বিভুর বন্ধুরা স্বাভাবিক নিয়মেই একটু বেশি বৌদি - বৌদি করে সাবিত্রীর নেক নজরে পড়ার চেষ্টা করতো !
সাবিত্রীর অনাগ্রহে সেটাও বেশিদিন লাস্ট করে নি ! আজকাল সেজন্যেই বিভুর পান ভোজনের আসরটা বাড়ির বাইরেই বেশি বসে !
সুন্দরী বলতে যা বোঝায় , সাবিত্রী সেটা নন ! এটা সাবিত্রীও জানেন !
তবে একটা লাবণ্য তো থাকবেই ! অত বড় বড়োলোকের মেয়ে ! অত বড় বড়োলোকের বৌ ! অত উচ্চ শিক্ষিতা !
চেহারার সঙ্গে সামাজিক স্ট্যাটাসের একটা সম্বন্ধ তো অস্বীকার করা যায় না !
এছাড়া মনের ছাপও তো চেহারায় পড়ে ! ভারী শান্ত - স্নিগ্ধ মুখশ্রী সাবিত্রীর !
আগে কোমর ছাপানো চুল দেখেছে সবাই !
কিছুদিন আগে মেয়ে মানে মিমি আর মেয়ের বন্ধু অনুপমা জোর করে পার্ক স্টিটে নিয়ে গিয়ে চুল কাটিয়ে নিয়ে এসেছে ! কাঁধের একটু নিচ পর্যন্ত !
প্রথম কদিন আয়নার দিকে তাকালেই চোখে জল এসে যাচ্ছিলো সাবিত্রীর ! এখন যেন একটু একটু ভালোই লাগে !
লজ্জা আর কাঠিন্য একই সঙ্গে মিশে আছে সাবিত্রীর মুখ টিতে !
রেগে চেঁচামেচি করতে তাঁকে কেউ কোনোদিন দেখেনি !
কিন্তু তাঁর কোনো ব্যাপার অপছন্দ করাটা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের লোকের মনে , একটা সাইলেন্ট সিগন্যাল এর মাধ্যমে !
সবাই তখন সামনে থেকে সরে যায় বা বলা যায় যেতে পারলে বাঁচে !
হঠাৎ ....., সাবিত্রীর মনটা,.... জগতের অধিকাংশ প্রচলিত নিয়মকে উল্লঙ্ঘন করে ,.... আলতাফের প্রতি স্নেহে আর্দ্র হয়ে উঠলো ! একটা সিঁড়ি নিচে দাঁড়িয়ে থাকা আলতাফের মাথায় হাত রাখলেন তিনি !
- আলতাফ , বাবা আমার , অমন করে না বাবা ! অমন যে করতে নেই বাবা !
আলতাফ চোখ ফেরালো সাবিত্রীর দিকে ! লাল লাল দুটো চোখ , যেন দুটো লাল পলাশ ফুল !
স্তব্ধ হয়ে গেলেন সাবিত্রী ! বেশ কয়েক মুহূর্তের জন্যে ! - হোয়াট নন সেন্স ? হোয়াট দা হেল ইজ ....
সাবিত্রীর মতো মহিলাও ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা নড়ে গেলেন ! তবে খুব দ্রুতই নিজেকে গুছিয়ে নিলেন তিনি !
কিশোরী বয়স থেকেই তিনি অন্যান্য মেয়েদের মতোই বিভিন্ন বয়সী পুরুষ মানুষের বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি দেখে আসছেন !
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক মেলামেশার বৃত্ত টাই যা পরিবর্তন হয়েছে !
ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্যের ক্লাসে প্রফেসর শুদ্ধোদন বসু বায়রনের ' লাভ পোয়েম ' পড়ানোর সময় অধিকাংশ সময়টাই তাঁর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে পড়াতেন !
বন্ধু - বান্ধবীরা একটু মজা করার চেষ্টা করতো , কিন্তু সাবিত্রীর কড়া দৃষ্টির সামনে একটু গুটিয়ে যেত , বেশি কথা বাড়াতে পারতো না !
পরবর্তী কালে , সংসার জীবনে প্রবেশ করবার পর , বিভুর বন্ধুরা স্বাভাবিক নিয়মেই একটু বেশি বৌদি - বৌদি করে সাবিত্রীর নেক নজরে পড়ার চেষ্টা করতো !
সাবিত্রীর অনাগ্রহে সেটাও বেশিদিন লাস্ট করে নি ! আজকাল সেজন্যেই বিভুর পান ভোজনের আসরটা বাড়ির বাইরেই বেশি বসে !
সুন্দরী বলতে যা বোঝায় , সাবিত্রী সেটা নন ! এটা সাবিত্রীও জানেন !
তবে একটা লাবণ্য তো থাকবেই ! অত বড় বড়োলোকের মেয়ে ! অত বড় বড়োলোকের বৌ ! অত উচ্চ শিক্ষিতা !
চেহারার সঙ্গে সামাজিক স্ট্যাটাসের একটা সম্বন্ধ তো অস্বীকার করা যায় না !
এছাড়া মনের ছাপও তো চেহারায় পড়ে ! ভারী শান্ত - স্নিগ্ধ মুখশ্রী সাবিত্রীর !
আগে কোমর ছাপানো চুল দেখেছে সবাই !
কিছুদিন আগে মেয়ে মানে মিমি আর মেয়ের বন্ধু অনুপমা জোর করে পার্ক স্টিটে নিয়ে গিয়ে চুল কাটিয়ে নিয়ে এসেছে ! কাঁধের একটু নিচ পর্যন্ত !
প্রথম কদিন আয়নার দিকে তাকালেই চোখে জল এসে যাচ্ছিলো সাবিত্রীর ! এখন যেন একটু একটু ভালোই লাগে !
লজ্জা আর কাঠিন্য একই সঙ্গে মিশে আছে সাবিত্রীর মুখ টিতে !
রেগে চেঁচামেচি করতে তাঁকে কেউ কোনোদিন দেখেনি !
কিন্তু তাঁর কোনো ব্যাপার অপছন্দ করাটা মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের লোকের মনে , একটা সাইলেন্ট সিগন্যাল এর মাধ্যমে !
সবাই তখন সামনে থেকে সরে যায় বা বলা যায় যেতে পারলে বাঁচে !
হঠাৎ ....., সাবিত্রীর মনটা,.... জগতের অধিকাংশ প্রচলিত নিয়মকে উল্লঙ্ঘন করে ,.... আলতাফের প্রতি স্নেহে আর্দ্র হয়ে উঠলো ! একটা সিঁড়ি নিচে দাঁড়িয়ে থাকা আলতাফের মাথায় হাত রাখলেন তিনি !
- আলতাফ , বাবা আমার , অমন করে না বাবা ! অমন যে করতে নেই বাবা !
আলতাফ চোখ ফেরালো সাবিত্রীর দিকে ! লাল লাল দুটো চোখ , যেন দুটো লাল পলাশ ফুল !